ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রীর উদ্যোগে খুললো ক্যাসিনোকাণ্ডে বন্ধ ক্লাবগুলো

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১২:১৬ এএম, ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩

ক্যাসিনোকাণ্ডে ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বন্ধ করে দিয়েছিল ৯ টি ক্লাব। যারা নিয়মিত অংশ নিয়ে থাকে জাতীয় পর্যায়ের খেলাধুলায়। দীর্ঘ চার বছর বন্ধ থাকার পর খুলে দেওয়া হয়েছে সেই অন্ধকার ক্লাবগুলো। মতিঝিল ক্লাব পাড়ায় এখন খুশির আমেজ। দীর্ঘদিন বন্ধ থাকা ক্লাবগুলো খুলে এখন চলছে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজ।

ক্লাবগুলোকে অন্ধকার থেকে আলোয় ফিরিয়ে আনার উদ্যোক্তা যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেল এমপি। তিনি ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার ৯ মাসের মাথায় দেশের শীর্ষ স্থানীয় ক্লাবগুলোর ওপর নেমে এসেছিল এই ঘোর অমানিশা। চার বছর পর ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী উদ্যোগ নিয়ে ক্লাবগুলো খুলে দিতে পেরেছেন। এ জন্য বেজায় খুশি দেশের ক্রীড়ার এই অভিভাবক।

‘আমার খুব ভালো লাগছে ক্লাবগুলো খুলে দিতে পেরে। কারণ, ক্লাব বন্ধ থাকায় দেশের খেলাধুলা ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছিল। আসলে ক্লাবই খেলাধুলার প্রাণ। তারা বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের মাধ্যমে খেলোয়াড় তৈরির কাজ করে থাকে। যা এতদিন বন্ধ ছিল। এখন ক্লাবপাড়ায় নতুন করে প্রাণ ফিরে পেয়েছে। এর চেয়ে ভালো খবর আর কি হতে পারে?’-বলছিলেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী।

কিভাবে কাজটি সম্ভব করলেন? জবাবে ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘বন্ধ ক্লাবগুলোর সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকরা একদিন আমার সঙ্গে দেখা করেছিলেন। তারা ক্লাব খুলে দেওয়ার উদ্যোগ নিতে আমাকে অনুরোধ করেন। আমি ওইদিনই দেখা করি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে। তাকে আমি বলেছিলাম, ক্লাব কোনো অপরাধ করেনি। অপরাধ করেছেন কিছু ব্যক্তি। তাদের শস্তি হোক আমরা চাই; কিন্তু খেলার স্বার্থে ক্লাবগুলো খুলে দেওয়া দরকার। পরে তিনি ক্লাবগুলোর কর্মকর্তাদের সময় দেন, তাদের সঙ্গে সভা করেন। সমস্যার কথা শোনেন। আমি র‌্যাবের ডিজির অনুমতি নেই। তারপর আদালত একটা ক্লিয়ারেন্স দিলে বন্ধ ক্লাবগুলো খুলে দেওয়া হয়।’

দারুণ এই উদ্যোগটা আগে নিলেন না কেন? তাহলে তো আরো আগে ক্লাবগুলো অন্ধকার থেকে মুক্ত হতে পারতো? ‘আসলে ক্যাসিনোকাণ্ডে ক্লাবগুলো বন্ধ হয়েছিল। আমিও এ নিয়ে সংকোচ বোধ করছিলাম। কারণ, এটা বড় একটা ঘটনা ছিল। তাছাড়া ক্লাবগুলোও কোনো আগ্রহ দেখায়নি। ক্লাবের লোকজন হয়তো অপরাধ না করেও অপরাধবোধো ভুগছিলেন। তারা আগে আগ্রহ দেখালে আমি আগে উদ্যোগ নিতে পারতাম। হয়তো আরো আগে খুলে দেওয়া সম্ভব হতো ক্লাবগুলো। যাক, তারপরও আমি খুব খুশি ক্লাবগুলো খুলে দেওয়ায় ভূমিকা রাখতে পেরে।’

প্রসঙ্গত: ক্যাসিনোকাণ্ডে বন্ধ থাকা ৯টি ক্লাব হচ্ছে- ফকিরেরপুল ইয়ংমেনস ক্লাব, ওয়ান্ডারার্স ক্লাব, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ক্রীড়া চক্র, কলাবাগান ক্রীড়া চক্র, ধানমন্ডি ক্লাব, আরামবাগ ক্রীড়া সংঘ, দিলকুশা স্পোর্টিং ক্লাব, ভিক্টোরিয়া স্পোর্টিং ক্লাব ও মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব। এরমধ্যে মোহামেডান, মুক্তিযোদ্ধাসহ কয়েকটি ক্লাব আংশিক বন্ধ ছিল।

আরআই/আইএইচএস/এমএইচআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।