স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জমান খান কামাল বলেছেন, ভয়ংকর ইয়াবার থাবা সর্বাত্মক প্রতিরোধের জন্য মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরকে শক্তিশালী করা হয়েছে। ২০১৯ সালে ১ লাখ ৭১ হাজার ৭৫২ জন মাদক ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে ১ লাখ ৩০ হাজার ৬৮১টি মামলা করে আইনের আওতায় আনা হয়েছে।
সোমবার সংসদে সরকার দলীয় এমপি আবদুল লতিফের লিখিত প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ভয়ংকর ইয়াবার থাবা সর্বাত্মক প্রতিরোধে বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। মিয়ানমারের ইয়াবা পাচারকারীরা বাংলাদেশকে একটি রুট হিসেবে ব্যবহার করে আসছে। ১৩ মার্চ মিয়ানমারের কাছে চতুর্থ বৈঠকের জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। উক্ত বৈঠকে ভয়ংকর ইয়াবার থাবা থেকে রক্ষা পেতে ফলপ্রসূ আলোচনা হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করছি।
কারাগারে ধারণক্ষমতার চেয়ে বন্দি দ্বিগুণেরও বেশিসংরক্ষিত মহিলা আসনের শামসুন নাহারের লিখিত প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, বর্তমানে সারাদেশের কারাগারে ধারণ ক্ষমতার চেয়ে দ্বিগুণেরও বেশি বন্দি রয়েছে। বর্তমানে কারাগারের বন্দি ধারণক্ষমতা ৪০ হাজার ৯৪৪ জন। কারাবন্দির সংখ্যা ৮৮ হাজার ৮৪ জন। কারাগারের ধারণক্ষমতা বাড়ানোর জন্য সরকার নব-নির্মিত ৫টি কারাগারকে কারাগার-১ এবং পুরাতন কারাগারকে কারাগার-২ হিসাবে ঘোষণা দিয়েছে। এছাড়াও নতুন কারাগার নির্মাণ এবং পুরাতন কারাগার সম্প্রসারণ/নতুন ভবন তৈরি করেও বন্দি ধারণ ক্ষমতা বাড়ানো হচ্ছে।
সরকারি দলের সংসদ সদস্য দিদারুল আলমের প্রশ্নের লিখিত জবাবে তিনি এ তথ্য জানান।
সংরক্ষিত মহিলা আসনের শামীমা আক্তার খানমের প্রশ্নের লিখিত জবাবে মন্ত্রী বলেন, জঙ্গিবাদ একটি বৈশ্বিক সমস্যা, বাংলাদেশও এর বাইরে নয়। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে জঙ্গিবাদের ধরন ও কৌশল প্রতিনিয়ত পরিবর্তিত হচ্ছে। জঙ্গিগোষ্ঠী বিভিন্ন সময়ে মাথাচাড়া দিয়ে নাশকতা ঘটানোর চেষ্টা করলেও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী সময়োপযোগী কার্যকরি পদক্ষেপের মাধ্যমে বড় ধরনের নাশকতা ছাড়াই তা প্রতিহত করতে সক্ষম হয়েছে।
এইচএস/জেএইচ/জেআইএম