বায়ুমণ্ডলীয় নদী (Atmospheric River) বা আকাশ নদী (Flying River)
সাধারণত গ্রীষ্মমণ্ডলয় অঞ্চলে উষ্ণ সমুদ্রাঞ্চলে অতিরিক্ত জলীয় বাষ্প তৈরি হয়। এটি সবারই জানা যে বাষ্প মেঘ হয়ে জমাট বাধে এবং শীতল অঞ্চলে পৌঁছে বৃষ্টিপাত ঘটায়। কিন্তু অতিরিক্ত তাপ ও বাষ্প হওয়া পানি খুব দ্রুত মেঘের স্তরে জমতে থাকে এবং বিশাল অঞ্চল জুরে স্বল্প সময়ের মধ্যেই এই মেঘ তৈরি হয়। বিশ্বের সবচাইতে পরিচিত এমন আকাশ নদীর একটি অ্যামাজান অঞ্চলে যেখানে হওয়া বৃষ্টিপাতের কারণে সজীব থাকে ব্রাজিল, আর্জেন্টিনা সহ দক্ষিণ আমেরিকার অধিকাংশ দেশ।
আবহাওয়াবীদদের মতে একটি বায়ুমণ্ডলীয় নদী গড়ে প্রায় ২০০০ কিলোমিটার দীর্ঘ, ৫০০ কিলোমিটার প্রশস্ত এবং ৩ কিলোমিটার গভীর হয়। কখনও কখনও এটি ৫০০০ কিলোমিটার পর্যন্তও বিস্তৃত হতে পারে। ২৪-৭২ ঘণ্টার মধ্যে এই উড়ন্ত নদী থেকে ২০০-৫০০ মিলিমিটার পর্যন্ত বৃষ্টি হতে পারে। ক্যালিফোর্নিয়ায় ২০২৩ সালের এক আকাশ নদী প্রবাহে একদিনে ২৫০ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছিল। অন্যদিকে ভারতের মেঘালয়ের চেরাপুঞ্জিতে ২২ জুনে ১৬৪ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়। যার ফলে হঠাৎ বন্যা হয় চট্টগ্রাম, নোয়াখালী ও ফেনী এলাকায়। এই বৃষ্টি প্রভাবে বাংলাদেশে খুব বড় বৃষ্টিপাত না হলেও মাত্র ১ দিনের ব্যবধানে কুশিয়ারা নদীর অমলশীদ পয়েন্টে পানি বেড়ে যায় ১৯১ সেন্টিমিটার।
আবহাওয়াবীদদের ভাষ্যমতে, ৩০০ মিলিমিটার বৃষ্টি হলে তা ১০ দিনব্যাপী বন্যা সৃষ্টি করতে পারে।