৭৫টি গাছ থেকে ১ লাখ টাকার মাল্টা বিক্রি

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি চাঁপাইনবাবগঞ্জ
প্রকাশিত: ০১:৫৯ পিএম, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২২

অডিও শুনুন

বাগানে সারিবদ্ধ মাল্টার গাছ। প্রতিটি গাছের সবুজ পাতার ফাঁকে দুলছে আধাপাকা মাল্টা। ফলের ভারে নুয়ে পড়েছে গাছের ডালগুলো। চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জের উপজেলার বাঙ্গা ব্রিজ এলাকার জাকারিয়া (৪০) নামে এক কসমেটিকস ব্যবসায়ীর মাল্টার বাগানে গিয়ে এমন চিত্র দেখা গেছে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত চার বছর আগে ছোট আম বাগানে ৭৫টি মাল্টা গাছ রোপণ করেছিলেন জাকারিয়া। তখন তাকে অনেকেই এসব জমিতে মাল্টা চাষ হবে না বলে উপহাস করেছিল। কিন্তু দেড় বছর না গড়াতেই গাছে আসতে শুরু করে সুন্দর আকৃতির মাল্টা। এ দেখে পরিচর্যায় মনোযোগী হন তিনি। মাত্র ৭৫টি গাছে গত বছর প্রায় ৫০ হাজার টাকা পেয়েছেন জাকারিয়া। এবার ও ভালো ফলন হয়েছে। এ প্রর্যন্ত এবছর প্রায় ৫০ থেকে ৫৫ হাজার টাকার মাল্টা বিক্রি করেছেন তিনি।

Malta-(3)

জাকারিয়া জাগো নিউজকে বলেন, আমি বর্তমানে কসমেটিকসের ব্যবসা করি। কিন্তু গাছ লাগতে আমার খুব ভালো লাগে। এজন্য গত চার বছর আগে বাড়ির পাশের একটি ছোট আম বাগানে ৭৫টি মাল্টা গাছ রোপণ করেছিলাম। তখন এলাকাবাসী আমাকে খুব উপহাস করেছিল। কিন্তু গত দুই বছরে আমি যে সফলতা পেয়েছি তা দেখে অনেকে এখন আমার কাছে মাল্টা গাছের চারা কিনতে আসছেন। সম্প্রতি আমি এ বাগান থেকে প্রায় ১ লাখ টাকার মাল্টা বিক্রি করেছি। আশা করছি আরও ৫০ হাজার টাকা পাব।

তিনি আরও বলে, এই মাল্টা অনেক সুস্বাদু এবং আকারে অনেক বড় হয়। তাই দ্রুত ও সহজে ক্রেতা পাওয়া যায়। বর্তমানে ২ হাজার থেকে ২২০০ টাকা মণ দরে এই মাল্টা বিক্রি করছি।

স্থানীয় সাবিরুল নামে এক আম চাষি বলেন, গত চার বছর আগে জাকারিয়াকে আমরা উপহাস করেছিলাম। কিন্তু আজ ঝুবতে পারছি ভুল করেছি। এই মাল্টা চাষ করে লাভবান হওয়া সম্ভব। তাই আমি উদ্যোগ নিয়েছি দুই বিঘা জমির আম বাগান কেটে ফেলে মাল্টা বাগান গড়ে তুলব।

Malta-(3)

জসিম নামে আরও এক আম চাষি বলেন, জাকারিয়ার জমিতে দুই ধরনের ফল চাষ হচ্ছে। তিনি আমের সময়ে আমও বিক্রি করছেন। আর মাল্টাতেও ভালো টাকা পাচ্ছেন। তবে আমরা প্রথমে তাকে উপহাস করেছিলাম। এটা ঠিক হয়নি।

শিবগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শরিফুল ইসলাম বলেন, এই এলাকার মাটি মাল্টা চাষের জন্য বেশ ভালো। তাই দিনদিন মাল্টার চাষ বড়ছে। আর এখানে ব্যাপক পরিমাণে মাল্টার চাষ হলে। দেশের বাইরে থেকে মাল্টা আমদানি কমে আসবে। এতে লাভবান হবেন এখানকার মানুষ। এখানকার মাল্টা অন্য স্থানের তুলনায় আকারে অনেক বড় এবং সুস্বাদু। যেহেতু মাল্টার গাছে জায়গা কম লাগে। তাই আম বাগানেও মাল্টা চাষ করা যায়।

সোহান মাহমুদ/এমএমএফ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।