ভূ-প্রাকৃতিক দিক দিয়ে বাংলাদেশ একটি সুবিধাজনক অঞ্চলে অবস্থান করছে। বাংলাদেশে বিনিয়োগের ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে। গত দুই-তিন বছরে চীনা বিনিয়োগ কম থাকলেও চলতি বছর প্রচুর বিনিয়োগকারী এ দেশে আসবে। সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে কূটনৈতিক সাংবাদিকদের সংগঠন ডিক্যাব আয়োজিত ‘ডিক্যাব টক’-এ এসব কথা বলেন বাংলাদেশ নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত মা মিং কিয়ান।গত বছর ভারত, পাকিস্তান, মিয়ানমারসহ দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন দেশে চীন ব্যাপকহারে বিনিয়োগ করেছে বলেও জানান তিনি। মা মিং কিয়ান বলেন, ‘এক বন্ধনি একই রাস্তা’ নীতিতে এ অঞ্চলের উন্নয়নে চীন শরিক হতে চায়। বাংলাদেশের বিভিন্ন খাতের মধ্যে জ্বালানি, সরকারি প্রকল্পের অবকাঠামো নির্মাণ ও তৈরি পোশাকখাতে চীন বিনিয়োগে আগ্রহী বলেও জানান তিনি।এই রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে প্রচণ্ড বাণিজ্য ভারসাম্যহীনতা রয়েছে। আগামী ৫ বছরে চীন বিদেশে থেকে ১০ ট্রিলিয়ন ডলারের পণ্য আমদানি করবে। এ পণ্য তৈরি করে চীনে রফতানি করলে বাংলাদেশ লাভবান হবে এবং বাণিজ্য ভারসাম্যহীনতা কমে আসবে। সন্ত্রাসবাদ নিয়ে প্রশ্নের জবাবে রাষ্ট্রদূত বলেন, এটি কোনো দেশের একক সমস্যা নয়। এটি এখন বিশ্বায়িত সংকট। একটি দেশ যতো শক্তিশালীই হোক, সে একা এটির মোকাবেলা করতে পারবে না। তেমনি একটি দেশ যতোই গরিব হোক, এর আক্রমণ থেকে রেহাই পাবে না। সকলে মিলেই এটির মোকাবেলা করতে হবে। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন ডিক্যাবের সভাপতি আঙ্গুর নাহার মন্টি ও সাধারণ সম্পাদক পান্থ রহমান।এএস/এনএফ/আরআইপি