বলিউড বাদশা শাহরুখ খানের ক্যারিয়ারে ‘দিলওয়ালে দুলহানিয়া লে জায়েঙ্গে’ একটি সেরা সিনেমা। এটিকে সবাই ‘ডিডিএলজে’ও (DDLJ) বলে থাকেন। এ সিনেমার ‘তুঝে দেখা তো ইয়ে জানা সনম’ গানটি এখনও সবার মুখে মুখে। গানটির সুরে মুগ্ধ হয়েছেন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টার্মারও। যশরাজ ফিল্মসের স্টুডিওর এ গান শুনে যে স্টার্মার রীতিমতো শাহরুখ জাদুতে আচ্ছন্ন হয়ে রয়েছেন, সেকথা তিনি নিজেই স্বীকার করেছেন।
প্রথমবার ভারত সফরে এসেছেন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টার্মার। বুধবার (৮ অক্টোবর) সকালের বিমানে মুম্বাইয়ে এসেছেন তিনি। আর বলিউডে পা রেখেই কড়া পুলিশি নিরাপত্তার মাঝে ছুটে গিয়েছেন যশরাজ ফিল্মসের স্টুডিওতে। তাকে স্বাগত জানাতে উপস্থিত ছিলেন সদ্য জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত অভিনেত্রী তথা যশরাজের বর্তমান কর্ণধার আদিত্য চোপড়াপত্নী রানি মুখোপাধ্যায়।
স্টারমারকে সারপ্রাইজ দেওয়ার জন্য বিশেষ আয়োজনও করা হয়েছিল রানি-আদিত্যর প্রযোজনা সংস্থার পক্ষ থেকে। জানা গেল, নব্বই দশকের ব্লকবাস্টার সিনেমা ‘দিলওয়ালে দুলহানিয়া লে জায়েঙ্গে’র তিন দশক পূর্তি উপলক্ষে যশরাজ স্টুডিওর নিজস্ব থিয়েটারে সেই সিনেমাই দেখানো হয় ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রীকে। এমনকী তাকে স্বাগতও জানানো হয় এই সিনেমার গানের মাধ্যমেই।
মন্ত্রমুগ্ধ হয়ে বলিউডের বিনোদন উপভোগ করার সুযোগ ছাড়েননি স্টার্মারও। প্রযোজনা সংস্থা ঘনিষ্ঠ সূত্র বলছে, স্টুডিওর ‘ফিল্মি অন্দরসজ্জা’ খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে পরীক্ষা করেছেন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী। আর সেটা দেখে নাকি বেশ মুগ্ধ হয়ে প্রশংসাও করেছেন।
বলিউডের একটি সূত্র জানাচ্ছে, যশরাজ ফিল্মসের কাজে কিয়ের স্টার্মার এতটাই মুগ্ধ হয়েছেন যে, সংশ্লিষ্ট প্রযোজনা সংস্থার সঙ্গে বড়সড় ‘চলচ্চিত্র চুক্তি’ও সম্পন্ন করেছেন তিনি। ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা, যশরাজের পরবর্তী তিনটি সিনেমার শুটিং হবে ব্রিটেনের বিভিন্ন স্থানে। এক্ষেত্রে ভারতের চলচ্চিত্র ইন্ডাস্ট্রির সাহায্যও পাওয়া যাবে। ২০২৬ সাল থেকে শুটিং শুরু হবে। যার ফলে তিন হাজারেরও বেশি কর্মসংস্থান হবে, অর্থনীতিও চাঙ্গা হবে। এরপর ভারত-ব্রিটেনের কূটনৈতিক সম্পর্ক শক্ত করতে যে যশরাজ ফিল্মস একটি বড় ভূমিকা পালন করছে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
আরও পড়ুন:বাবা আমাদের ধর্ম কী? মেয়েকে উত্তরে যা বলেন শাহরুখ৫৭ বছরেও ‘তরুণ’ শাহরুখের ফিট থাকার ৯ রহস্য
গত বছরের জুনে ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রীর আসনে বসেন স্টার্মার। ১৪ বছর পর ক্ষমতায় আসে লেবার পার্টি। ব্রিটেনের ৬৫০ আসনের হাউস অফ কমন্সে ৪১২ আসনে জিতে তারা সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করেন।
এমএমএফ/এএসএম