ক্যাম্পাস

জবি শিক্ষার্থীদের ‘আবাসন বৃত্তি’ কতটা যৌক্তিক, আদৌ কি মিলবে?

জবি শিক্ষার্থীদের ‘আবাসন বৃত্তি’ কতটা যৌক্তিক, আদৌ কি মিলবে?

দেশের শিক্ষাখাতে নানান ধরনের বৃত্তি চালু রয়েছে। শিক্ষার্থীরা কখনো মেধার জোরে বৃত্তি পান, আবার সুবিধাবঞ্চিতদেরও সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগে বৃত্তি দেওয়া হয়। শারীরিক ও মানসিকভাবে বিশেষ চাহিদাসম্পন্নরাও এ সুবিধা পান। নানা রকম বৃত্তি-উপবৃত্তির মধ্যে হঠাৎ আলোচনায় ‘আবাসন বৃত্তি’।

Advertisement

মূলত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে এ বৃত্তির বিষয়টি সামনে আসে। তাদের তিন দফা দাবির প্রথম দফা হলো ৭০ শতাংশ শিক্ষার্থীকে আবাসন বৃত্তি দেওয়া। শিক্ষার্থীদের টানা আন্দোলনের মুখে অন্তর্বর্তী সরকার সেই দাবি পূরণের মৌখিক প্রতিশ্রুতিও দিয়েছে। ফলে ২০২৫-২৬ অর্থবছর থেকে এ বৃত্তি পাওয়ার প্রত্যাশায় শিক্ষার্থীরা।

প্রশ্ন উঠেছে—জবি শিক্ষার্থীদের আবাসন বৃত্তির দাবি কতটা যৌক্তিক? দেশের বা বিশ্বের কোথাও কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে কি এমন নজির আছে? নজির ভেঙে যদি সরকার আবাসন বৃত্তি দেয়ও তাহলে কারা, কত টাকা হারে আবাসন বৃত্তি পাবেন? বৃত্তি দেওয়ার মাপকাঠিই বা কী হবে?

আরও পড়ুন জবি শিক্ষার্থীদের আবাসন ভাতা নিয়ে কমিটি গঠন জবির নতুন ক্যাম্পাস নির্মাণের কাজ সেনাবাহিনীকে দেওয়ার নির্দেশ জবির দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের সংশোধিত প্রকল্প অনুমোদন আবাসন নিয়ে প্রশাসনের সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা দাবি জবি শিক্ষার্থীদের

মাসে মাসে আবাসন বৃত্তি দিতে যে বিরাট অঙ্কের অর্থ প্রয়োজন, তা জবির বাজেট থেকে সংকুলান করা হবে নাকি সরকার তথা বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) ‘বিশেষ বরাদ্দ’ বা থোক বরাদ্দ দেবে—তা নিয়ে চলছে জল্পনা।

Advertisement

আবাসন বৃত্তি দেওয়ার বিষয়ে স্পষ্ট প্রতিশ্রুতি দিলেও তা নিয়ে এখন মুখ খুলছেন না ইউজিসি কর্মকর্তারা। কৌশলে তারা বিষয়টি এড়িয়ে যাচ্ছেন। আবাসন বৃত্তির প্রসঙ্গে এলেই তারা দ্রুত ‘অস্থায়ী হল’ নির্মাণে জোর দেওয়ার কথা বলছেন। ফলে শিক্ষার্থীদের দাবি অনুযায়ী—আবাসন বৃত্তি আদৌও মিলবে কি না, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে।

জবি শিক্ষার্থীরা যে কারণে আবাসন বৃত্তি চাইছেন

শিক্ষার্থীদের দাবির মুখে ২০০৫ সালে ‘জগন্নাথ কলেজ’ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত হয় আলোচিত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়। প্রতিষ্ঠাকাল থেকে এটি সম্পূর্ণ আবাসনবিহীন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়। যদিও বিশ্ববিদ্যালয়টি যে আইনের দ্বারা প্রতিষ্ঠিত হয়, সেখানে আবাসিক হল-ব্যবস্থার কথা উল্লেখ রয়েছে। অথচ প্রতিষ্ঠার ২০ বছর পরও ছাত্রদের জন্য কোনো আবাসিক হল করা হয়নি। ছাত্রীদের জন্য একটিমাত্র আবাসিক হল রয়েছে। অথচ বিশ্ববিদ্যালয়টিতে বর্তমানে শিক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় ১৯ হাজার।

