এ কেমন রীতি জাপানিদের?

ভ্রমণ ডেস্ক
ভ্রমণ ডেস্ক ভ্রমণ ডেস্ক
প্রকাশিত: ০১:৫৭ পিএম, ২৪ জুলাই ২০২২

জাপান হলো পূর্ব এশিয়ার একটি দ্বীপরাষ্ট্র। প্রশান্ত মহাসাগরের পূর্ব কোণে ৬ হাজার ৮০০টি দ্বীপ নিয়ে গড়ে উঠেছে জাপান। জাপানিরা বেশ শান্ত প্রকৃতির হয়। তারা লাজুকও বটে!

তবে সহজেই অন্যদের সঙ্গে মনখুলে মিশতে পারেন জাপানিরা। আতিথিয়তার দিক দিয়েও তারা সেরা। জাপানিদের সংস্কৃতিতেও আছে ভিন্নতা। তার মধ্যে অন্যতম হলো জনসম্মুখে বিবস্ত্র গোসল সংস্কৃতি।

জাপানিদের সবচেয়ে অদ্ভুত এক রীতি হলো পাবলিক বাথ। পুরো জাপানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে পাবলিক বাথ। জাপানিজ ভাষায় পাবলিক বাথের স্থানকে বলা হয় সেন্টু।

jagonews24

এর ভেতরে সবাই বিবস্ত্র থাকেন। এটাই নাকি তাদের রীতি। গোসলরত অবস্থায় কেউ কাউকে দেখে যদি ভুলেও হেসে ফেলেন, তাহলে তাকে অভদ্র ভাবা হয়।

সেন্টুতে একসঙ্গে ১৫-২০ জন গোসল করতে পারেন। তবে নিয়ম অনুযায়ী কেউ যদি লজ্জা পান তাহলে তিনি তোয়ালে পরতে পারেন। তবে কাউকে বুঝতে দেওয়া যাবে না, আপনি লজ্জা পাচ্ছেন। জানলে বাকিরাও লজ্জা পাবেন।

যেহেতু জাপান শীতপ্রধান দেশ তাই পুলের পানি থাকে বেশ গরম। একটি পুলের পানি একেবারেই জিরো ডিগ্রি, আর অন্যটি ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রার। খুব গরম লাগলে ঠান্ডা পানিতে নামেন অনেকেই। এছাড়া সেখানে একটি বাথে থাকে রেড ওয়াইন। চাইলে ওয়াইন পুলেও নামতে পারেন যে কেউই।

jagonews24

সেন্টুতে যতক্ষণ খুশি গোসল করা যাবে। বিল ৫৫০ ইয়েন। সান্টুর ভেতর দেয়ালের গা ঘেঁষে আছে অ্যাকুয়ারিয়াম। যেখানে অসংখ্য রঙিন মাছ সাতার কাটছে মনের আনন্দে। জাপানে সব সেন্টুতেই বাগান থাকে। কাঁচের দেয়াল দিয়ে গোসলের সময় বাগান দেখা যায়।

জাপানে পাবলিক বাথের সংস্কৃতি অনেক পুরোনো হলেও আজও জনপ্রিয়। প্রথম দিকে বুদ্ধিস্ট-মঙ্করা পবিত্র হওয়ার জন্য এভাবে গোসল করতো। ১৯০০ সাল পর্যন্ত নারী-পুরুষ একসঙ্গে সেন্টুতে গোসলের অনুমতি ছিল। তবে এখন তা নিষিদ্ধ।

জাপানের প্রতি শহরেই আছে সেন্টু! জানা যায়, পুরো জাপানে প্রায় ১৮০০টি সেন্টু আছে। আধুনিক বাড়ি ও হোটেলগুলোতে সেন্টু বানানোর কারণে ঐতিহ্যবাহী সেন্টুর সংখ্যা কমছে।

jagonews24

মানুষ বিশেষ করে তরুণ-তরুণীরা আগের মতো সেন্টুতে যেতে চায় না। প্রাইভেসি রক্ষা করে চলে। তবে অনেক পরিবারের সদস্যরা মাসে অন্তত একবার হলেও সেন্টুতে যান।

সূত্র: জাপান.ট্রাভেল

জেএমএস/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।