সামান্য বৃষ্টিতেই পানিতে তলিয়ে যায় চাঁদপুরের চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত চত্বর। এতে সেবা নিতে আসা মানুষ, কর্মকর্তা-কর্মচারী ও আইনজীবীদের চরম দুর্ভোগে পোহাতে হচ্ছে। জলমগ্নতায় হাঁটাচলা ও দাঁড়ানোরও সুযোগ নেই আদালত প্রাঙ্গণে।
সরেজমিনে গিয়ে এ দুর্ভোগের চিত্র দেখা গেছে। এসময় আদালতে আসা বেশ কয়েকজনের সঙ্গে হলে তারা ভোগান্তির কথা জানান।
সদরের চান্দ্রা এলাকা থেকে মামলার কাজে আসা নাছির উদ্দিন বলেন, মামলার কাজে এসে দেখি আদালতের সামনে প্রায় হাঁটু সমান পানি। বৃষ্টি হলেই এই অবস্থার সৃষ্টি হয়। আদালতের সামনে এখন দাঁড়ানোর সুযোগ নেই।
হাজীগঞ্জ উপজেলা থেকে আসা আরেক বিচারপ্রার্থী মিজানুর রহমান বলেন, প্রতিদিন শত শত মানুষ সেবা নিতে আসেন। বিচারিক কাজ সাধারণত বিলম্বিত হয়। এই সময় লোকজন সামনের খালি জায়গায় গাছের নিচে কিছুটা হলেও অপেক্ষা করতে পারে। কিন্তু বৃষ্টি হলে আর দাঁড়ানো সম্ভব হয় না।
আদালত এলাকার বাসিন্দা মনজুরুল ইসলাম তালুকদার বলেন, অতিরিক্ত বৃষ্টি হওয়ার ফলে এই মাঠটি পানিতে ভরে যায়। আদালতের আশেপাশে বিভিন্ন ডোবায় যখন পানিতে পরিপূর্ণ হয় তখন ওই ডোবার পানি জমে থাকে। চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট টিনশেডের আদালতের সামনের অংশটুকু নিচু হওয়ার কারণেই বাগানে পানি জমে থাকে। এছাড়াও আদালতের আশেপাশে বিভিন্ন বাড়িঘর ও বহুতল ভবন নির্মাণ হলেও পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা নেই। জলমগ্ন হওয়ার এটিও একটি কারণ।
জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্যে অ্যাডভোকেট তোফায়েল হোসেন বলেন, আদালতের টিনশেডের সামনের অংশটি পুকুরের মত অবস্থা হয়ে আছে। এখানে বিচারপ্রার্থীরা এসে দাঁড়ানোর অবস্থা নেই। আসামি কিংবা বিচারপ্রার্থী সবারই এখন ভোগান্তি।
তিনি আরও বলেন, এই সামনের জায়গাটুকু বালু দিয়ে ভরাট করে একটু উঁচু করে দিলে বিচারপ্রার্থীরা এখানে এসে দাঁড়াতে পারবে। দাঁড়ানোর জন্য একটা ঘর নির্মাণ করাও প্রয়োজন বলে মনি করি।
চাঁদপুর জেলা জজ আদালতের নাজির শাহআলম বলেন, টিনশেডের সামনের অংশটি যদি বিল্ডিং করা হয়, তাহলে খালি জায়গাটি ভরাট হয়ে যাবে। এছাড়া গণপূর্ত বিভাগ মাটি দিয়ে যদি এই সামনের অংশটুকু ভরাট করে দেয়, তাহলে বিচার প্রার্থীদের আর দুর্ভোগে থাকতে হবে না।
জেলা গণপূর্তের নির্বাহী প্রকৌশলী নাসিম আহমেদ টিটো জানান, চাঁদপুর চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত প্রাঙ্গণে অবকাঠামো উন্নয়নের জন্য যা যা চেয়েছে আমরা সব পাঠিয়েছি। একসঙ্গে ২২ জেলার ডিপিপি বরাদ্দ পাঠানো হয়েছে। আশা করি ডিপিপি বরাদ্দ হলে কোনো সমস্যা আর থাকবে না।
শরীফুল ইসলাম/এমএন/জেআইএম