অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ নিরপেক্ষতা হারিয়েছে মন্তব্য করে নিরপেক্ষতা হারানো উপদেষ্টা পরিষদ দিয়ে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হবে না বলে মনে করেন বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেন।
Advertisement
তিনি বলেছেন, এই উপদেষ্টা পরিষদ বহাল থাকা অবস্থায় কোনোভাবেই একটি কাঙ্ক্ষিত গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে না। এ বিষয়টি সরকার যত দ্রুত উপলব্দি করতে পারবে, সেটা সবার জন্যই মঙ্গলজনক হবে।
শুক্রবার (৬ জুন) জাতীয় ঈদগাহ ময়দান পরিদর্শনে গিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
ইশরাক হোসেন বলেন, আমরা কিন্তু তাদের (ছাত্র উপদেষ্টা) সঙ্গে শত্রুতা করছি না বা হুমকি-ধমকি কোনোকিছুই করছি না। আমরা শুধু বলছি, আপনারা রাজনীতি করলে পদ ছেড়ে দিয়ে রাজনৈতিক দলে যোগ দিয়ে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড করুন। আমরা আপনাদের স্বাগত জানিয়েছি।
Advertisement
তিনি বলেন, আমি আজকে এখানে (ঈদগাহ ময়দানে) এসেছি, কারণ ঈদগাহের পুরো কর্মকাণ্ড কিভাবে সম্পন্ন হচ্ছে সেটা তদারকি করা আমার দায়িত্বের মধ্যে পড়ে। শুধু তাই নয়, যারা এখানে শ্রমিকরা রয়েছেন, তাদের পাশে এসে দাঁড়ানো এবং তাদের মোটিভেট করাও আমার দায়িত্ব। আমরা আগামীকালও মাঠে থাকবে পরিচ্ছন্নকর্মীদের সঙ্গে।
ইশরাক বলেন, আমাদের ঈদের দরকার নেই। তারা যেহেতু আমাদের জন্য কষ্ট করতে পারে, আমরাও তাদের সঙ্গে থাকবো। সেই পরিপ্রেক্ষিতে আজকে আমি এখানে এসেছি, পরিদর্শন করলাম। যথেষ্ট নিরাপত্তা বলয় এরই মধ্যে আমি দেখতে পেয়েছি। বৃষ্টি হওয়ার একটি ঝুঁকি যেহেতু আছে, আমাকে এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, বৃষ্টি হলেও যেন নামাজ পড়তে আসা মসুল্লিদের সমস্যা না হয় সেই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
‘আমি ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের নির্বাচিত এবং সর্বোচ্চ আদালতের রায়ে ঘোষিত মেয়র হিসেবে এখানে এসেছি’- সাংবাদিকদের প্রশ্নে বলেন তিনি।
ইশরাক হোসেন আরও বলেন, অনেকে আমাকে ভুল বুঝছে। রাজনীতি এমন একটি জিনিস, এখানে যখন মাঠের বাস্তবতা চলে আসে এবং রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের সঙ্গে যখন আপনি লড়াই করবেন, তখন আর আপনার রাজনৈতিকভাবে কর্মসূচি পালন করা ছাড়া অন্য কোনো উপায় থাকে না। যার কারণে কিছু জনদুর্ভোগ সৃষ্টি হয়েছে। অনেকের কাছে হয়তো মনে হতে পারে, আমি কেন এত দৃঢ় হচ্ছি এই সামান্য মেয়র পদ নিয়ে। যেটার মেয়াদও হয়তো বেশিদিন নেই। কিন্তু আপনারা পরবর্তীতে লক্ষ্য করেছেন, এটার পেছনে গ্রেটার স্টোরি আছে, যেটা হয়েছে আমার সঙ্গে।
Advertisement
আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, নগর ভবনে কোনো প্রশাসক বসবে না। নগর ভবনে কোনো উপদেষ্টা বসবে না। সেখানে যদি কোনো ধরনের প্রশাসনিক সমস্যা হয়, আমরা ৭৫ নম্বর ওয়ার্ড থেকে সাবেক কমিশনার, সাবেক কাউন্সিলর, গণমাণ্য ব্যক্তি, স্কুলের প্রিন্সিপাল তাদের নিয়ে প্রয়োজনে বিপ্লবী ঢাকা কাউন্সিল টাইপের কিছু করে সাময়িকভাবে নগরভবন চালাবো। কিন্তু স্পষ্ট ভাষায় বলতে চাই, এখান থেকে ফিরে আসার সুযোগ নেই, হার মানার সুযোগ নেই।
কেআর/এমকেআর/জেআইএম