আশাবাদ ক্রীড়ামন্ত্রীর

এই প্রতিভাবানরাই একদিন জাতীয় দলে খেলবে

বিশেষ সংবাদদাতা
বিশেষ সংবাদদাতা বিশেষ সংবাদদাতা
প্রকাশিত: ০৮:১৮ পিএম, ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪

জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ (এনএসসি) প্রতিবছরের মতো এবারও তৃণমূল পর্যায় থেকে প্রতিভাবান (অনূর্ধ্ব-১৬) খেলোয়াড় বাছাই করেছে। দেশব্যাপী জেলা ও উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার মাধ্যমে হ্যান্ডবল, ভলিবল, বাস্কেটবল, কাবাডি, ভারোত্তোলন, সাইক্লিং, জিমন্যাষ্টিক্স, জুডো, দাবা, বক্সিং, ক্রিকেট- এই ১১ ডিসিপ্লিনে ইভেন্টভিত্তিক প্রতিভাবান খেলোয়াড় বাছাই করা হয়েছে।

বাছাইকৃত খেলোয়াড়দের বৃহস্পতিবার সনদ প্রদান করেছেন যুব ও ক্রীড়ামন্ত্রী নাজমুল হাসান পাপন। এ সময় তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেছেন, ‘এই প্রতিভাবানরাই একদিন জাতীয় দলে খেলবে। প্রতিভা হারিয়ে যেতে দেবো না।’

ক্রীড়ামন্ত্রী বলেছেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আমাদেরকে একটি স্বাধীন দেশ উপহার দিয়েছেন। তিনি দেশের ক্রীড়াঙ্গনের উন্নয়নেও নানা যুগান্তকারী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছিলেন। তিনি বিভিন্ন ক্রীড়া ফেডারেশন গড়ে তোলেন। তিনি দেশের ক্রীড়াঙ্গনকে সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করার জন্য ১৯৭২ সালেই প্রতিষ্ঠা করেন ‘বাংলাদেশ ক্রীড়া নিয়ন্ত্রণ সংস্থা’। যা আজকের ‘জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ’। বঙ্গবন্ধুর হাতে গড়া এই প্রতিষ্ঠানের উদ্যোগে প্রতিবছর দেশের তৃণমূল পর্যায় থেকে প্রতিভাবান খেলোয়াড় (বালক-বালিকা) বাছাই করার জন্য অনূর্ধ্ব-১৬ ক্রীড়া প্রতিভা অন্বেষন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। এটি একটি অসাধারণ উদ্যোগ। মূলত দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে প্রতিভাবান খেলোয়াড়দের তুলে আনতেই এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আমরা আমাদের প্রতিভাদের হারিয়ে যেতে দিতে চাই না।’

জাতীয় পর্যায়ে ১১টি ইভেন্টে বাছাইকৃত ১৬৪ জন খেলোয়াড়কে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের তত্ত্বাবধানে ২১ দিনের উন্নত প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে। প্রতিটি ইভেন্টে মেধা তালিকার শীর্ষে অবস্থানকারী ৫ খেলোয়াড়কে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন ফেডারেশনে দীর্ঘমেয়াদী উন্নত প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হবে।

মন্ত্রী বলেছেন, ‘কেবল প্রতিভা অন্বেষণ করেই সব শেষ করা যাবে না। তারা কোথায় কোন অবস্থানে আছে, আমরা তা মনিটরিং করবো। এখান থেকেই জাতীয় দলের খেলোয়াড় তৈরি হবে। যারা আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় দেশের প্রতিনিধিত্ব করবে। বাংলাদেশের জন্য সুনাম বয়ে আনবে।’

আরআই/এমএমআর/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।