বিসিবির দৃশ্যপট বদলে গেছে। এক সময় মনে হচ্ছিল- হয় ফারুক আহমেদ না হয় তামিম ইকবাল কিংবা কুতুবউদ্দীন আহমেদের কেউ হবেন বিসিবির নির্বাচিত নতুন সভাপতি; কিন্তু হঠাৎ এক ঝড়ের ঝাপটায় সভাপতি হওয়া বহুদূরে, বিসিবি থেকেই ছিটকে পড়েছেন ফারুক আহমেদ। তার জায়গায় নতুন সভাপতি হয়েছেন আমিনুল ইসলাম বুলবুল।
এখন জাতীয় দলের এ সাবেক অধিনায়ক ও অভিষেক টেস্টের সেঞ্চুরিয়ান আমিনুল ইসলামই (Aminul Islam Bulbul) বিসিবি প্রধান। তার অধীনে পরিচালিত হচ্ছে বিসিবি (BCB) কার্যক্রম। প্রশ্ন হচ্ছে, বুলবুল কতদিন সভাপতি (BCB President) পদে থাকবেন? ফারুক আহমেদের মতো বুলবুলও কী নির্বাচন (election) করার কথা ভাবছেন? ফারুকের মতো পরে বিসিবি প্রধান হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে বিসিবিতে নির্বাচনের কথা ভাবছেন বুলবুল?
নাকি অন্তর্বর্তীকালীন সময়ে দায়িত্ব পাওয়া বুলবুল বিসিবি নির্বাচনের আগ পর্যন্তই দায়িত্ব পালন করবেন? এখন বুলবুলের নেতৃত্বে যে ১০ জনের বোর্ড আছে? সেই বোর্ডই কি আগামী অক্টোবরে নির্ধারিত নির্বাচন পর্যন্ত থাকবে? নাকি এ কমিটির মেয়াদকাল বাড়ানো হবে? নাকি বুলবুলকে প্রধান করে নতুন আহ্বায়ক করে জাতীয় সংসদ নির্বাচন পর্যন্ত নিয়ে যাওয়া হবে? তারপর নতুন সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর বিসিবি নির্বাচন হবে? যদি তাই হয়, তাহলে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগের সময়টাও কী তাহলে বুলবুলের নেতৃত্বেই বিসিবি পরিচালিত হবে?
আরও পড়ুন>>
বিসিবির নতুন সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল ১২ হাজার টাকা বাসা ভাড়া প্রসঙ্গে বুলবুল, ‘এটা কি খুব বড় খবর?’ সভাপতি বুলবুল নাকি ফারুকের নেতৃত্বে নতুন অন্তর্বর্তীকালীন কমিটি? সম্ভাব্য সভাপতিপ্রার্থী তামিম ইকবাল, ফারুক আহমেদ ও কুতুবউদ্দিন
ক্লাব পাড়ায় নানান গুঞ্জন। ক্রিকেট অঙ্গনে অনেক প্রশ্ন উঁকি ঝুঁকি দিচ্ছে। যার পরতে পরতে নানান হিসাব-নিকাশ, সমীকরণ। এসব কৌতূহলী প্রশ্নের উত্তর খুঁজতেই মূলত এ প্রতিবেদন।
প্রথমেই বলে নেওয়া দরকার, আমিনুল ইসলাম বুলবুল ব্যক্তিগত জীবনে নির্ঝঞ্ঝাট একজন মানুষ। তার ওপর একযুগের বেশি সময় কাজ করেছেন বিশ্ব ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসিতে। নিয়ম, শৃঙ্খলা, পেশাদারত্ব তার ব্যক্তি ও প্রাত্যহিক জীবনের সঙ্গী। সেটা তার দায়িত্বপ্রাপ্তির পর থেকেই দৃশ্যমান।