পুরান ঢাকায় ঘিঞ্জি পরিবেশে অবস্থিত বিশ্ববিদ্যালয়টি। আশপাশের শিক্ষাবিরূপ পরিবেশে শিক্ষার্থীদের নাভিশ্বাস। আশপাশে ভাড়া বাসা ও ছাত্রাবাসে থাকা-খাওয়ার খরচ বেশি। যে পরিবেশে টিকে থাকাই দায়, সেখানে পড়ালেখা বা গবেষণায় মনোযোগ দেওয়াটা কষ্টসাধ্য। বাধ্য হয়ে আবাসিক হলের দাবিতে কয়েক দফা আন্দোলনে নামেন শিক্ষার্থীরা।

২০০৯ সালের ২৭ জানুয়ারি প্রথমবারের মতো হলের দাবিতে আন্দোলনে নামেন শিক্ষার্থীরা। পরে আন্দোলনের জেরে অনির্দিষ্টকালের জন্য ক্যাম্পাস বন্ধ ঘোষণা করা হয়। তখন হল ইস্যুতে নীতি-নির্ধারণী মহলের টনক নড়ে। হলের দাবিতে ২০১৫ সাল পর্যন্ত কয়েক দফায় আন্দোলন হয়েছে। তাতে শুধুই মিলেছে প্রতিশ্রুতি। দৃশ্যমান অগ্রগতি হয়নি। ২০১৯ সালে ছাত্রীদের আবাসন দাবির আন্দোলন হয়। সেসময় কিছু বাড়ি করে সেখানে ছাত্রীদের জন্য নামেমাত্র ‘ছাত্রী হল’ চালু হয়।

Advertisement

২০২৩ সালেও আবাসিক হলের দাবিতে কয়েকদিন আন্দোলন হয়েছে। এরপর শুরু হয় দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ। তাতে দীর্ঘসূত্রতা দেখে ২০২৫ সালে দুই দফা আন্দোলনে নামেন শিক্ষার্থীরা। সবশেষ চলতি (মে মাস) মাসে তিন দফা দাবি নিয়ে আটঘাঁট বেঁধে মাঠে নামেন তারা। সেখানে উঠে আসে আবাসন বৃত্তির দাবি। শিক্ষার্থীদের সঙ্গে এ আন্দোলনে অংশ নেন শিক্ষকরাও।

শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অংশ নিতে দেখা যায় জবি শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক রইছ উদ্দীনকে। তিনি জাগো নিউজকে বলেন, আবাসন বৃত্তি সরাসরি সরকার দিলে অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও দাবি তুলতে পারে। সেজন্য আমরা বলেছি, ইউজিসি থেকে আমাদের যে বাজেট দেওয়া হবে, তা জবির রাজস্ব বাজেটে অন্তর্ভুক্ত করা হবে। এরপর সেখান থেকে জবি প্রশাসন যাচাই-বাছাই করে শিক্ষার্থীদের আবাসন বৃত্তি দেবে। সেক্ষেত্রে বাজেটটা বেশি হতে হবে। তাহলে ৭০ শতাংশ শিক্ষার্থীকে দেওয়া সম্ভব হবে।

আরও পড়ুন সচিবালয়ের সামনে অনশনে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা জবির ছাত্রী হলের বাৎসরিক ফি নিয়ে শিক্ষার্থীদের অসন্তোষ জবির ৭০০ শিক্ষার্থীর আবাসনের দায়িত্ব নিলো আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশন মেধাবী শিক্ষার্থীদের জন্য বাসা ভাড়া বাবদ টাকা চায় জবি ‘সর্বনিম্ন’ আবাসন বৃত্তিতে বছরে প্রয়োজন ৪৭ কোটি টাকা

জবির রেজিস্ট্রার দপ্তর সূত্র জানায়, ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে বিশ্ববিদ্যালয়টিতে স্নাতকের বিভিন্ন বর্ষ এবং স্নাতকোত্তর শ্রেণিতে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় সাড়ে ১৭ হাজার। ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে আরও প্রায় তিন হাজার শিক্ষার্থী ভর্তি হবে। কিছু শিক্ষার্থী স্নাতকোত্তর শেষ করে ক্যাম্পাস ছাড়বে। ফলে সবমিলিয়ে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থী দাঁড়াবে প্রায় ১৯ হাজার। যদি ৭০ শতাংশ শিক্ষার্থীকে আবাসন বৃত্তি দেওয়া হয়, তাহলে বৃত্তির আওতায় আসবে প্রায় ১৩ হাজার শিক্ষার্থী।

শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা বলছেন, পুরান ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় ছাত্রাবাসে একটি সিট নিয়ে থাকতে একজন শিক্ষার্থীর মাসে পাঁচ থেকে ছয় হাজার টাকা গুনতে হয়।

ফলে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ যদি শিক্ষার্থীদের আবাসন বৃত্তি দেয়, তাহলে তা সর্বনিম্ন তিন হাজার টাকার নিচে সম্ভব নয়। সেক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়ের মাসে ব্যয় হবে তিন কোটি ৯০ লাখ টাকা। বছরে ব্যয় হবে ৪৬ কোটি ৮০ লাখ টাকা।

অথচ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সবশেষ ২০২৪-২৫ অর্থবছরে মোট বাজেট ছিল ২০১ কোটি টাকা। এর বড় অংশই শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা দিতে ব্যয় হয়। ফলে এমন কম অর্থ বাজেট হলে শিক্ষার্থীদের আবাসন বৃত্তি দেওয়া অসম্ভব।

আবাসন বৃত্তি প্রশ্নে ‘কৌশলী’ ইউজিসি, ‘সম্মত নয়’ সরকারও

২০২৫-২৬ অর্থবছর থেকে ৭০ শতাংশ শিক্ষার্থীকে আবাসন বৃত্তি দেওয়ার বিষয়ে সরকারের আগ্রহ নেই বলে জানিয়েছেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা। আর শিক্ষার্থীদের সামনে গিয়ে প্রতিশ্রুতি দিয়ে এলেও এখন এ বিষয়ে কথা বলছেন না ইউজিসি চেয়ারম্যান। কৌশলে বিষয়টি এড়িয়ে যাচ্ছেন তারা।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় শাখার একজন কর্মকর্তা জাগো নিউজকে বলেন, ‘বাংলাদেশে আর কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে এমন বৃত্তি কখনো দেওয়া হয়নি। বিশ্বের কোনো দেশে, কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে এমন বৃত্তি চালু আছে কি না, তা জানা নেই। এটা দেওয়ার সক্ষমতাও নেই। শিক্ষা মন্ত্রণালয় যে বাজেট পায়, তা থেকে তো দেওয়া সম্ভব নয়। অর্থ মন্ত্রণালয় কখনই এত বড় অঙ্কের অর্থ ছাড়ে সম্মতি দেবে বলে আমরা মনে করছি না।’

বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন করা হলে সরাসরি উত্তর দেননি ইউজিসি চেয়ারম্যান অধ্যাপক এস এম এ ফায়েজ। তিনি বলেন, ‘আমরা শিক্ষার্থীদের সবগুলো দাবি যৌক্তিক মনে করছি। তাদের দাবি পূরণে সবাই একমত হয়েই শিক্ষার্থীদের সামনে ঘোষণা দিয়েছি। শিগগির তাদের দাবি-দাওয়া পূরণে কাজ করছি।’

আবাসন বৃত্তি দেওয়া হবে কি না, এমন প্রশ্নে অধ্যাপক ফায়েজ বলেন, ‘যথা শিগগির অস্থায়ী হল নির্মাণ করতে পারলে শিক্ষার্থীরা বেশি উপকৃত হবেন। আমরা সেদিকে নজর দিচ্ছি। বাকি দাবিগুলোও বিশেষ কমিটি বিবেচনা করে সরকাকে পরামর্শ দেবে।’

যদি আবাসন বৃত্তি দেওয়া হয়, তাহলে কারা পাবেন?

দাবি-দাওয়া মেনে নেওয়ার ঘোষণা দেওয়ায় শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে ফিরে গেলেও আবাসন বৃত্তি দিতে ‘আগ্রহী নয়’ সরকার। এতে দেশের অন্য অনাবাসিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শিক্ষার্থীরাও এ দাবি তুলতে পারে। তাতে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে চরম বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হতে পারে বলে অভিমত শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের। তারপরও বিশেষ বিবেচনায় জবির কিছু শিক্ষার্থীকে আবাসন বৃত্তি দেওয়া হতে পারে বলে জানিয়েছেন ইউজিসির পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় শাখার দুজন কর্মকর্তা।

