দেশজুড়ে

রাতের বৃষ্টিতেই মাদারীপুর পৌরশহরে জলাবদ্ধতা

এক রাতের টানা বৃষ্টিতে মাদারীপুর পৌরশহরের বিভিন্ন এলাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। অনেকের ঘরে পানি ঢুকে পড়েছে। এতে জনজীবনে দুর্ভোগ নেমেছে।

সোমবার (৭ আগস্ট) সকালে সরেজমিনে দেখা যায়, শহরের বিভিন্ন অলিগলি সড়কগুলোতে পানি। কোথাও কোথাও হাঁটু সমান। পানি বের হওয়ার রাস্তা না থাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে বলে দাবি শহরবাসীর।

জানা যায়, বৃষ্টির পানি জমে নতুন শহর, উকিলপাড়া, জেলা পরিষদ রোড, সুমন হোটেল এলাকা, মিলন সিনেমা হল রোড, ২ নম্বর শকুনি, ১ নম্বর শকুনি, কলেজরোড, গোলাবাড়ি, থানতলী, পানিছত্র, ডা. অখিল বন্ধু সড়ক, শহীদ মানিক সড়ক, মন্টু ভুঁইয়া সড়ক, শহীদ বাচ্চু সড়কসহ বিভিন্ন এলাকার রাস্তাঘাট তলিয়ে গেছে। এমনকি বাসা-বাড়িতে পানি ঢুকেছে। অপরিকল্পিত ড্রেনেজ ব্যবস্থার কারণেই এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে বলে অভিযোগ শহরবাসীর।

শকুনী এলাকার বাসিন্দা মো. রফিক বলেন, একদিনের বৃষ্টিতেই ঘরের সিঁড়ি পর্যন্ত পানি এসেছে। আজ যদি বৃষ্টি না থামে তাহলে ঘরের মধ্যেই পানি ঢুকে যাবে। পৌরসভার নাগরিক হয়েও চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

আরেক ভুক্তভোগী মো. সাকিল বলেন, ঘরের সিঁড়ি পানিতে ডুবে গেছে, বৃষ্টি না থামলে যেকোনো সময় ঘরের মধ্যে পানি ঢুকে যাবে। মূলত পানি বের হওয়ার কোনো পথ নেই। তাই বৃষ্টির পানি জমে এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।

মাদারীপুরের সচেতন নাগরিক কমিটির সভাপতি ইয়াকুব খান শিশির জাগো নিউজকে বলেন, বৃষ্টি হলেই পৌরসভার বিভিন্ন অলিগলি পানিতে তলিয়ে যায়। এতে চলাচলে ভোগান্তিসহ সাধারণ মানুষের কষ্ট বাড়ে। অনেক এলাকায় বাড়িঘরেও পানি উঠে যায়। চরম দুর্ভোগ নিয়ে চলতে হচ্ছে শহরবাসীকে। তাই শহরবাসীর জন্য প্রয়োজন আধুনিক ড্রেনেজ ব্যবস্থা। পাশাপাশি ড্রেনগুলোতে পানি ঢোকার জন্য উন্মুক্ত ব্যবস্থা জরুরি।

এ বিষয়ে মাদারীপুর পৌরসভার প্রশাসনিক কর্মকর্তা আবু ইলিয়াস খোন্দকার ফিরোজ জাগো নিউজকে বলেন, পানি বের হওয়ার জন্য তেমন কোনো নির্দিষ্ট পথ না থাকায় ড্রেনের মধ্যেই পানিগুলো ঘুরপাক খায়। এছাড়া অনেকেই গোপনে ড্রেনের মধ্যে পয়ঃনিষ্কানের লাইন দিয়েছে, এতে করে পরিষ্কার করতে সমস্যায় পড়তে হয়। তবু আমরা সাধ্যমতো চেষ্টা করছি। এরই মধ্যে আমাদের লোকজন বিভিন্ন সড়কে নেমে গেছে।

তিনি আরও বলেন, যেসব ড্রেনের মুখ বন্ধ বা ময়লা পরে আটকে আছে, সেগুলো পরিষ্কার করা হচ্ছে। কোথাও কোথাও বালুর বস্তা ফেলা হচ্ছে। আশা করছি বৃষ্টি না হলে কয়েক ঘণ্টার মধ্যে শহরের পানি নেমে যাবে।

আয়শা সিদ্দিকা আকাশী/এসজে/জিকেএস