কম কথা। বেশি কাজ- এ ব্রত নিয়েই এগোচ্ছেন দেশের ক্রিকেটের এ নামি তারকা। রাজধানী ঢাকাকেন্দ্রিক মানসিকতা ছেড়ে দেশের ক্রিকেটের উন্নয়নে সচেষ্ট বুলবুল। তাই তাকে আজ ঢাকা, কাল চট্টগ্রাম, পরশু সিলেট, তারপর বগুড়া, রাজশাহী কিংবা খুলনায় ছোটাছুটি করতে দেখা যাচ্ছে।
তিনি জানেন, বোঝেন- তাকে একটা নির্দিষ্ট সময়ের জন্য বোর্ড পরিচালনার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে এবং সেটা সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে তাকে একটা নির্দিষ্ট মেয়াদ পর্যন্ত বিসিবি প্রধানের দায়িত্ব প্রদান করা হয়েছে। তিনি সেই মেয়াদকালীন সময়টুকুই থাকতে চান। এরপর আর একদিনও চেয়ার ধরে রাখার কোনোরকম ইচ্ছে তার নেই।
এখন পর্যন্ত তিনি কারও কাছে বিসিবিতে থাকার ইচ্ছে পোষণ করেননি। ‘বোর্ড সভাপতি হতে চাই’- এমন কথা তার মুখ থেকে বের হয়নি। বুলবুলের সবচেয়ে কাছের মানুষও বলতে পারবেন না, তিনি মেয়াদ শেষ হওয়ার পর ফারুক আহমেদের মতো বিসিবি সভাপতি হতে চান এবং একটি প্যানেল দাঁড় করানোর ইচ্ছে পোষণ করেন।
এখন প্রশ্ন হলো, বুলবুল যদি সত্যিই বিসিবি প্রধান হওয়ার ইচ্ছে ব্যক্ত না করেন, তাহলে কী হবে? তার মেয়াদকালীন (এখন পর্যন্ত অক্টোবর-২০২৫) সময়ের পরে নির্বাচন হবে? নাকি বিসিবি নির্বাচনটা জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পরে অনুষ্ঠানের সিদ্ধান্ত আসবে?
যদি আইসিসির বিশেষ অনুমোদন নিয়ে সেটা করা যায়, তাহলে কি এই বোর্ডের মেয়াদ আরও কয়েক মাস বাড়বে? নাকি বুলবুলকে সভাপতি রেখে আরও একটি আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হবে? তেমন সম্ভাবনার কথাও কিন্তু শোনা যাচ্ছে।
এর কোনটা ঘটবে? তা এখনই বলা দুষ্কর। বোর্ডের একজন পরিচালকও নিশ্চিত করে এসব প্রশ্নের জবাব দিতে পারেননি। তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক পরিচালকের দাবি- এখন পর্যন্ত অক্টোবরে নির্বাচন ধরেই এগোনো হচ্ছে এবং তারা ধরেই নিয়েছেন বর্তমান সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুলের নেতৃত্বাধীন কমিটিই আগামী বোর্ড নির্বাচনের আগে পর্যন্ত বহাল থাকবে।
যদি তাই থাকে, তাহলে খুব প্রাসঙ্গিকভাবেই দুটি প্রশ্ন উঠছে। এক বিসিবি পরিচালনা পর্ষদ নির্বাচনে সম্ভাব্য পরিচালক হিসেবে কাদের দেখা যেতে পারে? এর মধ্যে ঢাকার ক্লাব কোটায় সম্ভাব্য পরিচালক হিসেবে কারা আসতে পারেন? আর বোর্ড সভাপতি হিসেবেই বা কার সম্ভাবনা বেশি?
