শিক্ষা

শিক্ষা ক্যাডারের প্রভাষকদের পদোন্নতির দাবিতে কর্মবিরতি

বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারের যোগ্য সব প্রভাষককে সহকারী অধ্যাপক পদে পদোন্নতিসহ তিন দফা দাবিতে রাজধানীতে কর্মবিরতি ও মানববন্ধন পালন করেছেন শিক্ষকরা।

রোববার (১৬ নভেম্বর) বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডার প্রভাষক পরিষদ ঢাকা কলেজ ইউনিটের উদ্যোগে এ কর্মসূচি পালিত হয়।

আন্দোলনরত শিক্ষকরা বলছেন, সব শর্ত পূরণ করা সত্ত্বেও তারা সহকারী অধ্যাপক পদে পদোন্নতি পাচ্ছেন না। এর কারণ হিসেবে শিক্ষকরা মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের গাফিলতিকে দায়ী করছেন।

তারা জানান, রাতারাতি অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাতীয়কারণ করার ফলে বিসিএস ক্যাডারদের সঙ্গে সেসব প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরাও পদোন্নতি চাচ্ছেন। সেই দায়ভার শিক্ষা ক্যাডারদের ওপর পড়তে পারে না। অন্য সব ক্যাডারে নিয়মিত পদোন্নতি হলেও শিক্ষা ক্যাডারের যারা প্রভাষক পদে রয়েছেন তারা বঞ্চিত হয়েছেন। সেজন্য সারাদেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এ কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে।

আরও পড়ুনউপসচিব পদে পদোন্নতি পেতে শিক্ষা ক্যাডারদের আবেদনের আহ্বানপ্রাথমিকে ঢাকা-চট্টগ্রামে শিক্ষক নিয়োগে বিজ্ঞপ্তি, পদ ৪১৬৬

শিক্ষকদের সূত্রে জানা গেছে, ৩২তম ও ৩৩তম বিসিএস ব্যাচের চার শতাধিক প্রভাষক চাকরিতে যোগদানের এক যুগ পরেও প্রথম পদোন্নতি পাননি। এছাড়া ৩৪তম বিসিএস ১০ বছর, ৩৫তম বিসিএস নয় বছর, ৩৬তম বিসিএস আট বছর ও ৩৭তম বিসিএস থেকে সাত বছর পার করলেও পদোন্নতি পাচ্ছেন না। প্রভাষক থেকে সহকারী অধ্যাপক পদে পদোন্নতির লক্ষে গ্রেডেশনভুক্ত কর্মকর্তার সংখ্যা ৩২তম বিসিএসে ৫৪, ৩৩তম বিসিএসে ৩৬১, ৩৪তম বিসিএসে ৬৩১, ৩৫তম বিসিএসে ৭৪০, ৩৬তম বিসিএসে ৪৬০ ও ৩৭তম বিসিএসে ১৫৩ জন রয়েছেন।

ঢাকা কলেজের অর্থনীতি বিভাগের প্রভাষক শামীম আহম্মেদ বলেন, ‘বিসিএস পরীক্ষা না দিয়ে অনেকে রাতারাতি ক্যাডার হয়ে যাচ্ছেন বেসরকারি কলেজ জাতীয়করণের কারণে। তারা আমাদের চেয়ে সিনিয়রিটি চাচ্ছেন। এদিকে আমাদের দীর্ঘদিন ধরে পদোন্নতি হচ্ছে না। আমরা পদোন্নতির সব শর্ত পূরণ করেছি। আমাদের পদোন্নতি দিলে সরকারের আর্থিক কোনো ক্ষতি হবে না। কারণ আমরা আগেই সে বেসিক বেতন অতিক্রম করেছি। পদোন্নতির স্কেল আগে থেকেই পাচ্ছি। সরকারের প্রতি আহ্বান দ্রুত আমাদের পদোন্নতি দেওয়া হোক।

শিক্ষকদের তিন দাবি হলো-শিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক দ্রুত মামলা নিষ্পত্তির ব্যবস্থা করতে হবে। শিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক ২০০০ বিধির কলেজগুলোর জাতীয়করণের তারিখ থেকে ক্যাডারভুক্তির নিয়মিতকরণের অবৈধ প্রজ্ঞাপনগুলো বাতিল করতে হবে। শিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক দ্রুত প্রভাষকদের পদোন্নতির সরকারি প্রজ্ঞাপন জারি করতে হবে।

এনএস/একিউএফ/এমএস