প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ঘেরা লক্ষীবাওরের জলাবন
![প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ঘেরা লক্ষীবাওরের জলাবন](https://cdn.jagonews24.com/media/imgAllNew/BG/2023March/tour-cover-20240414155219.jpg)
জাবেদুর রহমান
ঈদ মানেই একটু ঘোরাঘুরি, আর বাড়তি আনন্দ। ঈদ মানেই সবাই এক হয়ে কোথাও ছুটে চলা, ঈদ মানেই নতুন ভ্রমন জায়গা খুঁজে বের করা। তাই ঈদের আনন্দকে দ্বিগুণ করতে নীল জলের বুকে ভেসে থাকা হিজল আর করচের বাগানে সৃষ্টি হওয়া অপরুপ সৌন্দর্য দেখতে লক্ষীবাওরে আমাদের ছুটে চলা।
এটি হবিগঞ্জের বানিয়াচং উপজেলায় লক্ষীবাওর (সোয়াম্প ফরেস্ট) নামে পরিচিত। প্রাকৃতিক সৌন্দর্য আর পাখির কিচির মিচির শব্দে যে কাউকে কিছুক্ষণের জন্য থমকে দেবে সেখানকার পরিবেশ। এটি সিলেটের রাতারগুলের চেয়েও আয়তনে বড় ও সৌন্দর্যে ভরপুর।
পর্যটকদের কাছে নতুন আকর্ষণ এই জলাবন। বর্ষায় চারিদিকে অথৈ জলরাশি হলেও বর্ষার জল নেমে গেলেও কমতি নেই অপরূপ সৌন্দর্য ও পর্যটকদের। লক্ষীবাওরে গিয়েছি চারবার। তবুও যেন বারবার মুগ্ধ হই সেখানে গিয়ে। ঈদের ২য় দিন মোটর সাইকেল নিয়ে বিকেল বেলা আমরা নবীগঞ্জ থেকে বানিয়াচং উপজেলার দিকে যাত্রা শুরু করি।
আর পড়ুন
যাওয়ার পথে প্রকৃতির বাতাস আর দৃশ্য দেখে যেন শহরের ধুলাবালি আর যানজটের কথা একটুর জন্য হলেও ভুলে গিয়েছি। দীর্ঘ এক ঘণ্টা ২০ মিনিট পর আমরা পৌঁছে যাই জলরাশির বুকে মাথা উঁচু করে দাড়িঁয়ে থাকা করচ-হিজলসহ বিভিন্ন রকমের গাছ-গাছালির অপরূপ সৌন্দর্যে ঘেরা লক্ষীবাওর।
খড়তি নদীর দক্ষিণ দিকে বিরাট হাওরের মধ্যে অবস্থিত এই জলাবন এলাকাবাসীর নিকট খড়তির জঙ্গল বা লক্ষীবাওর নামে পরিচিত। হবিগঞ্জ শহর থেকে ১৭ মাইল পর বানিয়াচং আদর্শবাজার থেকে মাত্র ৫ কিলোমিটারের পথ অতিক্রম করলেই লক্ষীবাওর জলাবনের পৌঁছে যাবেন।
সর্বোপরি একেক করে সিলেটের রাতারগুলের চেয়েও আয়তনে বড় ও সৌন্দর্যে ভরপুর লক্ষীবাওর জায়গা ঘুরে দেখি আমরা। হাসি-আনন্দে সারাক্ষণ অতিবাহিত হয় আমাদের এ যাত্রা। ভ্রমণকে স্মরণীয় করে রাখতে তোলা হয় স্থিরচিত্র। সৌন্দর্যঘেরা এই জলাবনের কথা স্মরণীয় হয়ে থাকবে।
লেখক: লেখক ও শিক্ষক
জেএমএস/এএসএম