আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জনপ্রশাসনমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন, বিএনপির সম্মলেন শেষ হওয়ার পথে। কিন্তু ওই সম্মলেনের আমন্ত্রণ এখনো পাইনি।শনিবার দুপুরে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এক সেমিনার শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা জানান তিনি।আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা উপ-কমিটি ‘সাম্প্রদায়িকতা, জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাস মোকাবেলায় শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ’ শীর্ষক সেমিনারের আয়োজন করে।সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম বলেন, ‘অনেকেই আওয়ামী লীগ ও সরকারকে ডিফেন্ড করে এক ঢিলে দুই শত্রু মারা চেষ্টা করেন। এভাবেই কিন্তু বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িকতা তৈরি হচ্ছে। কিছু কিছু বিষয়ে মত পার্থক্য থাকতে পারে। কিন্তু সন্ত্রাস এবং জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে আমাদের সবার ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। এখানে কাউকে ছোট করা, কাউকে রাজনৈতিকভাবে ঘায়েল করা, সেটা সন্ত্রাসবাদ মোকাবেলায় অন্তরায় হয়ে থাকবে।তিনি বলেন, আজকে তার (প্রধানমন্ত্রী) নেতৃত্বের জন্যই রাষ্ট্র-ক্ষমতা আওয়ামী লীগের হাতে। শেখ হাসিনা ইতোমধ্যেই সাম্প্রদায়িকতা-জঙ্গিবাদ এবং সন্ত্রাসের ব্যাপ্তির বিরুদ্ধে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এই সরকার ক্রমাগত সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে। বর্তমান সরকার সন্ত্রাসীদের জিরো টলারেন্স দেখিয়েছে।’আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, ‘ইরাকে যুদ্ধ চলছে, ইয়েমেনে যুদ্ধ চলছে। এটা আস্তে আস্তে বিস্তৃত হচ্ছে। আজকের নিরাপত্তা হুমকির মুখে। বাংলাদেশে শুধু ধর্মের নামের সাম্প্রদায়িকতা তারাই করে না, তাদের পৃষ্ঠপোষক আছে। তারা চায় বাংলাদেশে একটা শিয়া-সুন্নি সংঘর্ষ হোক বা মুসলমান হিন্দুর সঙ্গে একটা বিভাজন হোক। এটা আমাদের সরকার কোনো ভাবে করতে দেবে না। এ বিষয়ে আমাদের প্রধানমন্ত্রী ডিটারমাইন্ড।’প্রচার ও প্রকাশনা উপ-কমিটির চেয়ারম্যান এইচ টি ইমামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সেমিনারে আরো উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী, দলটির প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ, উপ- প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, বিএম-এর মহাসচিব ডা. ইকবাল আর্সেনাল, বিশিষ্ট আইনজীবী ব্যারিস্টার আমীর-উল-ইসলাম, শাহরিয়ার কবির, ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ প্রমুখ।এএসএস/এসকেডি/আরআইপি