আইন-আদালত

৫৪ ও ১৬৭ ধারা নিয়ে আপিল শুনানি ১১ মে

পরোয়ানায় ছাড়া গ্রেফতার ফৌজদারি কার্যবিধির ৫৪ নং ধারা ও রিমান্ড সংক্রান্ত ১৬৭ নং ধারা নির্দেশনার বিষয়ে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে করা আপিল শুনানি শুরু হয়েছে আজ।দীর্ঘ একযুগ পর মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার (এসকে) সিনহার নেতৃত্বে চার বিচারপতির আপিল বিভাগের বেঞ্চ আপিলের শুনানি হয়। তবে এ বিষয়ে পরবর্তী শুনানির জন্য আগামী ১১ মে দিন ধার্য করেছেন আপিল বিভাগ।শুনানিতে রিটকারীর পক্ষে সিনিয়র আইনজীবী ড. কামাল হোসেন। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন, অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট মুরাদ রেজা। উপস্থিত ছিরেন, অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট মাহবুবে আলম।পরে ড. কামাল হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, পরোয়ানায় ছাড়া গ্রেফতার ও রিমান্ড সংক্রান্ত নির্দেশনার আপিল শুনানি শুরু হয়েছে আজ। ফৌজদারী কার্যবিধি ১৮৯৮ এর ৫৪ ধারা অনুযায়ী গ্রেফতার ও ১৬৭ ধারা অনুযায়ী রিমান্ডের ক্ষেত্রে কিছু নির্দেশনা দিয়েছিল হাইকোর্ট। সেই নির্দেশনার বিষয়ে রাষ্ট্রপক্ষ আপিল করে। এ বিষয়ে পরবর্তী শুনানির জন্য আগামী ১১ মে দিন ধার্য করা হয়েছে।শুনানির শুরুতেই অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মুরাদ রেজা নিয়মিত আপিল আবেদন মঞ্জুরের আদেশ পড়ে শোনান। এরপর অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম শুনানি মুলতবি করে সময় প্রার্থনা করেন। পরে আদালত সময় আবেদন মঞ্জুর করে নতুন এই তারিখ নির্ধারণ করেন।১৯৯৮ সালে ডিবি পুলিশ ঢাকার সিদ্ধেশরী এলাকা থেকে ইনডিপেন্ডেন্ট ইউনির্ভাসিটির ছাত্র শামীম রেজা রুবেলকে ৫৪ ধারায় গ্রেফতার করে। পরে পুলিশ হেফাজতে থাকা অবস্থায় রুবেল মারা যান। পুলিশ হেফাজতে রুবেলের মৃত্যুর ঘটনায় কয়েকটি মানবাধিকার সংগঠনের দায়ের করা রিট মামলায় ২০০৩ সালের ৭ এপ্রিল হাইকোর্ট এক রায়ে ফৌজদারি কার্যবিধির ৫৪ ধারায় গ্রেফতার ও রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের প্রচলিত বিধান ৬ মাসের মধ্যে সংশোধন করতে সরকারকে নির্দেশ দেয়। পাশাপাশি উক্ত ধারা সংশোধনের পূর্বে কয়েক দফা নির্দেশনা মেনে চলার জন্য সরকারকে বলা হয়।এরপর হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে ২০০৪ সালে আপিল দায়ের করে তৎকালীন চারদলীয় জোট সরকার। তখন আপিল বিভাগ লিভ পিটিশন মঞ্জুর করলেও হাইকোর্টের নির্দেশনাসূমহ স্থগিত করেনি।২০১০ সালের ১১ আগস্ট মামলাটি শুনানির জন্য আপিল বিভাগের কার্যতালিকায় আসে। তখন আদালত হাইকোর্টের নির্দেশনাসূমহ বাস্তবায়নে কি পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে, সরকারকে তা জানাতে বলা হয়েছিলো। কিন্তু দীর্ঘ ৬ বছর পেরিয়ে গেলেও জনগুরুত্বপূর্ণ মামলার ওই নির্দেশনাসূমহ বাস্তবায়নে কি পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে তা আদালতকে অবহিত করতে পারেনি সরকার।এফএইচ/এসকেডি/এমএস