সারা বিশ্বে একযোগে ১২ ফেব্রুয়ারি মুক্তি পাচ্ছে বহুল কাঙ্খিত সুপারহিরো ছবি ‘ডেডপুল’। একই দিনে বাংলাদেশের দর্শকদের জন্য ছবিটি দেখার সুযোগ করে দিচ্ছে ঢাকার স্টার সিনেপ্লেক্স। আগামীকাল শুক্রবার থেকে সিনেপ্লেক্সে চলবে ‘ডেডপুল’।মার্ভেল কমিক্সের ভক্তরা ‘ডেডপুল’র সঙ্গে পরিচিত আগে থেকেই। গেল বড়দিনে প্রকাশিত প্রায় তিন মিনিটের ট্রেলারটি বেশ সাড়া জাগিয়েছে দর্শকদের মধ্যে। ট্রেলারের শুরুতে দেখা যায়, ‘ডেডপুল’র সঙ্গে এক ট্যাক্সি চালকের কথোপকথন। নিত্যদিনের সেই আলাপ এক দুস্কৃতিকারীর খুলি ওড়ানোর মধ্যে শেষ হয়। আরেক ব্যক্তিকে বিঁধে ফেলার পর ডেডপুলকে বলতে শোনা যায়, ‘এ এক ভিন্নধর্মী অতিমানবের গল্প’। এরপর দেখানো হয় কিভাবে ক্যান্সারে আক্রান্ত এক সাধারণ ব্যক্তি ওয়েড উইলসন ডেডপুল হয়ে উঠলো। প্রজেক্ট এক্সের তত্ত্বাবধানে তাকে সারিয়ে তোলার আশ্বাস দেয়া হয়েছিল। কিন্তু প্রকল্পটির মূল উদ্দেশ্যই ছিল তাকে এক জীবন্ত মারণাস্ত্রে পরিণত করা। আর এর ফলস্বরূপ ওয়েডের চেহারা ও শরীর বিকৃত হয়ে গেলেও সেরে ওঠার এক অসাধারণ দক্ষতা অর্জন করে। ছবিতে আরো দেখা মিলেছে দুই মিউট্যান্ট সুপারহিরো কলোসাস এবং নেগাসনিক টিনএইজ ওয়ারহেডের। শেষ পর্যায়ে এই দু’জনকে দেখা যায় এক বিধ্বংসী লড়াইয়ে মুখোমুখি হতে। এতসব ভয়ঙ্কর লড়াইয়ের মধ্যেও ছবির পুরোটা জুড়েই রয়েছে ডেডপুলের কৌতুকপূর্ণ সংলাপের সমাহার।মারভেল কমিক্সের ব্যানারে নির্মিত ছবিটিতে রায়ান রেইনল্ডস অভিনয় করছেন বাকপটু ও প্রায় অবিনশ্বর এই অতিমানবের ভূমিকায়, যিনি ‘এক্স মেন অরিজিন্স: উলভারিন’- এ মুখ সেলাই করা এক খলনায়ক হিসেবে উলভারিনের সঙ্গে লড়েন, তাকে সেখানে ডেডপুল নামে ডাকাও হয়। এছাড়া ছবিতে অন্যান্য চরিত্রে আছেন মরেনা বাকারিন, জিনা কারানো, এড স্ক্রেইন, টি জে মিলার প্রমুখ।আয়রনম্যান, অ্যান্টম্যানরা সুপারহিরোর প্রচলিত ধারণায় অনেকটাই পরিবর্তন এনেছেন। তবে এবার যে পরিবর্তন আসছে তা রীতিমত চমকপ্রদ। সুপারহিরো বলতে যা বোঝায়, তার সংজ্ঞাই পাল্টে দেবে ‘ডেডপুল’। ছবির ট্রেলারে একে বর্ণনা করা হয়েছে ‘ব্যতিক্রমী এক অতিমানবের গল্প’ হিসেবে। নতুন এই সুপারহিরোর সাফল্য নিয়ে দারুণ আশাবাদী সিনেমা সংশ্লিষ্টরা। ট্রেলার প্রকাশ করার পর থেকে দর্শকদের উৎসাহ দেখে বোঝাই যাচ্ছে, জনপ্রিয় মার্কিন কমিক চরিত্রটিকে বড়পর্দায় সাদরে বরণ করবেন দর্শকেরা। এলএ