বিনোদন

সুখবর দিলেন রামচরণ

 

চলতি বছরে ভারতীয় বিনোদুনিয়ায় অনেক তারকা ঘরে নতুন সদস্যের সুখবর দিয়েছেন। কেউ নতুন বাবা-মা হয়েছেন, কেউ আবার সন্তান পেয়ে পরিবারে আনন্দের ঢেউ তুলেছেন। সেই আবহেই এবার ঘরে নতুন সদস্য আসার ইঙ্গিত দিয়েছেন দক্ষিণী সুপারস্টার রামচরণ।

সোশ্যাল মিডিয়ায় ইঙ্গিতপূর্ণ পোস্ট শেয়ার করেছেন রামচরণ ও তার স্ত্রী উপাসনা। সেখানে তাদের পরিবারকে ঘিরে শুভেচ্ছা ও ভালোবাসার বন্যা বইছে। তবে নেটিজেনদের কৌতূহলও ব্যাপক—বাবা চিরঞ্জীবীর নাতি কোলে নেওয়ার ইচ্ছা কি এবার ফের বাবা হওয়ার পেছনে প্রভাব ফেলেছে রামচরণের সিদ্ধান্তে?

এই গুঞ্জন নতুন নয়। বছরের শুরুতেই খবর আসে, রামচরণের কন্যাসন্তান হওয়ার ঘটনায় বেশ অখুশি ছিলেন অভিনেতা-রাজনীতিবিদ চিরঞ্জীবী। তিনি প্রকাশ্যে জানিয়েছেন, ‘আমি ভীত, দ্বিতীয়বার রামচরণ বাবা হলে যেন আবারও কন্যাসন্তান না আসে। আমি চাই এবার অন্তত একটি পুত্রসন্তানের জন্ম হোক। যাতে আমাদের পরিবারের ঐতিহ্য বজায় থাকে। আমি যখন বাড়িতে থাকি তখন মনে হয় না আমি আমার নাতনিদের সঙ্গে আছি—মনে হয় যেন আমি একটা লেডিজ হস্টেলে আছি।’

চিরঞ্জীবীর এই মন্তব্য তৎক্ষণাৎ আলোড়ন সৃষ্টি করেছিল। এবার তার এই কথা কি প্রভাব ফেলেছে রামচরণের সিদ্ধান্তে? নেটিজেনদের কৌতূহল ঠিক সেই জায়গা থেকেই জন্ম নিয়েছে।

সম্প্রতি দীপাবলির একটি ভিডিও ইনস্টাগ্রামে শেয়ার করেছেন উপাসনা। ক্যাপশনে লিখেছেন, ‘এই দীপাবলিতে আলো, ভালোবাসা, আশির্বাদ সবটাই আমাদের পরিবারে দ্বিগুণ হয়ে আসছে। আর তাই আমাদের এবং আমাদের পরিবারের জন্য এই উৎসব এবারে ভীষণই স্পেশাল। আমরা জীবনের নতুন ইনিংস শুরু করতে চলেছি।’ উপাসনার এই ভিডিও নেটপাড়ায় ঝড়ের গতিতে ভাইরাল হয়েছে।

      View this post on Instagram

A post shared by Upasana Kamineni Konidela (@upasanakaminenikonidela)

বিয়ের পর সন্তান নেওয়ার বিষয়ে দীর্ঘ বছর সময় নিয়েছিলেন রামচরণ ও উপাসনা। বিয়ের দশ বছর পর প্রথম কন্যাসন্তানের আগমনে তাদের ঘর আলো হয়ে ওঠে। মেয়ের বয়স মাত্র দুই বছর না হতেই এবার ঘরে আসছে নতুন সদস্য—এটাই ইঙ্গিত দিয়েছেন তারা।

আরও পড়ুন:প্রথম দিনেই ২৩ কোটি রুপি আয় করলো আয়ুষ্মান-রাশমিকার ‘থাম্মা’৩৫ বছরেই থেমে গেল জনপ্রিয় গায়ক ও অভিনেতার জীবন

তবে আনুষ্ঠানিকভাবে এখনো নতুন সন্তানের খবর জানানো হয়নি। তবুও, উপাসনার পোস্টের মাধ্যমে এরই মধ্যে জল্পনার সূচনা হয়েছে—দ্বিতীয়বার বাবা হতে চলেছেন রামচরণ।

এমএমএফ/জেআইএম