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এ মুহূর্তে আমিনুল ইসলাম বুলবুলের নেতৃত্বে বিসিবির যে ১০ পরিচালনা পর্ষদ আছে, তার মধ্যে মাহবুব আনাম, ইফতিখার রহমান মিঠু ও ফাহিম সিনহা সবেচেয়ে মজবুত অবস্থানে। ঢাকার ক্লাবগুলো প্রতিনিধি হিসেবে যে ১২ পরিচালক থাকবেন বিসিবি পরিচালনা পর্ষদে, সেখানে এই তিনজনের থাকার সম্ভাবনা অনেক বেশি।
কারণ, এক ও অভিন্ন। প্রথমত তিনজনই প্রতিষ্ঠিত ও দক্ষ সংগঠক। এরমধ্যে মাহবুব আনাম সবচেয়ে নামি, দক্ষ, অভিজ্ঞ ও পুরোনো সংগঠক। তিন যুগেরও বেশি সময় ধরে তিনি ঢাকা মোহামেডানের শীর্ষ কর্তা। অর্জুনা রানাতুঙ্গা, সনৎ জয়সুরিয়াসহ শ্রীলঙ্কান শীর্ষ তারকারা বিভিন্ন সময় মোহামেডানে খেলেছেন মাহবুব আনামের হাত ধরে।
তাই রানাতুঙ্গা আর জয়সুরিয়াসহ লঙ্কান ক্রিকেটের বড় ও নামি তারকারা মাহবুব আনামের নাম বলামাত্র সমীহের চোখে দেখেন। মোহামেডানের এ তুখোড় সংগঠক নিজ মেধা ও যোগ্যতায় বিভিন্ন সরকারের আমলে বিসিবিতেও প্রায় ৩০ বছর ধরে আছেন।
ইফতিখার রহমান মিঠুও নিবেদিতপ্রাণ ক্রিকেট সংগঠক। ঢাকার ক্লাব ক্রিকেটে দীর্ঘদিন জড়িত নিবেদিতপ্রাণ সংগঠক মিঠু। গুলশান ইয়ুথের এ শীর্ষ কর্তা খেলোয়াড়ি জীবন থেকেই সংগঠক। ঢাকাই ক্রিকেটে নামি বিদেশি ক্রিকেটার আনা ও খেলানোয় তারও ভূমিকা যথেষ্ট। ভারতের দুই সাবেক টেস্ট ক্রিকেটার অরুন লাল, অশোক মালহোত্রা দীর্ঘদিন গুলশান ইয়ুথের হয়ে খেলেছেন তার হাত ধরেই।
ফাহিম সিনহা বয়সে তরুণ। সংগঠক হিসেবেও নবীন। তার প্রয়াত পিতা আফজালুর রহমান সিনহা দারুণ ক্রীড়া সংগঠক। ব্যক্তিগত ও পারিবারিক জীবনে দেশের অন্যতম ওষুধ নির্মাতা প্রতিষ্ঠান অ্যাকমি ল্যাবরেটরিজের অন্যতম অধিপতি ও দারুণ সফল ক্রীড়া সংগঠক আফজালুর রহমান সিনহার ছেলে ফাহিম সিনহা।
তার পিতা আফজালুর রহমান সিনহা সেই আশির দশক থেকে মৃত্যুর আগে পর্যন্ত আবাহনী ক্রিকেট ও হকি দলের প্রধান ‘ডোনার’ ছিলেন। পাশাপাশি এক সময় সূর্যতরুণ ক্রিকেট ক্লাবেরও অন্যতম পৃষ্ঠপোষক ছিলেন। তার ছেলে ফাহিম সিনহাও অল্প সময়ে পিতার পদাঙ্ক অনুসরণ করে সংগঠক হিসেবে সুনাম কুড়িয়েছেন।
জানা গেছে, মাহবুব আনাম, ইফতিখার রহমান ও ফাহিম সিনহা ১৮টি ক্লাবকে অর্থনৈতিকভাবে সহায়তা করেন। ওই ক্লাবগুলোর ভোট, সমর্থন যাই বলা হোক না কেন, এই তিনজনের পকেটে। এছাড়া গাজী গ্রুপের সিইও এবং বর্তমান বোর্ড পরিচালক সালাউদ্দীনও সম্ভাব্য পরিচালক হিসেবে মোটামুটি নিরাপদ অবস্থানে আছেন। সালাউদ্দীনের হাতেও বেশ কটা ক্লাব আছে।
