জাতীয়

বিমান আছড়ে পড়া ভবনের পাশে কিছু শিক্ষার্থী ও অভিভাবক জড়ো হয়ে ছিল

মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের ভবনের যে অংশে বিধ্বস্ত হওয়া বিমানটি আছড়ে পড়ে, সেখানে কিছু শিক্ষার্থী স্কুল ছুটির পরও জড়ো হয়ে ছিল। কিছু অভিভাবকও হয়তো সেখানে ছিলেন।

সোমবার (২১ জুলাই) রাজধানীর উত্তরায় বিমান দুর্ঘটনাস্থলে এক ব্রিফিংয়ে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।

ফায়ারের ডিজি বলেন, যে ভবনটিতে বিমান বিধ্বস্ত হয়েছে সেখানে প্রথম তলায় ছিল তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের ক্লাসরুম। সঙ্গে ছিল প্রিন্সিপালের অফিস ও মিটিং রুম। বিমানটি যখন বিধ্বস্ত হয় তার আগেই স্কুল ছুটি হয়ে যায়।

তিনি বলেন, ভবনের যে অংশে বিধ্বস্ত বিমানটি আঘাত করে সেখানে বাচ্চাকাচ্চারা জড়ো হয়ে ছিল এবং তাদের সঙ্গে হয়তো কিছু অভিভাবকও ছিলেন।

আরও পড়ুন

ঢাকায় বিমান বিধ্বস্তে ১৯ জন নিহত

এদিন দুপুর ১টার পর বিমানটি বিধ্বস্ত হয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, ফায়ার সার্ভিস খবর পায় ১টা ৮ মিনিটের দিকে এবং ১টা ২২ মিনিটের দিকে ঘটনাস্থলে ফায়ার সার্ভিসের প্রথম ইউনিট পৌঁছায়।

তিনি জানান, ঘটনাস্থলে মোট ৯টি ইউনিট উদ্ধার কার্যক্রম পরিচালনা করেছে। বর্তমানে আগুন সম্পূর্ণ নেভানো হয়েছে। তবে উদ্ধার কার্যক্রম এখনো চলছে।

ফায়ার সার্ভিসের ডিজি বলেন, উদ্ধারকাজে ফায়ার সার্ভিসের ৬টি অ্যাম্বুলেন্স ছাড়াও আশপাশের অনেক অ্যাম্বুলেন্স ব্যবহৃত হয়েছে। ঢাকা সিএমএইচ, ঢাকা মেডিকেলের বার্ন ইউনিট, জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউট এবং বাংলাদেশ মেডিকেলে আহত অবস্থায় অনেককে নেওয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, ফায়ার সার্ভিস এখন পর্যন্ত ১৯ জনের মরদেহ উদ্ধার করেছে। মরদেহগুলো হাসপাতালে আছে।

টিটি/এমকেআর/জিকেএস