হংকংয়ে মেসি না খেলায় ক্ষমা চাইলো ইন্টার মিয়ামি

স্পোর্টস ডেস্ক
স্পোর্টস ডেস্ক স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৯:৫৮ এএম, ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪

হংকংয়ে ক্লাব ফ্রেন্ডলি ম্যাচে চোটের কারণে লিওনেল মেসিকে খেলাননি ইন্টার মিয়ামির কোচ। বিশ্বকাপজয়ী আর্জেন্টাইনকে না খেলানোয় দর্শকরা হয়েছেন চরম হতাশ। উগরে দিয়েছেন নিজেদের ক্ষোভ। শেষ পর্যন্ত বিষয়টি নিয়ে আলোচনায় বসেছে দেশটির সরকারও।

এবার মেসিকে না খেলানোর জন্য ক্ষমা চেয়েছে ইন্টার মিয়ামি। বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে পাঠানো এক বিবৃতিতে ক্লাবটি বলেছে, ‘আমাদের দৃঢ় ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও (আমরা তাদের খেলাতে পারিনি)। আমরা বুঝতে পেরেছিে যে, রোবারের ম্যাচে লিওনেল মেসি এবং লুইস সুয়ারেজের অনুপস্থিতিতে সবাই হতাশ হয়েছে। আমরা দুঃখিত যে দুই খেলোয়াড় অংশ নিতে পারেনি।’

‘আমরা এটাও স্বীকার করি যে, দেরিতে সিদ্ধান্ত নেওয়া আমাদের হংকং সমর্থক ও ইভেন্ট আয়োজক টেটলার এশিয়ার মধ্যে হতাশা সৃষ্টি করেছে। আমরা এটা প্রকাশ করার প্রয়োজন মনে করি যে, দুর্ভাগ্যবশত ইনজুরি খেলার একটি অংশ, আমাদের খেলোয়াড়ের স্বাস্থ্যকে সবার আগে গুরুত্ব দেওয়া উচিত।’

মিয়ামি বিবৃতিতে আরও জানায়, ‘ফুটবলে খেলোয়াড়রা ইনজুরি হন এবং এটি কারও দোষ নয়। এটি সুন্দর খেলার একটি অংশ যা নিষ্ঠুর এবং এই উপলক্ষ আমাদের হংকং সফরকে প্রভাবিত করেছে। যেহেতু আমরা বিভিন্ন স্টেকহোল্ডারদের কাছ থেকে নেতিবাচক মন্তব্য গ্রহণ করতে থাকি, আমরা এই ধরনের খেলার ইনজুরির বাস্তবতার বিষয়টি পুনরায় উল্লেখ করাটা বাধ্যমূলক বলে মনে করি।’

এর আগে মেসি হংকংয়ের একটি ক্লাবের বিপক্ষে খেলার খবরে হাজার হাজার দর্শক-সমর্থন গ্যালারিতে জমায়েত হন। সেখানে প্রায় ৪০ হাজার মেসিভ্ক্ত খেলা দেখতে আসেন। কেউ মেসির জার্সি নম্বর সম্বলিত জামা, কেউ শুধু মেসির জাসি নম্বর ১০ নিয়ে আসছিলেন। খেলা শুরুর আগেই তারা মেসি মেসি বলে চীৎকার করছিলেন।

কিন্তু পুরোটা সময় মেসিকে মাঠে না দেখে চরম হতাশ হন দর্শকরা। এমননি বার্সেলোনাতে মেসির সাবেক সতীর্থ লুইস সুয়ারেজকেও খেলাননি কোচ। ফলে দর্শকদের হতাশা বেড়েছে দ্বিগুণ। যদিও মেসির দল মিয়ামি ম্যাচটি জিতেছে ৪-১ গোলে।

এদিকে মেসিকে না খেলানোর কারণে আয়োজকদের অনুদানের ডলার কাটার কথা জানিয়েছে দেশটির সরকার।

এমএইচ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।