এর বাইরে বিসিবির সাবেক পরিচালক পারটেক্স গ্রুপের অন্যতম অধিপতি আজিজ আল কায়সার টিটো এবং মোহামেডান ক্রিকেট কমিটি চেয়ারম্যান গার্মেন্টস ব্যবসায়ী মাসুদুজ্জামানের নামও সম্ভাব্য পরিচালক হিসেবে শোনা যাচ্ছে। তাদের সাথে রংপুর রাইডার্সের টিম ডিরেক্টর শাহনিয়ান তানিমের কথাও উচ্চারিত হচ্ছে। জানা গেছে, তার হাতেও ১২টি ক্লাবের সমর্থন আছে।
এর বাইরে ঢাকার ক্লাব কোটায় আরও চারজন পরিচালক থাকবেন। সে সব পদে বিসিবির সাবেক পরিচালক ও ঢাকা মোহামেডানের অন্যতম শীর্ষ কর্মকর্তা লোকমান হোসেন ভুঁইয়া, ঢাকার মেয়র ও বিএনপির নামি, জনপ্রিয় নেতা ও তুখোড় ক্রীড়া সংগঠক সাদেক হোসেন খোকার ছেলে ইশরাক হোসেন, প্রতিষ্ঠিত ক্রিকেট সংগঠক বিসিবির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক রফিকুল ইসলাম বাবু, অন্তঃপ্রাণ ক্লাব সংগঠক লুৎফর রহমান বাদলও সিরিয়াস প্রার্থী।
বিএনপির ঢাকা মহানগরের তরুণ প্রতিশ্রুতিশীল কণ্ঠস্বর ইশরাক হোসেন ব্রাদার্স ইউনিয়ন ক্লাবের কাউন্সিলর হিসেবেই বোর্ডে আসতে পারেন, এমন সম্ভাবনা অনেক জোরালো। এছাড়া বিএনপির আরেক তরুণ নেতা শীর্ষ কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম বাবু বরাবরই ইন্দিরা রোড ক্রীড়া চক্রের অন্যতম শীর্ষ কর্মকর্তা।
আর লুৎফর রহমান বাদলও ঢাকার ক্লাব ক্রিকেটে আরেক নামি সংগঠক। প্রায় দেড়যুগের বেশি সময় ধরে ঢাকার ক্লাব ক্রিকেটে মোহামেডান, ভিক্টোরিয়া ও লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জের পেছনে প্রচুর অর্থ খরচ করেছেন বাদল। নিজের দল লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জের কাউন্সিলর হয়েই তাকে নির্বাচন করতে দেখা যাবে।
এক সময় সভাপতি হওয়ার জোর ইচ্ছে পোষণ করেছিলেন তামিম ইকবাল। দেশের ক্রিকেটের এ বড় তারকা কিছুদিন আগেও বিসিবি সভাপতি হতে আগ্রহীও ছিলেন বলে শোনা গেছে। তবে হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার পর খুব স্বাভাবিকভাবে তামিমের তৎপরতা কমে গেছে। তাকে আর সেভাবে সরব মনে হচ্ছে না। তারপরও ক্রিকেট পাড়ায় জোর গুঞ্জন, তামিম ইকবালের ক্রিকেট বোর্ডপ্রধান হওয়ার ইচ্ছেটা একদম যায়নি। তিনিও বোর্ডে আসতে আগ্রহী। তবে শেষ পর্যন্ত সভাপতি না পরিচালক- কোন পদে আসতে আগ্রহী তামিম? সেটা সময়ই বলে দেবে।
এদিকে বোর্ড পরিচালক পদে নির্বাচনের তালিকায় সেভাবে তাদের নাম নেই। কিন্তু ভেতরে ভেতরে তিন-চারজনের নাম সভাপতি হিসেবে শোনা যাচ্ছে। যার একজন হলেন সৈয়দ আশরাফুল হক। সাবেক জাতীয় ক্রিকেটার, বিসিবির সাবেক সাধারণ সম্পাদক এবং এসিসির সাবেক প্রধান নির্বাহী আশরাফুল হক দেশের অন্যতম দক্ষ, কুশলী, মেধাবী ও যোগ্য ক্রিকেট সংগঠক হিসেবে সবার কাছেই সমাদৃত।