সেক্ষেত্রে কারা এ বৃত্তি পেতে পাবেন—এমন প্রশ্নে নাম প্রকাশ না করে একজন কর্মকর্তা জাগো নিউজকে বলেন, ‘পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে হলে আসন বরাদ্দ দিতে আবেদন নেওয়া হয়। আবেদন চেয়ে যে নোটিশ দেওয়া হয়, সেখানে কোন বর্ষের শিক্ষার্থীরা আবেদন করতে পারবেন, তা বলে দেওয়া হয়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দ্বিতীয় বর্ষ থেকে ক্রমে ওপরের দিকের বর্ষের শিক্ষার্থীদের আসন বরাদ্দে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়। এখানেও ঠিক সেভাবে তৃতীয় বর্ষ বা তারও ওপরের শিক্ষার্থীদের বিষয় বিবেচনা করা হতে পারে। পাশাপাশি একাডেমিক ফলাফল প্রাধান্য পেতে পারে।’

আরও পড়ুন জবির পঞ্চম ধাপে ভর্তি শুরু ৩০ মে তথ্য চেয়ে জগন্নাথের তৃতীয় বিজ্ঞপ্তি, হবে গণশুনানি জবি শিক্ষার্থীদের একাংশের আন্দোলন অব্যাহত, চান সুস্পষ্ট রোডম্যাপ দাবি মেনে নেওয়ায় জবি শিক্ষার্থীদের আন্দোলন স্থগিত

জানতে চাইলে জবি উপাচার্য অধ্যাপক রেজাউল করিম জাগো নিউজকে বলেন, ‘অস্থায়ী আবাসিক হলের একটি প্রকল্প মন্ত্রণালয়ে জমা দিয়েছি। অনুমোদন পেলে দ্রুত নির্মাণকাজ শুরু করা হবে। একই সঙ্গে আগামী অর্থবছর বিশ্ববিদ্যালয়ের বাজেট বাড়াতে হবে। সেটার জন্য আমরা অপেক্ষা করছি। বাজেট পাওয়ার পর বলতে পারবো, তা দিয়ে আবাসন বৃত্তি দেওয়া সম্ভব কি না। অর্থ পেলে শিক্ষার্থীদের আবাসন বৃত্তি দিতে আমরা প্রস্তুত।’

বিশেষ কমিটি করছে ইউজিসি, লক্ষ্য ‘অস্থায়ী হল’

জবি শিক্ষার্থীদের এবারের আন্দোলনে দাবি মূলত তিনটি। সেগুলো হলো— ২০২৫-২৬ অর্থবছর থেকে ৭০ শতাংশ শিক্ষার্থীর আবাসন বৃত্তি দেওয়া, প্রস্তাবিত পূর্ণাঙ্গ বাজেট অনুমোদন করা এবং দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের নির্মাণকাজ একনেক সভায় পাস ও দ্রুত তা বাস্তবায়ন করা। টানা তিনদিনের আন্দোলনে দাবিগুলো নিঃশর্তভাবে মেনে নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে ইউজিসি।

শিক্ষার্থীদের সব দাবি মেনে নেওয়ার পর তা বাস্তবায়নে ‘বিশেষ কমিটি’ করতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে পরামর্শ দিয়েছে ইউজিসি। কমিটিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়, অর্থ মন্ত্রণালয়, ইউজিসি ও জবির প্রতিনিধিরা থাকবেন। তারা আলোচনার মাধ্যমে বাস্তবতার নিরিখে সুপারিশমালা তৈরি করবেন। সেটি মেনে শিক্ষার্থীদের দাবি পূরণে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

জানতে চাইলে ইউজিসি চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এস এম এ ফায়েজ জাগো নিউজকে বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো যৌক্তিক। আবাসন সুবিধা পাওয়া তাদের অনেকটা মৌলিক অধিকার। ২০ বছরেও তারা কেন হল পেলো না, সেটাই তো আশ্চর্যের বিষয়। তাদের ক্ষুব্ধ হওয়াটাকে আমরা খুব যৌক্তিকই দেখছি।’

ইউজিসি চেয়ারম্যান বলেন, ‘তারা (শিক্ষার্থীরা) সমস্যায় জর্জরিত। তাদের সমস্যা দূর করতে হবে। সেটা কত দ্রুত, কীভাবে করা সম্ভব; সেটাই এখন আমাদের মূল লক্ষ্য। বাজেট বাড়িয়ে হোক, অস্থায়ী হল করে হোক; তাদের কষ্ট লাঘব করতে হবে। সেজন্য আমরা বিশেষ কমিটি করবো। তাদের সুপারিশমালা বাস্তবায়ন করা হবে। সবকিছু খুব দ্রুততম সময়ে করতে হবে।’

এএএইচ/আরএএস/এমএমএআর/এমএফএ/জিকেএস