শরীয়তপুরে তিন দিনব্যাপী শুরু হতে যাচ্ছে বিশ্ব ইজতেমা। ইজতেমাকে সফল করতে কাজ করছেন সহস্রাধিক মুসল্লি। বিশ্ব ইজতেমার ২য় পর্বে ৩২ জেলার মুসল্লি ও বিশ্ববাসীর অংশগ্রহণে ঢাকার টঙ্গীতে দুই পর্বে বিশ্ব ইজতেমার কাজ সম্পন্ন হয়েছে। এবার দেশের ২০টি জেলায় জেলা ভিত্তিক ইজতেমা শুরু হবে। প্রশাসনিকভাবে সর্বাত্মক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে।শরীয়তপুর জেলার সদর উপজেলার স্বর্ণঘোষ ও তুলাসার গ্রামের রাজগঞ্জ-আড়িগাঁও বাজারের হেলিপ্যাড সংলগ্ন কৃত্তিনাশা নদীর তীরে শুরু হতে যাচ্ছে এ বিশ্ব ইজতেমা। শরীয়তপুর, চাঁদপুর, মুন্সিগঞ্জ ও ফরিদপুরের এক অংশ নিয়ে শুরু হচ্ছে বিশ্ব ইজতেমা। এ চার জেলা নিয়ে শরীয়তপুর জেলায় ১১, ১২ ও ১৩ ফেব্রুয়ারি প্রায় চার লাখ মুসল্লির অংশগ্রহণে ইজতেমা শুরু হবে। এ ইজতেমায় প্রতিদিন সহস্রাধিক স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবী, মুসল্লি ও তাবলিগ জামায়াত বিরামহীনভাবে কাজ করে যাচ্ছে। স্থানীয় ব্যক্তিবর্গ ও ব্যবসায়ীদের সার্বিক সহায়তায় বিশ্ব ইজতেমা দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে। যে সকল স্বেচ্ছাসেবীগণ ইজতেমা স্থলে থেকে সার্বক্ষণিক কাজ করছেন তাদের জন্য স্থানীয়দের সহায়তায় খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ইজতেমাকে ঘিরে কর্মক্ষেত্রে সকল বয়সী ও সকল পেশার লোকজন স্বেচ্ছাশ্রমের মাধ্যমে বিশ্ব ইজতেমাকে সাফল্যমণ্ডিত করার জন্য কাজ করে যাচ্ছে। মুসল্লিদের থাকার জন্য প্রয়োজনীয় ওযুখানা, গোসলখানাসহ পর্যাপ্ত টয়লেট নির্মাণ করা হয়েছে। পাশাপাশি মুসল্লিদের নিরাপদ পানি খাওয়ার জন্য নলকূপ স্থাপন করা হয়েছে। আর চার লাখ মানুষ যাতে তিন দিনব্যাপী আরামে থাকতে পারেন সেদিকে খেয়াল রেখে প্যান্ডেল নির্মাণ কাজ চলছে। আর বিশ্ব ইজতেমাকে নিরাপত্তার জন্য পুলিশের পাশাপাশি ১৫০ জন স্বেচ্ছাসেবী মুসল্লি পাহাড়ার দায়িত্বে নিয়োজিত রয়েছেন।ইজতেমার মাঠে কাজ করতে আশা মো. কবির হোসেন সিকদার জাগো নিউজক বলেন, আমি একটি বে-সরকারি এনজিওতে চাকরি করি। এ ইজতেমার পাশেই আমার বাড়ি। আমি সপ্তাহে একদিন ছুটি পাই শুক্রবার। এই ছুটির দিনে আল্লাহর নৈকট্য লাভের জন্য ইজতেমায় এসে কাজ করি। ইজতেমার মাঠে কাজ করতে আশা আর এক স্বেচ্ছাসেবী মহিউদ্দিন বাদল জাগো নিউজকে বলেন, আল্লাহ্তালার কাছে হাজার হাজার শুকরিয়া। টঙ্গি বিশ্ব ইজতেমার পরে শরীয়তপুরে ও বিশ্ব ইজতেমা অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।আবুল কালাম বেপারী জাগো নিউজকে বলেন, বিশ্ব ইজতেমার কাজ যাতে আমরা সঠিক ও সুন্দরভাবে করতে পারি আল্লাহ যেন আমাদেরকে সেই তৌফিক দান করেন।মো. জসিম মাদবর জাগো নিউজকে বলেন, দলমত নির্বিশেষে বিশ্ব ইজতেমাকে সফল করার জন্য আমরা সম্মেলিত ভাবে কাজ করে যাচ্ছি। বিশ্ব ইজতেমা মাঠের আমির মো. নূরুজ্জামান বেপারী জাগো নিউজকে বলেন, টঙ্গীতে ২ পর্বে ৩২টি জেলার মুসল্লিদের অংশগ্রহণে ইজতেমা সমাপ্ত হয়েছে। এবার অবশিষ্ট ৩২জেলার মধ্যে ২০ জেলায় ইজতেমা হবে। শরীয়তপুরে চার জেলা নিয়ে ১১ ফেব্রুয়ারি থেকে তিন দিনব্যাপী ইজতেমা শুরু হবে। চার জেলার প্রায় চারলাখ মুসল্লি এ ইজতেমায় অংশগ্রহণে করবে আশা করছি।জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এহসান শাহ্ জাগো নিউজকে বলেন, বিশ্ব ইজতেমা যাতে সুন্দরভাবে সম্পন্ন হয় সেজন্য প্রশাসনিকভাবে পূর্ণ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে। যাতে করে ইসলাম বিরোধী কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটতে না পারে সেজন্য পুলিশ প্রশাসন সজাগ দৃষ্টি রাখছে। মো.ছগির হোসেন/এমজেড/এমএস