আইন-আদালত

গরমে কাহিল পরীমনি ছাড়লেন আদালত, পেছাল জেরা

গরমে কাহিল পরীমনি ছাড়লেন আদালত, পেছাল জেরা

শ্লীলতাহানির অভিযোগের মামলায় আসামিপক্ষের আইনজীবীদের জেরায় থাকতে পারেননি চিত্রনায়িকা পরীমনি। সোমবার (২৬ মে) বেলা ১১টা থেকে বিকেল পর্যন্ত আদালত প্রাঙ্গণে বসে থেকে প্রচণ্ড গরমে অসুস্থবোধ করায় তিনি আদালত ছেড়েছেন।

Advertisement

ফলে আজ পরীমনিকে জেরা করাও সম্ভব হয়নি। জেরার জন্য পরে নতুন দিন ধার্য করেছেন বিচারক। পরীমনির আইনজীবী নীলাঞ্জনা রিফাত সুরভী এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এদিন ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন মাহমুদ ও তুহিন সিদ্দিকী অমিসহ তিনজনের বিরুদ্ধে চিত্রনায়িকা পরীমনিকে শ্লীলতাহানির অভিযোগে করা মামলার আসামিপক্ষের জেরার দিন ধার্য ছিল। সে মোতাবেক বেলা ১১টার দিকে আদালতে উপস্থিত হন পরীমনি। এ মামলায় পরীমনিকে আসামিপক্ষের আইনজীবীদের জেরার জন্য বিকেলে সময় ধার্য করেন বিচারক। তবে দিনভর আদালতে বসে থেকে গরমে অসুস্থতা বোধ করায় আদালত ছেড়ে চলে যান তিনি।

ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৯ এ আজ এ মামলার আসামিপক্ষের আইনজীবীদের জেরার দিন ধার্য ছিল।

Advertisement

আরও পড়ুন

‘মৃত্যু নিয়ে মজা নিয়েন না’, কাকে সাবধান করলেন পরীমনি পরীমনির নামে মামলা করলেন সেই গৃহকর্মী

এর আগে বেলা ১১টার দিকে সঙ্গে থাকা এক ব্যক্তির সঙ্গে গল্প করতে করতে আদালতে আসেন পরীমনি। এসময় সঙ্গে থাকা ওই ব্যক্তিকে ইঙ্গিত করে পরীমনিকে বলতে শোনা যায়, ‘কার হাত ধরে আদালতে এলেন পরীমনি’।

২০২২ সালের ২৯ নভেম্বর সকালে পরীমনি তার স্বামী মডেল-অভিনেতা শরিফুল রাজকে নিয়ে আদালতে উপস্থিত হন। সে সময় আসামি অমি ও শহিদুল হাজিরা দেন। তবে অসুস্থ থাকায় নাসির উদ্দিন সময় আবেদন করেন। দুই আসামির উপস্থিতিতে পরীমনির সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। এরপর আদালত পরীমণির আংশিক জবানবন্দি রেকর্ড করেন।

গত বছরের ১৯ এপ্রিল নাসির ও অমির পক্ষে এ মামলার দায় থেকে অব্যাহতি চেয়ে আবেদন করেন তাদের আইনজীবী। অন্যদিকে অব্যাহতির আবেদনের বিরোধিতা করেন বাদীপক্ষ। এছাড়া অভিযোগ গঠনের পক্ষে শুনানি করেন রাষ্ট্রপক্ষ। এরপর গত বছরের ১৮ মে আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর আদেশ দেন।

Advertisement

২০২১ সালের ১৪ জুন নাসির উদ্দিন ও তার বন্ধু অমির নাম উল্লেখ করে এবং চারজনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে ঢাকার সাভার থানায় মামলা দায়ের করেন পরীমনি।

তদন্ত শেষে ২০২১ সালের ৬ সেপ্টেম্বর আদালতে নাসিরসহ তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কামাল হোসেন। অপর দুই আসামি হলেন- তুহিন সিদ্দিকী অমি ও শহীদুল আলম। এরপর গত বছরের ১৩ ডিসেম্বর এ মামলার অভিযোগপত্র গ্রহণ করেন ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৯ এর বিচারক হেমায়েত উদ্দিন।

২০২১ সালের ৮ জুন রাতে ঢাকার অদূরের বিরুলিয়ার ঢাকা বোট ক্লাবে যান পরিমনি। সেদিন রাতে সেখানে তাকে ধর্ষণচেষ্টা ও হত্যাচেষ্টা করা হয়েছে বলে ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন মাহমুদ ও তুহিন সিদ্দিকী অমির বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলেন পরীমনি। পরে ১৪ জুন নাসির ও অমি ছাড়াও অজ্ঞাতনামা আরও চারজনের বিরুদ্ধে সাভার থানায় মামলা করেন এই ঢাকাই নায়িকা।

এমআইএন/এমকেআর/এমএস