চুয়াডাঙ্গা শহরের ফেরিঘাট রোডে একটি বাল্ব গোডাউনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। বুধবার (৮ জুন) দিবাগত রাত ২টার দিকে চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার ফেরিঘাট রোডের তিনতলা একটি ভবনের নিচের ওই গোডাউনে আগুনের ঘটনা ঘটে। প্রাথমিক ধারণা করা হচ্ছে ২০ লক্ষাধিক টাকার মালামাল পুড়ে নষ্ট হয়েছে।
প্রথমে আগুনের ফুলকি দেখে স্থানীয়রা খবর দিলে ফায়ার সার্ভিসের তিনটি টিম আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে। এরপর আগুনের ভয়াবহতা মারাত্মক আকার ধারণ করলে আরও একটি দল এসে কাজ শুরু করে। ৪ ঘণ্টা পর সকালে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
নিচতলার গোডাউনে আগুন লাগার সঙ্গে সঙ্গে ওই ভবনে বসবাসকারীদের দ্রুত নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেন প্রতিবেশিরা। এরপর ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে নিতে কাজ শুরু করে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয়রা জানায়, রাত ২টার দিকে তিনতলা ওই ভবনের নিচতলায় আগুনের শিখা দেখতে পান স্থানীয়রা। এরপর খবর দেওয়া হলে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে গোডাউনের সাটার ভেঙে আগুনের ভয়াবহতা দেখতে পান। এরপর শুরু হয় নিয়ন্ত্রণের কাজ। অন্তত ৪ ঘণ্টা চলে কার্যক্রম।
ওই ভবনের মালিক নাগিব মাহফুজ জানান, বাড়িটির নিচতলা গোডাউন হিসেবে ভাড়া দেওয়া আছে। ওই গোডাউনে এলইডি বাল্ব, বৈদ্যুতিক পাখা ও বৈদ্যুতিক তার রাখা হত। ইলেকট্রিক পণ্যের কারণে আগুন ভয়াবহ পর্যায়ে পৌঁছায়। তবে আগুন ছড়িয়ে না পড়ায় আশপাশে ক্ষয়ক্ষতি খুব বেশি হয়নি।
চুয়াডাঙ্গা ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের সহকারী পরিচালক রফিকুল ইসলাম জানান, রাত ২টার পর খবর পেয়ে নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে ফায়ার সার্ভিসের ৪টি দল। টানা ৪ ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। গোডাউনের প্রবেশপথ ও জায়গা সরু হওয়ায় আগুন নিয়ন্ত্রণে বেগ পেতে হয়। এছাড়া গোডাউনে ইলেকট্রিক জিনিসপত্র থাকার কারণে দ্রুতই আগুনের ব্যাপকতা ছড়ায়।
তিনি আরও বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে বিদ্যুতের শটসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত। তবে কী পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা এখনো নিশ্চিত নয়। প্রাথমিক ধারণা ২০ লক্ষাধিক টাকার মালামাল পুড়ে নষ্ট হয়েছে।
সালাউদ্দীন কাজল/এফএ/এএসএম