বাইক স্টার্ট করার সময় যে ভুল করবেন না

বাইক চালাতে গিয়ে অনেকেই অনেক ধরনের সমস্যায় পড়েন। বেশিরভাগ সময় ব্যবহারের নানান ছোট ছোট ভুলে বাইকের সমস্যা তৈরি হয়। বিশেষ করে বাইক স্টার্ট করার সময় যে ভুলে বাইকের ইঞ্জিনে প্রেশার পরে ফলে দেখা দেয় বিভিন্ন সমস্যা।
বর্তমানে বেশিরভাগ বাইকই কিক ফিচার রিমুভ করেছে। এমনকি রয়্যাল এনফিল্ড সংস্থা পর্যন্ত নিজেদের নতুন বাইক থেকে কিক ফিচার সরিয়ে দিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে বাইক স্টার্ট দেওয়ার ক্ষেত্রে একটাই মাত্র বিকল্প রয়েছে। আর সেটি হলো-সেলফ স্টার্ট।
ধীরে ধীরে ব্যবহারকারীরাও সেলফ স্টার্টে অভ্যস্ত হচ্ছেন। আর বর্তমানে এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, যার ফলে কিক ফিচার থাকলেও ব্যবহারকারীরা শুধু সেলফ ব্যবহার করছেন। এই পরিস্থিতিতে বাইক স্টার্ট দেওয়ার সঠিক উপায় জেনে রাখা জরুরি।
বাইক স্টার্ট দেওয়ার জন্যই মূলত থাকে কিক এবং সেলফ ফিচার। সুবিধার জন্য সব সময় ব্যবহারকারীরা সেলফ ব্যবহার করেন। কিন্তু বাইকার বিশ্বাস করেন কিকের মাধ্যমে বাইক চালু করা ভালো বিকল্প। এদিকে বাইক যখন কিকে স্টার্ট দিতে হয়, তখন ২-৪ বার বাইককে কিক করতে হয়। এতে বাইক ম্যানুয়ালি স্পার্ক পায়।
বাইককে কিক করে স্টার্ট দিলে এর ক্র্যাঙ্কশ্যাফ্ট ঘুরতে শুরু করে। ক্র্যাঙ্কশ্যাফ্ট ঘুরতে ঘুরতে পিস্টন এবং পিস্টন হেডের সঙ্গে এর সংঘর্ষ হয়। যা ঘর্ষণের সৃষ্টি করে। এরপর ইঞ্জিনের পেট্রোল এবং বাতাস মিশে ভালভে একটা স্পার্ক উৎপন্ন করে। এই প্রক্রিয়ায় চালু হয় বাইক। কিন্তু যখন ব্যবহারকারী সেলফ-স্টার্ট বাটন প্রেস করেন, তখন সেই বাটন স্টার্টার মোটরে ইলেকট্রিক কারেন্ট পাঠায়। এরপর ক্র্যাঙ্কশ্যাফ্ট ঘুরতে থাকে। নিজে থেকেই চালু হয় বাইক।
রাতে বাইক বন্ধ করে রেখে দেোয়ার ফলে ইঞ্জিন ঠান্ডা হয়। আর শীতের মরশুমে এই প্রক্রিয়া আরও দ্রুত গতিতে হয়। ইঞ্জিনের ফায়ারিং মেকানিজমকেও এটি ঠান্ডা করে। তাই শীতের সময় বাইককে সেলফ স্টার্ট করলে একবারে তা চালু হয় না। এরপর সেটিকে কিক করতে হয়। আসলে কিক করার ফলে স্টার্টার মোটরটি চাপ, ঘর্ষণ, বাতাস এবং জ্বালানির সাহায্যে সঠিক ভাবে স্টার্ট নেয়।
সূত্র: নিউজ১৮
কেএসকে/এএসএম