চুয়াডাঙ্গায় বিএনপির গণমিছিলের প্রস্তুতির সময় জেলা আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সচিব শরিফুজ্জামান শরিফসহ সাতজনকে আটক করেছে পুলিশ। শনিবার (২৪ ডিসেম্বর) বিকেল প্রেস ক্লাবের সামনে থেকে তাদের আটক করা হয়। পরে তাদের বিস্ফোরক মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়।
শরীফুজ্জামান শরীফ ছাড়াও আটক হন আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মোহাম্মদ আবু বক্কর সিদ্দিক, চুয়াডাঙ্গা পৌর ছাত্রদলের আহ্বায়ক কৌশিক আহম্মেদ রানা, জেলা ছাত্রদলের সহ-সভাপতি ইমরান, চুয়াডাঙ্গা পৌর ছাত্রদলের যুগ্ম-আহ্বায়ক আরমান খান, আলমডাঙ্গা উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আমিনুল হক রোকন ও আইলহাস ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আবু হানিফ মেম্বার।
চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহাব্বুর রহমান বলেন, বিকেলে বিএনপিসহ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা গণমিছিলের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। এ সময় জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সচিব শরিফুজ্জামান শরিফসহ সাতজনকে আটক করা হয়। তাদের বিস্ফোরক মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়। পরে চুয়াডাঙ্গা আমলি আদালতের বিচারক লস্কর সোহেল রানা তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
এ বিষয়ে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য খন্দকার আব্দুল জব্বার সোনা বলেন, শান্তিপূর্ণভাবে গণমিছিলের প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। এসময় কোনো কারণ ছাড়া পুলিশ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সচিবসহ সাতজনকে গ্রেফতার করে।
এর আগে ২০২২ সালের ৪ ডিসেম্বর চুয়াডাঙ্গা সদর থানার এসআই শফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে ৩৯ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ১০০ জনকে আসামি করে মামলা করেন। এ মামলায় বিএনপি, ছাত্রদলসহ সহযোগী সংগঠনের ১১ নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করে। তারা বর্তমানে জেল হাজতে রয়েছে।
আরএইচ/জেআইএম