জ্বর আসা সাধারণ বিষয় হলেও, বর্তমানে তেমনটা ভাবার অবকাশ নেই। করোনা আতঙ্কে নিরীহ হাঁচিকেও ভয়ানক কোনো শত্রু মনে হয়! আর জ্বর এলে তো কথাই নেই! করোনাভাইরাস আক্রমণ করলো কি-না, সেই চিন্তায় অস্থির হতে হয়। তবে ঋতু পরিবর্তনের এই সময়ে জ্বর হওয়াটা অস্বাভাবিক নয়। তাই জ্বর এলেই করোনাভাইরাস ভেবে বসবেন না। তবে সতর্ক থাকতে হবে। জ্বর যদি তিনদিনের বেশি থাকে তবে অবশ্যই একবার পরীক্ষা করিয়ে নেবেন। এই সময়ে জ্বর এলে তা সারানোর ঘরোয়া উপায় জেনে রাখুন। জানাচ্ছে বোল্ডস্কাই-
মধু ও তুলসিপাতাসর্দি, কাশি, জ্বরের মতো সমস্যায় মধুর বেশ উপকারী। মধু আর তুলসীপাতা গলার কফ পরিষ্কার করে দেয়। সর্দিকাশি হলে প্রতি সকালে মধু আর তুলসীপাতা একসঙ্গে খেয়ে নিন। দেখবেন, কিছুক্ষণেই আপনার গলাটা পরিষ্কার হয়ে গেছে, আপনি আরাম পাচ্ছেন।
আদা চা ঠান্ডা লাগায় সর্দিতে নাক বন্ধ। গলার অবস্থাও মোটেই ভালো নয়। এমন অবস্থায় শুধু গলার কফ সরাতেই নয়, বুকের কফ পরিষ্কার করতেও আদা চায়ের তুলনা হয় না। ফুটন্ত পানিতে চিনি দিয়ে ফোটান। চিনি মিশে গেলে চা দিয়ে ফোটাতে হবে। এরপর এতে দিন আদার কুচি। অল্পক্ষণ পর ছাঁকনি দিয়ে ছেঁকে নিন চা। চাইলে এতে মেশাতে পারেন পাতিলেবুর অল্প রস। এটা চায়ের ভিটামিন সি যোগ করে। এই আদা চা খেলে সর্দির সময় মাথা ধরা কমে যায়। একইসঙ্গে দুর্বলতা কেটে যায়।
ভিটামিনঅনেকেই শরীরে ভিটামিনস পেতে বেছে নেন ভিটামিনস সাপ্লিমেন্টস। কিন্তু সবসময় ভিটামিন সাপ্লিমেন্টস না খেলেও চলে। কিছু কিছু খাবার থাকে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ বি সি ইত্যাদি। তাই খাবারের একটি ঠিকঠাক তালিকা তৈরি করার চেষ্টা করুন যাতে শরীলে সবধরনের ভিটামিন ঠিকমতো প্রবেশ করতে পারে। ভিটামিন শরীরের রোগপ্রতিরোধে অংশ নেয়। ফলে সর্দিকাশির মতো ছোটখাটো রোগ সহজে কাবু করতে পারে না।
তরল খাবারকফ একবার বুকে জমে গেলে তা বের করা কঠিন। এমনকি ঠিকমত চিকিৎসা না করাতে পারলে হতে পারে ইনফেকশনও। তাই সর্দিকাশির সময় কোনোভাবেই যেন বুকে কফ বসে না যায়। এর জন্য খেতে হবে প্রচুর পরিমাণে তরল। শুধু পানি নয়, খেতে পারেন ফ্রুট জুস বা স্যুপ জাতীয় খাবারও। এই তরল কফকে সহজে বুকে বসতে দেয় না। বরং বুকে থাকা কফকে তরল করে দিয়ে বেরিয়ে আসতে সাহায্য করে।
বিশ্রাম নিন ফ্লু অনেকসময় ছোঁয়াচে হয়ে থাকে। ফলে আপনার ফ্লু হলে হতে পারে আপনার আত্মীয়স্বজনের। হয়তো আপনার ফ্লুও হয়েছে এমনভাবেই। তাই এইসময় জ্বর গায়ে বাড়ি থেকে কোথাও না বেরিয়ে বাড়িতেই বিশ্রাম নেয়া ভালো। এতে সংক্রমণের আশঙ্কা কমে। এই সময় শরীর যথেষ্ট দুর্বল থাকে। তাই ঠিকঠাক বিশ্রাম নিতে প্রয়োজন পর্যাপ্ত ঘুমের।
এইচএন/এএ/জেআইএম