রাজনীতি

‘বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বাস্তবায়নে অতন্দ্র প্রহরীর মতো থাকবো’

সেনা সমর্থিত সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিরুদ্ধে তুমুল আন্দোলনের সময়ে ছিলেন সামনের সারিতে। আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার মুক্তি আন্দোলনেও স্লোগানে স্লোগানে রাজপথ প্রকম্পিত করেছিলেন। এরপর বিএনপি-জামায়াতের সরকারবিরোধী আন্দোলন চলাকালেও রাজপথে সক্রিয় ছিলেন ডা. মো. তোফাজ্জল হক চয়ন।মধুর ক্যান্টিন বা ছাত্রলীগের বিভিন্ন কর্মসূচিতে সার্বক্ষণিক থাকেন ছাত্রলীগ সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগের সঙ্গে। সদ্য ঘোষিত ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটিতে সহ-সভাপতির মতো গুরুত্বপূর্ণ পদ পেয়েছেন মাগুরা জেলার এই কৃতি সন্তান। দীর্ঘ সময় পর ঢাকা মেডিকেল কলেজ থেকে ছাত্রলীগে শীর্ষ পর্যায়ের একটি গুরুত্বপূর্ণ পদে এসেছেন এ ছাত্রনেতা।তোফাজ্জল হক চয়ন এর আগে ঢাকা মেডিকেল কলেজ ছাত্রলীগের প্রচার সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদক পদে থেকে ঢাকা মেডিকেলে ছাত্রলীগের রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। ছাত্রলীগের আগের কমিটিতে ছিলেন স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা বিষয়ক উপ-সম্পাদক। ছাত্রলীগে বন্ধুবৎসল ও কর্মীবান্ধব হিসেবে পরিচিত এ নেতা সম্প্রতি কথা বলেছেন জাগো নিউজের সঙ্গে। একান্ত আলাপচারিতায় ব্যক্তকরেছেন ছাত্ররাজনীতি নিয়ে তার প্রত্যাশা ও চিন্তা-ভাবনা।কীভাবে ছাত্রলীগের রাজনীতিতে হাতেখড়ি- এমন প্রশ্নের জবাবে এই ছাত্রনেতা জানান, বাবা ছিলেন মাগুরা জেলা বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি। ছাত্রাবস্থায় বৃহত্তর যশোর জেলা ছাত্রলীগের দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি।  চয়ন বলেন, বাবার কাছে বঙ্গবন্ধুর গল্প শুনে ও তার রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড দেখে এবং চাচার পরামর্শে ছাত্রলীগের রাজনীতিতে পদার্পন করি।ছাত্রলীগ সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের বিশ্বস্ত রাজনৈতিক এই পথচারী রাজনীতিতে তার আসার কারণ জানিয়ে আরো বলেন, পড়াশোনার চাপ থাকা সত্ত্বেও রাজনীতির আঙিনা আমাকে মুগ্ধ করতো। পড়াশোনা এবং রাজনীতি দুই স্থান থেকেই দেশের জন্য কিছু করার আগ্রহই হয়তো আমাকে আমার স্বপ্নেরপথে নিয়ে এসেছে। আশা করি, বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও শেখ হাসিনার ভিশন বাস্তবায়নে অতন্দ্রপ্রহরী হয়ে ছাত্রলীগের পাশে থাকতে পারবো।নিজের কর্মকাণ্ডের বর্ণনা দিতে গিয়ে তিনি আরো বলেন, বিএনপি-জামায়াতের বিরুদ্ধে সকল দলীয় কার্যক্রমে সক্রিয় ছিলাম। ঢাকা মেডিকেল কলেজ ছাত্রলীগকে সঙ্গে নিয়ে বিভিন্ন সময় বিরোধী দলের নির্যাতন সহ্য করে ঐক্যবদ্ধ হয়ে প্রতিরোধ গড়ে তুলেছি। গণতন্ত্রের মানসকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠনে সংগঠনের জন্য অতীতের মতো ভবিষ্যতেও সাইফুর রহমান সোহাগ ও জাকির হোসাইনের হাতে হাত রেখে তাদের নেতৃত্বে একইভাবে কাজ করে যাবো।চয়ন জানান, ঝিনাইদহ ক্যাডেট কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক শেষ করার আগেই পারিবারিকভাবেই বঙ্গবন্ধুর আদর্শের রাজনীতির প্রতি আকৃষ্ট হয়ে পড়েন তিনি।  তিনি বলেন, ২০০৭ সালে ১/১১ পরবর্তী সময়ে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মুক্তি আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করি। একদিকে কলেজ প্রশাসন থেকে শুরু করে ক্যাম্পাসের বিএনপি-জামায়াতের দোসরদের চোখ রাঙানি, বিভিন্ন ধরনের হুমকি, অন্যদিকে প্রচণ্ড মানসিক নির্যাতন। তারপরও সকল বাধা-বিপত্তি মোকাবিলা করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ প্রাঙ্গণে দীর্ঘদিন পরে প্রাণের সংগঠন ছাত্রলীগের রাজনীতিকে পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে দিন-রাত কঠোর পরিশ্রম করি। তখন থেকেই পড়াশোনার পাশাপাশি রাজনীতিই আমার একমাত্র নেশা। আজকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ বাংলাদেশ ছাত্রলীগের একটি আদর্শ ইউনিট। ভবিষ্যৎ ছাত্রলীগ কেমন দেখতে চান- এমন প্রশ্নের জবাবে চয়ন বলেন, শেখ হাসিনার স্বপ্নকে এগিয়েনেয়ার পথ প্রদর্শক হবে ছাত্রলীগ। ছাত্রলীগ ভিশন ২০২১, সাধারণ শিক্ষার্থীদের অধিকার, শিক্ষার অধিকার ও সকল মুক্তির আন্দোলনে অগ্রণী ভূমিকা রাখবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রশংসা করে তোফাজ্জল চয়ন বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ তড়িৎ গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। যদি এভাবে আর দশ বছর শান্তিপূর্ণভাবে জননেত্রী দেশকে পরিচালনা করতে পারেন তাহলে বাংলাদেশ মালয়েশিয়া ও সিঙ্গাপুরকে ছাড়িয়ে যাবে। শেখ হাসিনা শুধু বাংলাদেশের নেতাই নন, তিনি বিশ্ব রাজনীতিতেও একজন গুরুত্বপূর্ণ নেতৃত্ব। আর এর প্রমাণ স্বরূপ ইতোমধ্যেই তিনি সাউথ সাউথ পুরস্কার, চ্যাম্পিয়ন অব দ্য আর্থ পুরস্কারসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক পদকে ভূষিত হয়েছেন। এমএম/এনএফ/আরআইপি