জবির ছাত্রী হলের বাৎসরিক ফি নিয়ে শিক্ষার্থীদের অসন্তোষ
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) প্রতিষ্ঠার ১৬ বছর পর প্রথমবারের মতো আবাসিক হলে উঠতে যাচ্ছেন ছাত্রীরা। কিন্তু অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলের তুলনায় জবির ছাত্রী হলের বাৎসরিক ফি বেশি। জবির ছাত্রী হলের বাৎসরিক ফি নির্ধারণ করা হয়েছে ৫ হাজার ২৬৫ টাকা। যা অন্য যে কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের চাইতে কয়েকগুণ বেশি। এ নিয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে।
জানা যায়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ছাত্রীদের হলে ওঠতে এলটমেন্ট চার্জ ১ হাজার ৯৫০ টাকা ও বাৎসরিক ফি ৩৬০ টাকা দিতে হয়।জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) এলটমেন্ট চার্জ নেই, তবে বাৎসরিক ফি দিতে হয় মাত্র ২৪০ টাকা। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ছাত্রী হলে এলটমেন্ট চার্জ ১ হাজার টাকা দিতে হয় আর বাৎসরিক ফি ১ হাজার ১৫০ টাকা। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ছাত্রী হলে এলটমেন্ট চার্জ ৬৫০ টাকা ও বাৎসরিক ফি ১০০ টাকা করে দিতে হয়।
অন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলো থেকে বাৎসরিক ফি কয়েকগুণ বেশি হওয়ায় ক্ষোভপ্রকাশ করছেন জবি ছাত্রীরা। তারা জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম ছাত্রী হলে সিট বরাদ্দ পেয়ে খুশি হয়েছিলাম। কিন্তু হলে ওঠার ফি নিয়ে সন্তুষ্ট না। এই কম সময়ে এতো টাকা পরিশোধ করা আমাদের জন্য কষ্টকর। অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের তুলনায় এ ফি অনেক বেশি। আমরা চাই, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন যেন বিষয়টি বিবেচনায় রাখে।
এবিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. শামীমা বেগম বলেন, বছরে একবার দেবে এ টাকা। প্রতিমাসে আসে মাত্র ৪৩৮ টাকা। বাইরে থাকতে গেলে এর চেয়ে বেশি টাকা দিয়ে থাকতে হতো। হলে ওঠার ফি আমি একা নির্ধারণ করিনি। ফাইন্যান্স কমিটির মাধ্যমে হিসাব করে এ ফি নির্ধারণ করা হয়েছে। নতুন হল চালাতে হবে, এখন কি আর আগের যুগ আছে? এ সময়ে এটা কোনো টাকা না।
প্রভোস্ট বলেন, অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে তুলনা করলে আমি হল নিয়ে কাজ করতে পারবো না। ঢাবির যে হিসাবের কথা হচ্ছে, এটা সম্পূর্ণ হিসাব নয়। অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক হল রয়েছে, আমাদের মাত্র একটি।
আমি আলাদাভাবে এলটমেন্ট চার্জের কথা বলিনি। শিক্ষার্থীরা বছরে মোট ৫ হাজার ২৬৫ টাকা দেবে, যার মধ্যে সবকিছুর খরচ রয়েছে। এটা ফাইন্যান্স কমিটিতে পাস করাতে হয়েছে। এখন যদি পরিবর্তন করতে হয় তাহলে আরও এক সপ্তাহ সময় লাগবে বলেও জানান এ প্রভোস্ট।
রায়হান/এমআইএইচ/এমএএইচ/এমএস