সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজ যাত্রীরা এবার সব ধরনের খরচ বাদেও অতিরিক্ত ১ হাজার ডলার সঙ্গে নিতে পারবেন।
রোববার বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রা নীতি বিনিময় বিভাগ এ সংক্রান্ত একটি সার্কুলার জারি করেছে।
এতে বলা হয়েছে, হজের সার্বিক খরচ ছাড়াও প্রত্যেক যাত্রী এক হাজার মার্কিন ডলারের সমপরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা সঙ্গে নিয়ে যেতে পারবেন।
সার্কুলারে প্রতি মার্কিন ডলার ৮০ টাকা ৫০ পয়সা এবং সৌদি রিয়েল ২১ টাকা ৫০ পয়সা নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হার সমসাময়িক বাজার দর অনুযায়ী হবে।
এছাড়াও রাজকীয় সৌদি সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী দেশটির প্রত্যেকটি হজ এজেন্সির নিজ নিজ নামে ব্যাংক হিসাব সচল রাখতে হবে।
এ হিসাবের মাধ্যমে আবাসন ও খাবারের অর্থ পরিশোধ করতে হবে। যে সব হজ এজেন্সি সামা (সৌদি অ্যারাবিয়ার মনিটারিং এজেন্সি) এর নির্দেশনা অনুযায়ী সৌদি আরবে ব্যাংক হিসাব সচল রাখবে না এবং ব্যাংকের মাধ্যমে বাড়ি/হোটেল ভাড়া ও খাবারের অর্থ পরিশোধ করবে না, সে সসব হজ এজেন্সি হজ যাত্রী প্রেরণে সৌদি সরকারের অনুমোদন পাবে না।
এ সব কার্যক্রম অনলাইনের মাধ্যমে সম্পন্ন করতে হবে।
সরকারি ব্যবস্থাপনায় হজ পালনে দু’টি প্যাকেজ রয়েছে। প্যাকেজ-১ অনুযায়ী, জনপ্রতি হজের খরচ ধরা হয়েছে ৩ লাখ ৮১ হাজার ৫০৮ টাকা। প্যাকেজ-২ অনুযায়ী খরচ ধরা হয়েছে ৩ লাখ ১৯ হাজার ৩৫৫ টাকা।
তবে সরকারি ব্যবস্থাপনায় হজ যাত্রীদের কোরবানির জন্য সৌদি মুদ্রায় ৫০০ রিয়েল সমপরিমাণ ১০ হাজার ৭৫০ টাকা (কম বা বেশি) নিজ দায়িত্বে সঙ্গে নিতে হবে।
আর বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজের খরচ ধরা হয়েছে জনপ্রতি ১ লাখ ৫৬ হাজার ৫৩৭ টাকা। তবে এজেন্সি প্যাকেজ অনুযায়ী মিনা-আরাফায় মোয়াল্লেমের অতিরিক্ত সার্ভিস চার্জ, মক্কা-মদীনায় বাড়ি/হোটেল ভাড়া ব্যয়, কুরবানির খরচ, গাইড খরচ, খাওয়া খরচ এর সঙ্গে যোগ হবে।
বিমান টিকিটে উল্লিখিত যাত্রার তারিখের দুই সপ্তাহের আগে কোনো বৈদেশিক মুদ্রা ইস্যু করা যাবে না বলে ওই সার্কুলারে জানানো হয়েছে।
এসআই/এমএমএ/আরআইপি