দেশজুড়ে

চুয়াডাঙ্গা স্টেশনে রেলকর্মীদের বিক্ষোভ

পাঁচ শ্রমিককে প্রত্যাহারের প্রতিবাদে চুয়াডাঙ্গা রেলস্টেশনে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেছেন রেলওয়ের কর্মীরা।

শুক্রবার (১০ জুন) বেলা ১১টা থেকে স্টেশনে অংশ নিয়ে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ প্রদর্শন করেন তারা। এ সময় ভারতগামী মৈত্রী এক্সপ্রেস ট্রেন অবরোধের হুমকিও দেন বিক্ষুব্ধরা। পরে দুপুর সোয়া ১২টার দিকে স্থানীয় প্রশাসন ও রেলওয়ের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের আশ্বাসে আন্দোলন থেকে তারা সরে দাঁড়ান।

বৃহস্পতিবার (৯ জুন) দুপুরে চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা রেলস্টেশনের অদূরে লাল ব্রিজের ওপর রেললাইন সংস্কারের কাজ করছিলেন ২০-২৫ জন রেল শ্রমিক। এ সময় সংকেত অমান্য করে দর্শনা থেকে সিরাজগঞ্জের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাওয়া একটি মালবাহী ট্রেন ব্রিজের ওপর উঠে পড়ে। প্রাণ বাঁচাতে শ্রমিকদের কেউ ব্রিজ থেকে পানিতে লাফ দেন, আবার কেউ ঝুলে থাকেন।

পরে মালবাহী ট্রেনটি থামলে চালক ও সহকারীকে মারধর করেন শ্রমিকরা। এর প্রতিবাদে ট্রেনটি লাইনে থামিয়ে রাখেন চালক। পরে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের মধ্যস্থতায় আট ঘণ্টা পর ট্রেনটি চালু হয়। একই সঙ্গে ট্রেন চালককে মারধরের ঘটনায় রেলের পাঁচ শ্রমিককে প্রত্যাহার করা হয়।

এর প্রতিবাদে শুক্রবার সকাল থেকে চুয়াডাঙ্গা রেলওয়ে স্টেশনে অবস্থান নেন কর্মরত রেলকর্মীরা। এ সময় তারা লাইনে ও প্ল্যাটফর্মে দাঁড়িয়ে ভারতগামী মৈত্রী এক্সপ্রেস ট্রেন অবরোধ করার হুমকি দেন। তবে স্থানীয় প্রশাসন ও রেলের কর্মকর্তারা তাদের নিবৃত করেন। দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাসে আন্দোলন থেকে সরে দাঁড়ান শ্রমিকরা।

আন্দোলনে অংশ নেওয়া শ্রমিকরা জানান, রেললাইনের সংস্কার কাজ করতে গিয়ে অল্পের জন্য তারা প্রাণে বেঁচে যান। অথচ শ্রমিকদেরই প্রত্যাহার করা হয়েছে। এ সিদ্ধান্ত মানা যায় না। ওই পাঁচ শ্রমিককে আবার পুনঃবহাল করতে হবে। তা নাহলে আরও কঠোর আন্দোলনে যেতে বাধ্য হবেন তারা।

চুয়াডাঙ্গা রেলওয়ে স্টেশনের মাস্টার মিজানুর রহমান জানান, বেলা ১১টা থেকে কিছু শ্রমিক স্টেশন এলাকায় অবস্থান নেন। তবে তাদের আন্দোলনে কোনো ট্রেন কিংবা যাত্রীর ভোগান্তি হয়নি। পরে তারা আন্দোলন প্রত্যাহার করেন। চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহাব্বুর রহমান জানান, খবর পেয়ে স্টেশনে গিয়ে আন্দোলনরত শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলা হয়। রেল কর্তৃপক্ষের আশ্বাসে তারা আন্দোলন প্রত্যাহার করেছেন। স্টেশন এলাকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে।

সালাউদ্দীন কাজল/এসআর/এএসএম