বাংলাদেশের টেস্ট স্ট্যাটাস প্রাপ্তিতে যার অবদান অবিস্মরণীয়। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বিশেষ পরিচিত সৈয়দ আশরাফুল হকের নাম বিসিবির সম্ভাব্য সভাপতি হিসেবে উচ্চারিত ঢাকার ক্লাব অঙ্গনে। তবে তিনি কোন ক্লাবের কাউন্সিলর হয়ে বোর্ডে আসতে পারেন, এখনো তা নিশ্চিত নয়।
তবে একটি শীর্ষ দৈনিকের সাথে মাসখানেক আগে এক সাক্ষাৎকারে সৈয়দ আশরাফুল হক বিসিবির সভাপতি হওয়ার ইচ্ছে ব্যক্ত করেছিলেন। এখন পরিবেশ-প্রেক্ষাপট কি দাঁড়ায়- তার ওপর নির্ভর করবে আশরাফুল হকের বোর্ড সভাপতি হওয়া বা না হওয়া।
এর পাশাপাশি বিসিবির সাবেক সভাপতি ক্রীড়াঙ্গনে নিপাট ‘ভদ্র মানুষ’ হিসেবে পরিচিত আলী আসগর লবিও আছেন আলোচনায়। সর্বশেষ বিএনপির শাসনামলে পাঁচ বছর বিসিবি প্রধানের দায়িত্ব পালন করেন খুলনার এ ধনাঢ্য ব্যক্তি ও প্রবীণ ক্রীড়া সংগঠক। তার নামও শোনা যাচ্ছে কারও কারও মুখে।
মোহামেডানের অন্যতম শীর্ষ কর্তা, সাবেক বিওএ মহাসচিব দেশের অন্যতম শীর্ষ পোশাক ব্যবসায়ী কুতুবউদ্দীন আহমেদের নাম কয়েক মাস উচ্চারিত হয়েছিল জোরেসোরে। মাঝে সেটা একটু কম শোনা গেলেও ক্লাব পাড়ার খবর, লোকমান হোসেনের নেতৃত্বে একটি গ্রুপ কুতুবউদ্দীনকে বিসিবির পরবর্তী সভাপতি করার পরিকল্পনায় আছেন। তাই সম্ভাব্য সভাপতির তালিকায় আছে কুতুবউদ্দীন আহমেদের নামও।
ওপরে যাদের নাম বলা হলো, তাদের বাইরে সম্ভাব্য সভাপতি হিসেবে আরও একটি নামও আছে। তবে সেটা নীরবে। নিভৃতে। তিনি ‘মাহবুব আনাম।’
এ মুহূর্তে দেশের ক্রিকেটে বহুল আলোচিত সংগঠক। বিসিবি নির্বাচনের মূল প্রক্রিয়া, ছক, নকশা যাই হোক না কেন, মাহবুব আনাম থাকবেন তার মধ্যমণি। তিনি সভাপতি হোন বা না হোন, তাকে ঘিরেই আবর্তিত হচ্ছে বিসিবির সম্ভাব্য পরিচালনা পর্ষদ।
জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে অক্টোবরেই যদি বোর্ড নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়, আর সেখানে আশরাফুল হক, আলী আসগর লবি ও কুতুবউদ্দীনের কেউ সভাপতি পদে নির্বাচন করতে উৎসাহ না দেখান, কিংবা পরিবেশ-প্রেক্ষাপট তাদের পক্ষে না থাকে- তাহলে মাহবুব আনামকেও বিসিবির সভাপতি হিসেবে দেখা যেতে পারে।
আরেকজনের নাম একবারও বলা হয়নি। ভাববেন না তিনি কোথাও নেই বা থাকবেন না। অবশ্যই আছেন এবং তিনি থাকবেন। তিনি নাজমুল আবেদিন ফাহিম। জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর কোথাকার পানি কোথায় গিয়ে গড়াবে কে জানে! তবে তার আগে যদি বিসিবি নির্বাচন হয়, তাহলে নাজমুল আবেদিন ফাহিম নিশ্চিতভাবেই জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের মনোনীত পরিচালক হিসেবেই বোর্ড পরিচালনা পর্ষদে থাকবেন।
এআরবি/আইএইচএস