ম্যান ইউনাইটেডকে ধ্বংস করে ম্যান সিটির বিজয় উল্লাস
নামে ও ভারে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড এখন যেন কেবল অতীতের স্মৃতি। নগর প্রতিদ্বন্দ্বী ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের ধারে কাছেও যে তারা নেই সেটাই আরেকবার বুঝিয়ে দিল সিটিজেনরা। ওল্ড ট্রাফোর্ডে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডকে রীতিমত বিধ্বস্ত করেছে তারা। মাঠের খেলায় ০-৩ গোলের ব্যবধানে জয় দেখালেও সেটা অনায়াসেও ০-৫ কিংবা ০-৬ ব্যবধান হতে পারতো। দলের হয়ে দুর্দান্ত খেলে দুটি গোল করেছেন আরলিং হালান্ড।
৩-২-৪-১ ফরমেশন নিয়ে এদিন খেলতে নামে ম্যান সিটি। পেপ গার্দিওলাকে কেন মাস্টারমাইন্ড বলা হয় সেটি আরও একবার তিনি প্রমাণ করেছেন। ম্যাচের শুরুতে অবশ্য প্রথম সুযোগ পায় ইউনাইটেড। তিন মিনিটের মাথায় ফার্নান্দেজের ক্রস থেকে বল পান ম্যাকটমিনে। এই স্কটিশের শট সোজা তালুবন্দি করেন সিটি গোলরক্ষক এডারসন।
ম্যাচের নবম মিনিটে গোলের সুবর্ণ সুযোগ মিস করেন সিটির হালান্ড। ইউনাইটেড গোলরক্ষক ওনানাকে একা পেয়েও বল জালে জড়াতে পারেননি এই নরওয়ের ফুটবলার। গোললাইন থেকে সেট ক্লিয়ার করেন ম্যাগুয়ের।
২০ মিনিটে আলভারেজের কর্নার থেকে গ্রিলিশের শট ইউনাইটেড খেলোয়াড়ের গায়ে লেগে গোলবারের সামান্য বাইরে দিয়ে চলে গেলে গোলবঞ্চিত হয় তারা। তবে ২৪ মিনিটেই পেনাল্টি পেয়ে বসে সিটিজেনরা।
ডি বক্সের ভেতর ইউনাইটেড স্ট্রাইকার হল্যান্ড সিটির রড্রিকে হাতে টেনে ফেলে দিলে ভিএআর এর মাধ্যমে রেফারি পেনাল্টির সিদ্ধান্ত দেন। স্পট কিক থেকে গোল করে দলকে ০-১ ব্যবধানে এগিয়ে দেন হালান্ড।
প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে ম্যাকটমিনের দুর্দান্ত ভলি সিটি গোলবারের সামান্য উপর দিয়ে চলে গেলে ০-১ ব্যবধানে পিছিয়ে থেকেই বিরতিতে যায় তারা।
বিরতি থেকে ফিরে যেন আরো আক্রমণাত্মক খেলতে থাকে পেপ গার্দিওলার দল। ৪৯ মিনিটেই সিটিকে ০-২ ব্যবধানে এগিয়ে দেন হালান্ড। বার্নারদো সিলভার ক্রস থেকে বল পেয়ে ফাঁকা গোলবারে বল জড়াতে ভুল করেননি এই দীর্ঘকায় স্ট্রাইকার।
ম্যাচের ৮০ মিনিটে আবারো গোল পায় সিটি। এবার দলটি ভবিষ্যৎ তারকা ফিল ফোডেন স্কোরশিটে নাম লেখান। এবার তিনি হালান্ডের দারুণ পাস থেকে গোল করে দলকে ০-৩ ব্যবধানে এগিয়ে দেন। পুরো ম্যাচে মাত্র ৩বারই গোলমুখে শট নিতে পেরেছে ইউনাইটেড যেখানে সিটি শট নিয়েছি ১০টি। এই জয়ে আবারো টেবিলের দুই নম্বরে উঠে আসলো ম্যান সিটি।
আরআর/জেডএইচ/