জাতীয়

ভুক্তভোগী পরিবারগুলোকে ফ্রি রাইড সেবা দিচ্ছেন একদল তরুণ

তারিক হোসাইন। বয়স ২৫। তেজগাঁও কলেজের শিক্ষার্থী। জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের সামনে প্লে কার্ড হাতে দাঁড়িয়ে। এখানে স্পষ্ট লেখা মৃত এবং দগ্ধ মাইলস্টোন স্কুলের শিক্ষার্থীদের আত্মীয়-স্বজনদের জন্য ফ্রি রাইড সার্ভিস। অগ্নিদগ্ধ পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছে ২০ থেকে ২৫ জন শিক্ষার্থী।

মূলত আহত ও নিহতদের পরিবারের সদস্যরা উত্তরা, সিএমএইচ ও বার্ন ইউনিটে দৌড়াদৌড়ি করছে। এই সুযোগ কিছু অসৎ সিএনজি চালক ও রিকশা চালকরা বাড়তি ভাড়া আদায় করছে। এই জন্য মূলত তরুণরা তিনটা পয়েন্টে ভাগ হয়ে ফ্রি রাইড সার্ভিস দিচ্ছে। মঙ্গলবার দিনভর তারা এ কার্যক্রম চালান।

মাইলস্টোনের দগ্ধ বাচ্চাদের স্বজনদের জন্য ফ্রি বাইক রাইড সার্ভিস দিচ্ছেন তেজগাঁও এালাকর ব্যবসায়ী মোহাম্মদ হাসাব।। জাতীয় বার্ন ইউনিটের সামনে মঙ্গলবার প্লে-কার্ড হাতে দাঁড়িয়ে ছিলেন তিনি।

হাসান বলেন, আমরা বিপদে পড়লে কিছু লোক সুযোগ নেয়। মাইলস্টোনের ঘটনায় অনেকে বিপদে পড়ে উত্তরা সিএমএইচ যাচ্ছেন। অথচ অনেকে বাড়তি ভাড়া দাবি করছে। এই জন্য আমরা এদের পাশে দাঁড়িয়েছি। তাদের কোন ভাড়া লাগবে না।

সেমাবারও ৭ জন তরুণ ফ্রি রাইড সেবা দিয়েছেন। সেই সংখ্যা বেড়ে ২০ থেকে ২৫ জন হয়েছে এখন।

ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী মোহাম্মদ সাফাত বলেন, মানুষের পাশে দাঁড়ানো আমাদের উচিত। সেই বিবেকের তাড়নায় ৭ জনকে উত্তরা ও সিএমএইচ পৌঁছে দিয়েছি। আমরা গ্রুপের মাধ্যমে বন্ধুদের আহ্বান করছি ফ্রি রাইড সেবা দেওয়ার জন্য। আশা করি, সামনে এই সংখ্যা বাড়বে। কোন সিএনজি চালককে বাড়তি ভাড়া নিতে দেবো না। আমরা হতাহতদের পরিবারের সদস্যদের নির্দিষ্ট গন্তব্যে পৌঁছে দিতে কাজ করে যাবো।

এমওএস/এসএনআর/জেআইএম