দেশজুড়ে

শঙ্কা থাকলেও আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে চান না পাহাড়ের বাসিন্দারা

রাঙ্গামাটিতে গত কয়েকদিন ধরে থেমে থেমে বৃষ্টি অব্যাহত রয়েছে। ফলে পাহাড়ধসের আশঙ্কা করছে স্থানীয় আবহাওয়া অফিস। তাই জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রতিনিয়ত সচেতনতা মাইকিং করা হচ্ছে। আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে আহ্বান জানাচ্ছে তারা। এরপরও আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে নারাজ বেশিরভাগ মানুষ।

রোববার (১৯ জুন) শহরের পাবলিক হেলথ, শিমুলতলী, রূপনগর, লোকনাথ মন্দির, ভেদভেদি মুসলিম পাড়া ঘুরে দেখা যায়, বেশিরভাগ মানুষ ঝুঁকিপূর্ণ এসব এলাকায় নিজ নিজ বাড়িতে অবস্থান করছেন। কেউ কেউ আশ্রয়কেন্দ্রে গেলেও বেশিরভাগ মানুষ যেতে রাজি নন। আবার অনেক দিনে নিজ নিজ বাসস্থানে অবস্থান করলেও রাতে পরিবার নিয়ে আশ্রয় কেন্দ্রে থাকছেন।

ভেদভেদি মুসলিম পাড়ার স্থানীয় বাসিন্দা খাদিজা বেগম বলেন, ‘পাহাড় ভাইঙা কই পড়বো। আমি ঘরভিটা ছাইড়া যামু না। ভাইঙা পড়লে তখন দেখা যাইবোনি।’

অন্য এক স্থানীয় বাসিন্দা আনোয়ার মিয়া বলেন, ‘আমার পরিবার আশ্রয় কেন্দ্রে আছে। আমি দিনে বাসার আশপাশে থাকি আবার রাতে আশ্রয় কেন্দ্রে চলে যাই। ২০১৭ সালের পাহাড়ধসে আমি আমার ভাইকে হারাই। তাই বৃষ্টি হলে ভয় হয় যদি আবার পাহাড় ধসে পড়ে।’

রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান জাগো নিউজকে বলেন, রাঙ্গামাটিতে থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে। পাহাড়ধসের আশঙ্কা রয়েছে। তাই সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছি। শহরের ৯টি ওয়ার্ডে ২০টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। বেশ কয়েকটি টিম মাঠে রয়েছে। তারা চেষ্টা করছে মানুষকে সচেতন করতে এবং ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার মানুষজনকে আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে আসতে।

২০১৭ সালে রাঙ্গামাটিতে পাহাড়ধসে ১২০ এবং ২০১৮ সালে ১১ জনের মৃত্যু হয় ।

এসজে/জিকেএস