শিক্ষা

শিক্ষকের মর্যাদা দিতে হলে কথায় চিড়া ভিজবে না, বেতনও বাড়াতে হবে

শিক্ষকদের সত্যিকার অর্থে মর্যাদা দেওয়া হচ্ছে না বলে মন্তব্য করেছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার। তার ভাষ্য, ‌‘সত্যিই শিক্ষকদের মর্যাদা দিতে হলে শুধু মুখের কথাতেই চিড়া ভিজবে না। তাদের বেতন-ভাতা বাড়াতে হবে।’

রোববার (৫ অক্টোবর) দুপুরে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে বিশ্ব শিক্ষক দিবস উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

শিক্ষকদের বেতন ও মর্যাদা বাড়ানোর ওপর গুরুত্বারোপ করে ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার বলেন, দেখুন, সরকারি শিক্ষকদের মধ্যে আমরা যদি দেখি, তাহলে সবচেয়ে নিচে রয়েছেন আমাদের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকরা। তারা কত গ্রেডে বেতন পান? ১৩তম গ্রেড! অর্থাৎ, একজন কম্পিউটার অপারেটরের স্কেলে শিক্ষকরা। এই হচ্ছে তাদের সম্মান-মর্যাদা। উপজেলা হেড কোয়ার্টারে যে হিসাবরক্ষক, তার স্কেলও ১২তম। তাকে স্যার ডাকার মতো অবস্থা।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, সরকারি কলেজের অধ্যাপকের স্কেল কত জানেন? চার (চতুর্থ গ্রেড)। অর্থাৎ একজন যুগ্ম সচিবেরও নিচে অবস্থান করেন তারা। আমরা এ মর্যাদা দিচ্ছি শিক্ষকদের। সুতরাং শিক্ষকদের যদি সত্যি মর্যাদা দিতে হয়, তাহলে শুধু মুখের কথায় চিড়া ভিজবে না। এ কথাটা আমাদের মনে রাখতে হবে।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. সি আর আবরার। বিশেষ অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এস এম এ ফায়েজ, কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব মুহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, ইউনেসকো ঢাকা কার্যালয়ের প্রধান সুজান ভাইজ।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব রেহানা পারভীন সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) বাংলা বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক গোলাম মুস্তাফা।

অতিথি ছিলেন ইসলামিক ওয়ার্ল্ড এডুকেশনাল, সায়েন্টিফিক অ্যান্ড কালচারাল অর্গানাইজেশনের (আইসিইএসসিও) মহাপরিচালক সেলিম এম আল মালিক।

এএএইচ/এমআইএইচএস/জেআইএম