জাতীয়

বাইরে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ, এখনো অবরুদ্ধ দুই উপদেষ্টা-প্রেস সচিব

ঢাকার উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের সামনের গোলচত্বরে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ চলছেই। সরকারের পক্ষ থেকে ৬ দফা দাবি মেনে নেওয়া হলেও আন্দোলন অব্যাহত রেখেছেন শিক্ষার্থীরা। তারা বিমান দুর্ঘটনায় মৃতের সংখ্যা গোপন করার অভিযোগ তুলে নানান স্লোগান দিচ্ছেন।

মঙ্গলবার (২২ জুলাই) সন্ধ্যা পৌনে ৭টায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত কলেজের বাইরে বিভিন্ন পয়েন্টে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ চলছিল।

আরও পড়ুন

মাইলস্টোনে ৭ ঘণ্টা অবরুদ্ধ দুই উপদেষ্টা ও প্রেস সচিব আইনশৃঙ্খলা বাহিনী-শিক্ষার্থীদের পাল্টাপাল্টি ধাওয়ায় আহত ৮৫

অন্যদিকে আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল, শিক্ষা উপদেষ্টা ড. চৌধুরী রফিকুল আবরার, প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম ও প্রেস উইংয়ের অন্য সদস্যরা মাইলস্টোন কলেজে আট ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে অবরুদ্ধ রয়েছেন৷ তারা কলেজের ৭ নম্বর একাডেমিক ভবনে অবস্থান করছেন। ভবনের সামনে বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।

এর আগে দুপুরে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ পরিদর্শনে গিয়ে শিক্ষার্থীদের সব দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাস দেন আইন উপদেষ্টা। দুপুর পৌনে ১টার দিকে শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে আলোচনার পর আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল, শিক্ষা উপদেষ্টা সি আর আবরার ও প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বের হয়ে আসেন।

তবে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভের মুখে দুই উপদেষ্টা ও প্রেস সচিব আবারও কলেজের ভেতরে ঢুকে যান।

আরও পড়ুন

আহতদের প্রয়োজনে দেশের বাইরে পাঠানো হবে: আসিফ নজরুল বিমান বিধ্বস্তে নিহত বেড়ে ৩১

প্রায় পাঁচ ঘণ্টা অবরুদ্ধ থাকার পর বিকেল সোয়া ৩টার দিকে সেখান থেকে পুলিশের পাহারায় বের হওয়ার চেষ্টা করে আবারও ব্যর্থ হন দুই উপদেষ্টা ও প্রেস সচিব। এসময় তাদের গাড়িবহর শিক্ষার্থীদের বাধার মুখে ফের মাইলস্টোন কলেজে ফিরে যায়।

গতকাল সোমবার বিমান বিধ্বস্তে ব্যাপক হতাহতের ঘটনায় আজ মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে মাইলস্টোন কলেজ ক্যাম্পাস পরিদর্শনে যান দুই উপদেষ্টা ও প্রেস সচিব। এসময় তারা শিক্ষার্থীদের তোপের মুখে পড়েন। এর আগে সকালে শিক্ষার্থীরা ৬ দফা দাবি ঘোষণা করে আন্দোলনে নামেন।

গতকাল সোমবার বিমানবাহিনীর একটি যুদ্ধবিমান ঢাকার উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের একটি ভবনে বিধ্বস্ত হয়। এতে এখন পর্যন্ত ৩১ জন নিহত ও ১৬৫ জন বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন বলে জানিয়েছে আইএসপিআর।

এএএইচ/এমকেআর/এএসএম