‘শুধু আইন করে বাল্যবিয়ে প্রতিরোধ সম্ভব না’

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৬:০০ পিএম, ০২ মার্চ ২০২৩

শুধু আইন করে বাল্যবিয়ে প্রতিরোধ সম্ভব নয়। এজন্য প্রয়োজন সামাজিক সচেতনতা। বাল্যবিয়ে সর্বনিম্ন পর্যায়ে নিয়ে আসতে জনপ্রতিনিধি, সামাজিক সংগঠন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, জেলা-উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে বাল্যবিয়ে নিরোধ কমিটিসহ সংশ্লিষ্ট সবার সহযোগিতা প্রয়োজন।

বৃহস্পতিবার (২ মার্চ) ঢাকা জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে ঢাকা আহছানিয়া মিশন আয়োজিত সাংবাদিকদের এক ওরিয়েন্টেশনে এসব কথা বলেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমান।

আরও পড়ুন: বাল্যবিয়ে রোধে প্রয়োজন আইনের যথাযথ প্রয়োগ

ঢাকা জেলা প্রশাসক বলেন, বাল্যবিয়ের সুনির্দিষ্ট তথ্য থাকলে আমাদের জানাবেন। আমরা দ্রুত ব্যবস্থা নেবো। বাল্যবিয়ের ক্ষেত্রে কোনো ছাড় নেই।

এতে সভাপতিত্ব করেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এ কেএম হেদায়েতুল ইসলাম। ওরিয়েন্টেশনে বাল্যবিয়ে নিরোধ আইন, বিধিমালার ওপর আলোচনা করেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এ কেএম হেদায়াতুল ইসলাম।

আরও পড়ুন: ৬শ বাল্যবিয়ে বন্ধ করতে পেরেছে বাংলাদেশি এই কিশোরী

তিনি বলেন, বাল্যবিয়ে প্রতিরোধে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, উপজেলা মহিলাবিষয়ক কর্মকর্তা, উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা, উপজেলা প্রাথমিক বা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে অভিযোগ জানাতে পারেন। তবে মিথ্যা অভিযোগ দেওয়া যাবে না। এজন্য রয়েছে অনধিক ছয় মাসের কারাদণ্ড অথবা ৩০ হাজার টাকা জরিমানা কিংবা উভয় দণ্ডে দণ্ডনীয় হবেন। আর বাল্যবিয়ের শাস্তি অনধিক দুই বছর কারাদণ্ড। বাল্যবিয়ে আয়োজনের সঙ্গে জড়িত পিতা-মাতাসহ অন্যান্যদের জন্য আইনে শাস্তি রয়েছে। অনধিক দুই বছর, সর্বনিম্ন ছয় মাস কারাদণ্ড। বাল্যবিয়ে সম্পাদনকারীর (নিকাহ রেজিস্টার) অনধিক দুই বছর ও সর্বনিম্ন ছয় মাস কারাদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে।

আরও পড়ুন: আট মাসে ২৪৭৪ বাল্যবিয়ে, ধর্ষণ ৫৭৪

অনুষ্ঠানের রিসোর্স পারসন হিসেবে ছিলেন ফাতেমা জহুরা, উপ-পরিচালক, জেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর, এবং কাজী গোলাম আহাদ, পরিচালক বিভাগীয় তথ্য অফিস ঢাকা। অনুষ্ঠানের সার্বিক দায়িত্বে ছিলেন ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের পক্ষে ফারহানা বেগম।

জেএ/জেডএইচ/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।