সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ বলছেন, অন্তর্বর্তী সরকার আল্লাহ থেকে নাজিল হয়ে আসেনি। আমরা ফেরেশতা নই যে, জাদু দিয়ে সব কিছু করে দিতে পারবো। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সব ঠিক করা হবে।
মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) বিকেলে গাজীপুরের টঙ্গীর নতুন বাজার এলাকায় শারীরিক প্রতিবন্ধী সুরক্ষা ট্রাস্ট, মৈত্রী শিল্প কারখানা পরিদর্শনে এসে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘সব জায়গায় দুর্নীতি। পোকামাকড়ের মতো দুর্নীতি। যেখানে হাত দিচ্ছি, সেখানেই ঝাড়ু দিতে হচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘মুক্তা’র মতো একটি ইন্ডাস্ট্রি স্বয়ংসম্পূর্ণ হওয়া উচিত ছিল। এর চেয়ে বেসরকারি সেক্টরে অনেক ছোট প্রকল্প আছে, যা স্বয়ংসম্পূর্ণ এবং সেখানে ভর্তুকি দিতে হয় না। আমি যদি সময় পাই, তবে মুক্তা পানিকে বছরে সরকারের দেওয়া ২২ কোটি টাকা ভর্তুতি বন্ধ করে দেওয়া হবে।
শারমীন এস মুরশিদ বলেন, ‘আমরা শত যুগের আবর্জনার মধ্যে পড়েছি। যুগ যুগ ধরেই এ অব্যবস্থাপনা চলছে। আমাদের দেখতে হবে কাজের পরিধি কী পরিমাণ এবং সময় কী পরিমাণ। সেই সময়ের সঙ্গে কাজ ভাগ করলেই বুঝবেন কেন আমরা সব জায়গায় হাত দিতে পারিনি। তবে যেখানেই আমরা হাত দিচ্ছি, সেখানেই সংস্কার হচ্ছে।’
শারীরিক প্রতিবন্ধী সুরক্ষা ট্রাস্ট, মৈত্রী শিল্প কর্তৃক উৎপাদিত ব্র্যান্ড মুক্তা পানি প্রসঙ্গে সরকারের এই উপদেষ্টা বলেন, ‘এখন মুক্তা পানিতে আমরা হাত দিয়েছি। মুক্তা পানির সব কর্মকর্তা-কর্মচারীরা জেনে গেছেন মুক্তা এখন একটি সংস্কারের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। সারাবিশ্বে পানির জায়গায় প্লাস্টিকের বোতলের বিকল্প এখনো করতে পারেনি। তবে আমি চাইবো মুক্তায় যেন প্লাস্টিকের একটি গবেষণা সেল থাকে।’
এর আগে প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন ইউনিট ও বিভাগ ঘুরে দেখেন উপদেষ্টা। এসময় উপদেষ্টার সঙ্গে ছিলেন সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মোহাম্মদ আবু ইউসুফ, শারীরিক প্রতিবন্ধী সুরক্ষা ট্রাস্ট মৈত্রীর শিল্প নির্বাহী পরিচালক কাজী মাহবুবুর রহমান, কারখানা ব্যবস্থাপক মহসিন আলীসহ সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ।
১৯৮০ সালে টঙ্গীতে ‘শারীরিক প্রতিবন্ধী সুরক্ষা ট্রাস্ট মৈত্রী শিল্প’ নামে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীন কারখানাটি প্রতিষ্ঠিত হয়। বর্তমানে প্লাস্টিক পণ্যসহ ১২৮টি পণ্য এখানে উৎপাদিত হয়। ১২৫ জন লোকবলের মধ্যে ৯৭ শতাংশই প্রতিবন্ধী।
এম এ আইমো. আমিনুল ইসলাম/এসআর/এমএস