পারফর্ম নয়, সুপারিশে দলে আজম খান? সাংবাদিকের প্রশ্নে চটলেন ফখর

স্পোর্টস ডেস্ক
স্পোর্টস ডেস্ক স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৮:০৯ পিএম, ২৬ মে ২০২৪

বাবা মোহাম্মদ মঈন খান। পাকিস্তানের সাবেক এই অধিনায়কের ছেলে আজম খান বর্তমানে খেলছেন পাকিস্তানের জার্সিতে। তবে জাতীয় দলের জার্সিতে ১২ টি-টোয়েন্টি খেলে ফেললেও এখনো বড় কোনো ইনিংস বেরিয়ে আসেনি আজম খানের ব্যাট থেকে। এসব ম্যাচে এই উইকেটরক্ষক ব্যাটারের রান মাত্র ৮৮। গড় ১১।

পারফর্ম নেই। তবুও পাকিস্তানের বিশ্বকাপ স্কোয়াডে আছেন আজম খান। তাহলে কি কারো প্রভাবে দলে থাকছেন এই উইকেটরক্ষক? পাকিস্তান ক্রিকেটভক্তদের মনে এমন প্রশ্ন আসতেই পারে। সেই কৌতুহল থেকেই সংবাদ সম্মেলনে পাকিস্তানের আরেক টপঅর্ডার ফখর জামানকে প্রশ্নটি করেছেন এক সাংবাদিক।

ফখরের কাছে জানতে ওই সাংবাদিক জানতে চান, কোনো সুপারিশের কারণেই কি 'আনফিট' আজম খান দলে জায়গা পেয়েছেন?

সাংবাদিকের এমন প্রশ্ন মোটেও ভালোভাবে নেননি ফখর। রেগে গিয়ে উল্টো সেই সাংবাদিকের মন্তব্যের সমালোচনা করেন পাকিস্তান টপঅর্ডার।

ফখরের দাবি, আজম খান পারফর্ম করেই দলে এসেছে। বিভিন্ন ফ্র্যাঞ্চাইজিতে দুর্দান্ত পারফর্ম করার কারণেই তাকে দলে নেওয়া হয়েছে। বিশেষ করে ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (সিপিএল) আজম খানের পারফরম্যান্স ছিল দারুণ। আর স্কোয়াডও চূড়ান্ত করা হয়েছে যোগ্যতার ভিত্তিতেই।

ফখর বলেন, ‘আপনি নিজে যদি একটি দল চূড়ান্ত করেন, সেক্ষেত্রে তাকে বাদ দিয়েন। দল বাছাই করেছেন গ্যারি কারস্টেন ও বাবর আজম। আপনি যা বলেছেন, তা একজন খেলোয়াড়ের প্রতি অসম্মানজনক। তিনি কীভাবে দলে জায়গা খুঁজে পেয়েছেন তা আপনাকে দেখতে হবে। সিপিএলে পারফরম্যান্সের কারণে তাকে নির্বাচিত করা হয়েছে।’

পাকিস্তানের এই টপঅর্ডার আরও বলেন, ‘আজম খানের মতো একজন খেলোয়াড় কীভাবে একাদশে জায়গা করে নিয়েছিলেন তা নিয়ে একটু গবেষণা করুন। আমিও বলতে পারি যে, আপনি এখানে সুপারিশ করে এসেছেন। সুতরাং সংবাদ সম্মেলনে আসার আগে কিছু গবেষণা করুন।’

গতকাল ইংল্যান্ডের বিপক্ষে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে ১০ বলে মাত্র ১১ রান করেছেন আজম খান। এই ম্যাচে পাকিস্তান ২৩ রানে হেরে সিরিজে ১-০ ব্যবধানে পিছিয়ে গেছে।

এমএইচ/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।