পড়াশোনার পাশাপশি স্কোয়াস চাষে সফল মনজুরুল

উপজেলা প্রতিনিধি উপজেলা প্রতিনিধি বেনাপোল (যশোর)
প্রকাশিত: ১২:৩৩ পিএম, ১৭ জানুয়ারি ২০২৪

যশোরের শার্শা উপজেলায় কৃষি বিভাগের সহযোগিতায় রকমারি সবজি চাষি মনজুরুল আহসান স্কোয়াস চাষ করে সফল হয়েছেন। শীত মৌসুমে অন্য সবজির পাশাপাশি এক বিঘা জমিতে স্কোয়াস চাষ করে একদিকে যেমন সফল হয়েছেন, অন্যদিকে লাভবানও হয়েছেন।

চাষি মনজুরুল আহসান উপজেলার লক্ষণপুর ইউনিয়নের শিকারপুর গ্রামের বাসিন্দা ও সরকারি বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ ডিগ্রি কলেজের শিক্ষার্থী। তিনি জানান, বেশ কয়েক বছর ধরে আম, বরই, টমেটো, বাঁধাকপি ও ফুলকপিসহ বিভিন্ন ধরনের সবজি ও ফল চাষ করে থাকেন। এরমধ্যে ইউটিউবে ভিডিও দেখে শার্শা উপজেলার কৃষি বিভাগের পরামর্শে উপজেলা থেকে স্কোয়াসের বীজ নেন।

পড়াশোনার পাশাপশি স্কোয়াস চাষে সফল মনজুরুল

বাড়িতে মিষ্টি কুমড়া বা লাউয়ের মতো বীজ বপন করে মালচিং পদ্ধতি ব্যবহার করে জমিতে রোপণ করেন। প্রায় দেড় মাস পর ফল আসতে শুরু করে। স্কোয়াস গাছ একদম মিষ্টি কুমড়ার মতো। পাতা, ডগা, কাণ্ড দেখে বোঝার উপায় নেই, এটি মিষ্টি কুমড়া নাকি স্কোয়াস গাছ।

আরও পড়ুন: বিষমুক্ত লাউ চাষে সফল শার্শার শফিকুল

মনজুরুল আহসান বলেন, ‘প্রায় ৩৩ শতক জায়গায় এটি চাষ করেছি। কৃষি কর্মকর্তাদের পরামর্শে পরিচর্যা করেছি। প্রথম চাষ, তাই পরিচর্যা বুঝতে এবং খরচ একটু বেশি হয়েছে। তবে একটি স্কোয়াস বাজারে ৪০ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি হওয়ায় বেশ লাভ হয়েছে। কম খরচে বেশি লাভ হওয়ায় আগামীতে আরও বেশি জমিতে স্কোয়াস চাষ করবো।’

পড়াশোনার পাশাপশি স্কোয়াস চাষে সফল মনজুরুল

তিনি বলেন, ‘প্রতিটি স্কোয়াস দেড় থেকে আড়াই কেজি পর্যন্ত হয়ে থাকে। সবজি হিসেবে এই এলাকায় স্কোয়াস নতুন হওয়ায় এর চাষপদ্ধতি সম্পর্কে জানতে ও স্কোয়াস ক্ষেত দেখতে স্থানীয় অন্য সবজি চাষিরা আসছেন। আমার স্কোয়াস চাষে এলাকার সাধারণ কৃষকেরা বেশ অনুপ্রাণিত, এটি দেখে আমি উচ্ছ্বসিত।’

স্থানীয় উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা পলাশ কিশোর ঘোষ বলেন, ‘স্কোয়াস বিদেশি সবজি। শার্শার মাটিতে প্রথমবার এটির চাষ হয়েছে। বাজারে ব্যাপক চাহিদা ও কম খরচে বেশি লাভ হওয়ায় ধারণা করা হচ্ছে আগামীতে এ এলাকায় প্রচুর স্কোয়াস চাষের প্রসার ঘটবে।’

মো. জামাল হোসেন/এসইউ/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।