আবাহনীকে হারিয়ে লিগ জমিয়ে দিলো মেরিনার্স

বিশেষ সংবাদদাতা
বিশেষ সংবাদদাতা বিশেষ সংবাদদাতা
প্রকাশিত: ০৭:১৬ পিএম, ০৩ এপ্রিল ২০২৪

টানা ৮ ম্যাচ জিতে প্রিমিয়ার লিগ হকিতে উড়ছিল আবাহনী। শিরোপা জয়ের পথে সবার চেয়ে এগিয়ে ছিল আকাশি-নীলরা। শেষ দুই ম্যাচে ৫ পয়েন্ট হারিয়ে সেই আবাহনী এখন ঊষার সঙ্গে যৌথভাবে দুইয়ে।

বুধবার মওলানা ভাসানী স্টেডিয়ামে লিগের প্রথম পর্বের শেষ ম্যাচে আবাহনীকে ২-১ গোলে হারিয়েছে মেরিনার্স। শেষ ম্যাচে এসে অপরাজিত থাকার গৌরবও ভাঙলো আবাহনীর। মেরিনার্সের এই জয়ে লিগটা জমে গেলো আবার।

মোহামেডান ও আবাহনী এগিয়ে চলছিল অপরাজিত থাকার গৌরব নিয়ে। মোহামেডানে অপরাজিত থেকেই প্রথম পর্বে শেষ করেছে। আবাহনী শেষ ম্যাচে হেরে যাওয়ায় মোহামেডানের মুখে চওড়া হাসি।

২৬ পয়েন্ট পাওয়া সাদা-কালোরা এখন টেবিলের শীর্ষে। তাদের পেছনে দুই ও তিনে থাকা আবাহনী ও ঊষার পয়েন্ট ২৫। মেরিনার্সের ২২। শুক্রবার শুরু হতে যাওয়া সুপার সিক্স এক পয়েন্টে এগিয়ে থেকে শুরু করতে পারবে মোহামেডান।

এ ম্যাচে মেরিনার্স হারলে লিগ লড়াইয় থেকে বলতে গেলে ছিটকেই যেতো তারা। কঠিন ম্যাচে আবাহনীকে হারিয়ে লিগ জমিয়ে দেওয়ার পাশাপাশি নিজেদের সম্ভাবনার সলতেও আবার জ্বালালো ক্লাব কাপ চ্যাম্পিয়নরা। শীর্ষে থাকা মোহামেডানের চেয়ে ৪ পয়েন্ট পিছিয়ে।

এ অবস্থা থেকে লিগ জেতা কঠিন মনে করলেও হাল ছেড়ে দিতে নারাজ মেরিনার্সের কোচ মামুনর রশীদ। তিনি মনে করেন, প্রথম ম্যাচে ঊষার কাছে হারটাই তাদের সর্বনাশের মূল কারণ। এখন তার লক্ষ্য বাকি ৫ ম্যাচ জেতার।

আবাহনীর কোচ হেদায়েতুল ইসলাম রাজীবের কাছে এই ম্যাচে দলের পারফরম্যান্সের ব্যাখ্যা নেই। তিনি নিজেও অনুভব করতে পেরেছেন খেলোয়ড়দের মধ্যে জয়ের তৃষ্ণা সেভাবে দেখা যায়নি। একটু ক্লান্ত মনে হয়েছে সবাইকে। বিদেশি খেলোয়াড়দের সঙ্গে স্থানীয়দের সমন্বয় গড়ে না ওঠার কারণেই এমন হতে পারে। তবে রাজীব আশাবাদী, বাকি ৫ ম্যাচ জিতে চ্যাম্পিয়ন হওয়া সম্ভব।

আবাহনীর হারে শীর্ষে উঠে গেলো মোহামেডানে। দলের অধিনায়ক রাসেল মাহমুদ জিমি বলছিলেন, ‘আমরা এখন শীর্ষে। এটা ধরে রাখার চেষ্টা করবো সুপার সিক্সে। তাহলেই আমরা চ্যাম্পিয়ন হতে পারবো।’

হকি লিগের বড় ম্যাচ মানেই নানা নাটক। অনেকের চোখে সার্কাস। তবে আবাহনী ও মেরিনার্সের এই ম্যাচটি নজিরই স্থাপন করেছে। ম্যাচ শেষ করে হাসতে হাসতে মাঠ ছাড়ছিলেন দুই আম্পায়ার শ্রীলঙ্কার দিয়ান দিশানায়েকে ও সেলিম লাকি।

পুরো ম্যাচে একটি সিদ্ধান্ত দিতে হয়েছে ভিডিও আম্পয়ারকে। তাও ম্যাচের শেষ কোয়ার্টারে। এক মিনিটের জন্যও বন্ধ হয়নি খেলা। মেরিনার্সের জয়, আবাহনীর প্রথম হারের পাশাপাশি কোনো ঝামেলা না হওয়াটাও ছিল ম্যাচ শেষের আলোচনায়।

মেরিনার্সের গোল করেছেন কৌশিক ও সবুজ। আবাহনীর গোলদাতা মিমো। মেরিনার্স ২-০ গোলে এগিয়ে যাওয়ার পর আবাহনী এক গোল শোধ দিয়ে ব্যবধান কমায়।

আরআই/এমএমআর/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।