সুরক্ষার চেয়ে লাভের দিকেই গুরুত্ব ফেসবুকের, অস্বীকার জুকারবার্গের

অডিও শুনুন
সামাজিক মাধ্যমে মানুষের সুরক্ষা নিশ্চিতের চেয়ে লাভের দিকেই বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে ফেসবুক। সম্প্রতি ওঠা এমন অভিযোগ অস্বীকার করেছেন এই জনপ্রিয় সামাজিক মাধ্যমের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মার্ক জুকারবার্গ।
ফেসবুকের সাবেক এক কর্মী মার্কিন আইনপ্রণেতাদের বলেছেন, এই সামাজিক মাধ্যম শিশুদের ক্ষতি করছে এবং আমাদের গণতন্ত্রকে দুর্বল করে তুলছে। গত জানুয়ারিতে ট্রাম্প সমর্থকদের ক্যাপিটল হিলে হামলার ঘটনার এক শুনানিতে ফ্রান্সিস হুগেন নামে ৩৭ বছর বয়সী ফেসবুকের সাবেক পণ্য ব্যবস্থাপক এই সামাজিক মাধ্যমের তীব্র সমালোচনা করেছেন।
ইন্টারনেট দুনিয়ায় ফেসবুকের বিভিন্ন পোস্ট যাচাই-বাছাই এবং নিয়ন্ত্রণ করার আহ্বান বাড়তে শুরু করেছে। তবে জুকারবার্গ এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। সম্প্রতি ওঠা অভিযোগে কোম্পানির সম্পর্কে মিথ্যা তথ্য প্রচার করা হচ্ছে বলে দাবি তার।
কর্মীদের উদ্দেশে লেখা একটি চিঠি নিজের ফেসবুকে পোস্ট করেন জুকারবার্গ। সেখানে তিনি নিজের বেশ কিছু চিন্তা ভাবনা শেয়ার করেছেন। সম্প্রতি কয়েক ঘণ্টা ধরে ফেসবুকের আওতাধীন সামাজিক মাধ্যমগুলোতে বিভ্রাটের ঘটনাও সেখানে উল্লেখ করেন তিনি। এই ঘটনাকে সাম্প্রতিক সময়ে তাদের জন্য সবচেয়ে ভয়াবহ বিভ্রাটের ঘটনা বলে উল্লেখ করেছেন জুকারবার্গ।
এ ধরনের ঘটনার বিরুদ্ধে কিভাবে বিভিন্ন সিস্টেমকে আরও শক্তিশালী করা যায় তা নিয়ে প্রতিষ্ঠানটি ২৪ ঘণ্টার বেশি সময় ব্যয় করেছে। তিনি বলেন, এটা আমাদের এ বিষয়টি মনে করিয়ে দিচ্ছে যে আমাদের কাজ মানুষের জন্য কতটা গুরত্বপূর্ণ।
জুকারবার্গ বলেন, ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে বিভ্রাটের কারণে লোকজন এই প্লাটফর্মের প্রতিদ্বন্দ্বী মাধ্যমগুলোতে কতটা ঝুঁকে পড়েছে বা ফেসবুকের কত টাকা ক্ষতি হয়েছে সেটা আমাদের জন্য উদ্বেগের বিষয় নয়। বরং আমাদের কাছে গভীর উদ্বেগের বিষয় হচ্ছে, কিছু সময়ের বিভ্রাটের কারণে লোকজন তাদের প্রিয়জনদের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকতে পারেননি, তাদের ব্যবসায়িক কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারেননি এবং কমিউনিটির সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
তিনি বলেন, সুরক্ষা, মানসিক স্বাস্থ্যের বিষয়গুলোতে আমরা সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেই। আমাদের কাজ এবং চিন্তা ভাবনাকে ভুলভাবে উপস্থাপন করা বিভিন্ন সংবাদ মেনে নেওয়া আমাদের জন্য বেশ কঠিন। শিশুদের জন্য ক্ষতিকর কিছু করা হচ্ছে না এবং কোম্পানি সুরক্ষার চেয়ে মুনাফাকে গুরুত্ব দিচ্ছে এমন তথ্য সত্যি নয়।
টিটিএন/এমএস