জাতীয়

নিয়ম না মেনে স্থাপনা নির্মাণ চট্টগ্রামে জলাবদ্ধতার অন্যতম কারণ

বিল্ডিং কোড না মেনে স্থাপনা নির্মাণের জন্য চট্টগ্রামে জলাবদ্ধতা হচ্ছে জানিয়ে চসিক মেয়র শাহাদাত হোসেন বলেছেন, আমি পরিদর্শনকালে দেখেছি বেশ কিছু ভবন নির্মাণে বিল্ডিং কোড মানা হয়নি। এ বিষয়ে আমি সিডিএর সঙ্গে কথা বলব এবং তাদের বলব বিল্ডিং কোড না মেনে নালা দখল করে গড়া স্থাপনাগুলো ভাঙতে।

সোমবার (২৮ জুলাই) চট্টগ্রাম মহানগরীর বিভিন্ন জলাবদ্ধতাপ্রবণ এলাকা পরিদর্শনের সময় এ কথা বলেন মেয়র। একই সঙ্গে এ বিষয়ে জনগণকে সচেতন আচরণ করার কথাও বলেন তিনি।

এসময় তিনি বলেন, জলাবদ্ধতা নিরসনে সংশ্লিষ্ট সব সেবা সংস্থাকে সমন্বিতভাবে কাজ করতে। পরে মেয়র চকবাজার, কাতালগঞ্জ, জিইসি, পাঁচলাইশ, ওয়াসা, বাকলিয়া ও লালখানবাজারসহ বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করেন। এসময় এই সমস্যার সমাধানে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেন শাহাদাত হোসেন।

পরিদর্শনকালে মেয়র স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ ও ভোগান্তির কথা শোনেন এবং বলেন, জলাবদ্ধতা চট্টগ্রাম নগরের দীর্ঘদিনের সমস্যা। এই কাতালগঞ্জ রোডের পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থায় দ্রুত কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে। দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রকৌশলীদের নির্দেশ দিয়েছি অবিলম্বে ড্রেনেজ সিস্টেম সংস্কার করে পানি চলাচলের পথ উন্মুক্ত করতে হবে।

তিনি আরও বলেন, শুধু সাময়িক নয়, আমরা স্থায়ী সমাধানের দিকেই এগোচ্ছি। নগরবাসীর দুর্ভোগ লাঘবে চসিক সর্বাত্মকভাবে কাজ করে যাচ্ছে।

পরিদর্শনকালে তিনি ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া সম্পর্কে জনসচেতনতা তৈরিতে লিফলেট বিতরণ করেন ও মাইকিং কার্যক্রম তদারকি করেন। পরিদর্শনের অংশ হিসেবে বাটালি পাহাড়সংলগ্ন ঝুঁকিপূর্ণ বসবাসকারী তিনটি পরিবারকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়।

মেয়র জানান, পাহাড়ে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাসকারীদের সরিয়ে নিতে আমরা কঠোর অবস্থানে আছি। একই সঙ্গে জনসাধারণকে সচেতন করতে নিয়মিত প্রচার কার্যক্রম চালানো হচ্ছে।

কিছু এলাকায় পানি উঠছে, তবে পানি আমি যতদূর দেখছি যে আগের মতো যেভাবে সারাদিন পানি জমে থাকতো এটা থাকছে না। দেড় দুই ঘণ্টা বৃষ্টি বন্ধ হওয়ার পর চলে যাচ্ছে পানি। তারপরও আমি চাচ্ছি যে এখানে যে সার্ভিস ড্রেনগুলো আছে সেগুলো আমরা ক্লিন রাখবো। আমি এটা সরজমিনে দেখেছি আজ। আমার যে প্যানেল এক্সপার্ট আছে তারাও আসবে। এসে কাজটা আমরা দ্রুত শুরু করব।

এসময় চসিকের সংশ্লিষ্ট বিভাগীয় কর্মকর্তা, স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।

এমআইএইচএস/এএসএম