জাতীয়

খাবার নিয়ে স্বেচ্ছাসেবকদের পাশে তৃতীয় লিঙ্গের লোকজন

জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউডে স্বেচ্ছাসেবকদের মধ্যে খাবার বিতরণ করেছেন তৃতীয় লিঙ্গের (হিজড়া) লোকজন। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে হাসপাতালের সামনে খাবার ও পানি বিতরণ করেন তারা।

তৃতীয় লিঙ্গের কয়েকজনের সঙ্গে কথা হলে তারা জানান, মানুষ মানুষের জন্য। এত বড় একটি দুর্ঘটনা, আমরা যতটুকু পেরেছি ততটুকু নিয়ে পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছি। আমরা মানুষের থেকে টাকা নিয়ে চলি। আমাদের মনে হয়েছে বিপদে পড়া মানুষদের জন্য কিছু করা দরকার। খুব বেশি কিছু করার সামর্থ্য নেই। তাই নিজেরা বাসা থেকে সামান্য খাবার রান্না করে নিয়ে এসেছি।

তারা আরও বলেন, এখানে পরিস্থিতি এমন কেউ চাইলেই খেতে পারছে না। সকাল থেকেই স্বেচ্ছাসেবকদের ডিউটি চলছে। বাইরে থেকে খাবার নিয়ে আসারও সুযোগ পাচ্ছে না অনেকে। তাই মনে হলো আমরা তাদের সামান্য দিয়ে হলেও সহযোগিতা করতে পারি। ছোট ছোট বাচ্চাগুলো কীভাবে পুড়ে মরলো, আহত হলো। আমরাও মানুষ, আমাদেরও এসব দেখে কষ্ট হচ্ছে।

বৃষ্টি নামের এই জনগোষ্ঠীর একজন বলেন, কত কষ্ট নিয়ে ছোট পাখিগুলো মরে গেলো, আহত হলো। আমরা সমাজেরই অংশ। এমন দিন আর না আসুক।

তাদের এমন উদ্যোগে স্বেচ্ছাসেবকরাও খুশি। কয়েকজন স্বেচ্ছাসেবক জানান, আমরা তাদের খাবার পেয়ে অনেক খুশি। যে কোনো বিপদে একে অন্যের পাশে দাঁড়ানোই হোক নতুন বাংলাদেশের নতুন অঙ্গীকার।

মঙ্গল আলো ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান নারগিস সুলতানা কাজ করছেন স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে। আমরা একই সমাজের মানুষ। আজকের এ খাবার বিতরণ সেটি আবারও প্রমাণ করলো। এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় সবাই সহযোগিতার জন্য এগিয়ে আসছে এটাই সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি। বিপদে আমরা সবাই সবার পাশে থাকবো এই মানবতায় আমরা এগিয়ে যেতে চাই।

এমডিএইচআর/এমআইএইচএস/জেআইএম