বিতর্কিত ১৫ ক্লাবের কাউন্সিলররা বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না এ সংক্রান্ত হাইকোর্টের দেওয়া আদেশ স্থগিত করেছেন আপিল বিভাগের চেম্বার জজ আদালত। এর ফলে বিসিবি নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন সেই ১৫ ক্লাবের কাউন্সিলর।
রোববার (৫ অক্টোবর) সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি ফারাহ মাহবুবের চেম্বার জজ এ আদেশ দেন। আদালতে আজ রিট আবেদনের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন ব্যারিস্টার মো. রুহুল কুদ্দুস কাজল ও ব্যারিস্টার কায়সার কামাল। বিসিবির পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার মাহিন এম রহমান।
এই ১৫ ক্লাবের কাউন্সিলররা বিসিবি নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না বলে গত মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) রুল জারি করেন হাইকোর্ট। বিচারপতি খিজির আহমেদ চৌধুরী ও বিচারপতি সৈয়দ হাসান যুবায়িরের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আরও পড়ুনবিসিবি নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না সেই ১৫ ক্লাবের কাউন্সিলররাবিসিবি নির্বাচনে নতুন মোড় : ফের বাতিল হতে পারে ১৫ ক্লাবের কাউন্সিলরশিপ
ওইদিন ১৫ ক্লাবের কাউন্সিলরদের নিয়ে চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশের বিষয়টি কেন বেআইনি ও অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করা হয়। একই সঙ্গে এই ১৫ ক্লাবের কাউন্সিলরদের চূড়ান্ত ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্তির কার্যক্রম স্থগিত করেন আদালত।
দুদকের ‘অবজারভেশন’ থাকায় ওই ১৫ ক্লাবের কাউন্সিলরদের প্রথমে ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করেনি বিসিবির নির্বাচন কমিশন। পরে নির্দিষ্ট দিনে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিয়ে আবেদন করার ফলে নির্বাচন কমিশন থেকে সেই ১৫ ক্লাবের কাউন্সিলরদের অন্তর্ভুক্ত করে পুনরায় তালিকা প্রকাশ করা হয়।
ক্লাবগুলো হলো- এক্সিউম ক্রিকেটার্স, ঢাকা ক্রিকেট একাডেমী, মোহাম্মদ ক্রিকেট ক্লাব, নবাবগঞ্জ ক্রিকেট কোচিং একাডেমী, পূর্বাচল স্পোর্টিং ক্লাব, গুলশান ক্রিকেট ক্লাব, ওল্ড ঢাকা ক্রিকেটার্স, ভাইকিংস ক্রিকেট একাডেমী, বনানী ক্রিকেট ক্লাব, নাখালপাড়া ক্রিকেটার্স, মহাখালী ক্রিকেট একাডেমী, ধানমন্ডি ক্রিকেট ক্লাব, প্যাসিফিক ক্রিকেট ক্লাব, স্যাফায়ার স্পোর্টিং ক্লাব ও আলফা স্পোর্টিং ক্লাব। আগামী ৬ অক্টোবর বিসিবি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।
এফএইচ/বিএ/জেআইএম