জাতীয়

রিজার্ভ লুট : সিআইডির সঙ্গে এফবিআইয়ের বৈঠক

বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভের অর্থ লুটের ঘটনা তদন্তে তথ্য আদান প্রদানে সিআইডি কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থা ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (এফবিআই) এর প্রতিনিধি দল।রাজধানীর মালিবাগে সিআইডি কার্যালয়ে রোরবার বেলা আড়াইটা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত প্রায় দেড় ঘণ্টাব্যাপী এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।বৈঠক শেষে সিআইডির পক্ষ থেকে জানানো হয়, দুুটি বিষয়কে সামনে রেখে রিজার্ভের অর্থ চুরির ঘটনা তদন্ত হচ্ছে। তদন্তে এফবিআই সব ধরনের সহায়তা দেবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার (অর্গানাইজড ক্রাইম) মির্জা আব্দুল্লাহেল বাকী বৈঠকের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।এদিকে এফবিআই প্রতিনিধি দল সিআইডির সঙ্গে বৈঠকের আগে আজ বাংলাদেশ ব্যাংকে যান। সেখানে তারা ব্যাংকের উচ্চ পর্যায়ের কয়েকজন কর্মকর্তার সঙ্গে বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলেন।উল্লেখ্য, গত ৫ ফেব্রুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক থেকে জালিয়াতি করে সুইফট কোডের মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংকের ৮ কোটি ১০ লাখ ডলার চুরি করা হয়। ঘটনা জানার পরও বিষয়টি গোপন রাখে বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃপক্ষ।চুরি হওয়া অর্থ ফেরত আনতে গত ১৬ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আতিউর রহমান ফিলিপাইনের ব্যাংকো সেন্ট্রালের গভর্নর আমান্ডো টেটাংকো জুনিয়রের কাছে সহযোগিতা চেয়ে চিঠি লেখেন। কিন্তু, দেশে তিনি এই ঘটনা চেপে যান। এরপর গত ২৯ ফেব্রুয়ারি ফিলিপাইনের দৈনিক দি ফিলিপিন্স ডেইলি ইনকোয়ারারের এক প্রতিবেদনে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির খবর জানায়। বাংলাদেশি সংবাদমাধ্যমেও এ খবর প্রকাশ পেলে তোলপাড় শুরু হয়।পরে গত ৭ মার্চ বাংলাদেশ ব্যাংক টাকা চুরির ঘটনা স্বীকার করে। তবে বাংলাদেশ ব্যাংক দাবি করে, দেশের বাইরে থেকে হ্যাকাররা অর্থ চুরি করেছে। কিন্তু, সংবাদমাধ্যমের একাধিক প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, যেভাবে টাকা চুরি হয়েছে তাতে বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তাদেরও সম্পৃক্ততা রয়েছে।রিজার্ভের চুরির ঘটনায় ব্যাপক সমালোচনার মুখে বাংলাদেশ ব্যাংক গভর্নর ড. আতিউর রহমান পদত্যাগ করেন। তার স্থলে রাষ্ট্রায়ত্ত সোনালী ব্যাংক এর চেয়ারম্যান ফজলে কবিরকে সরকার নতুন গভর্নর হিসেবে নিয়োগ দেন । আরএম/এসকেডি/পিআর