সাহিত্য

শীতের ভেতর এবং অন্যান্য

শীতের ভেতর

যে কোনো সকালতুমি হারিয়ে যেতে পারো,যেন শীতের হালকা কুয়াশামাটির চোখে পড়ছে।

ফুল ফোটে কিন্তু কেউ দেখে না;প্রজাপতি ওড়ে কিন্তু তুমি বোঝো না।শিশির পড়ে ধীরে,মনোটোনে—কেউ গুনছে না।

তুমি মারা যাবে—এমন ভাব নয়,শুধু মনে হয়,কিশোরের মতো একটি আকাশ,জন্ম-মৃত্যু-জীবনের কথা কেউতোমাকে কখনো বলেনি।

****

স্বেচ্ছাহৃত ঋতু

কিছু ঋতু আসে—মনে হয়সময় কেবল এক দীর্ঘ ভুল।

স্বল্পদৈর্ঘ সাক্ষাতেপাথর আর গলিত মায়ার নীরব দ্বন্দ্ব,দুজনার মাঝখানেঝরে পড়ে অচেনা শৈথিল্য।

এ-ধ্রুবই সত্য তবু—স্মৃতি ফিরলো না আর,স্বেচ্ছাহৃত পরিচয়হাওয়ার খামে মোড়া।

নৈঃসঙ্গ্যের পাখিবনেএক গন্ধ বহে যায় ধীরে—পুরোনো, চেনা,ফাল্গুনের অন্তর্গতএক নিঃশব্দ অগ্নিসন্ধ্যা।

****

রোদের ভেতর হাহাকার

প্রতিদিন রোদ নামে,সাদা-কালো-লালের ভেতর দিয়ে তুমি হেঁটে আসোমৃদু কোনো অনুশোচনার মতো,আর আমার হৃদয়ের পাশে ছোট ছোট ঘ্রাণফুল হয়ে জেগে ওঠে।

ফুটতে ফুটতে দিন শেষ হয়,যুবক আলো বার্ধক্যের রং মেখে ফিকে হয়ে যায়—তবু আসে, আরও আসে সেই চেনা নস্টালজিক গন্ধ,পুরোনো নূপুরের শব্দ,রেডিওতে হারানো মন ভোলানো গান।

শোনো রোদ,দৃশ্যের দুর্দিনে একটু দীপ্তি রেখো—কমে যাওয়া সকালগুলোকে,বিষণ্ণ দুপুরকে,নিঃশব্দ রাতের ভেতর জমে থাকা মৃত্যুপূর্ব শূন্যতাকেএকটুখানি প্রেমে ভিজিয়ে দিও।

আমি শুধু চাই—সমস্ত সময়ের বুকজুড়েএক জীবনের ভালোবাসা এঁকে যেতে,এবং না-পারার যে গভীর হাহাকারসেটাকে ধীরে ধীরে আলো হতে দিতে।

এসইউ