‘ছাত্রলীগের মার্কা ঈগল মার্কা, যুবলীগের মার্কা ঈগল মার্কা, আওয়ামী লীগের মার্কা ঈগল মার্কা’। এভাবেই স্লোগান দিয়েছেন লক্ষ্মীপুরে কমলনগর উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি নুরউদ্দিন চৌধুরী রুবেল।
অভিযোগ আছে, তিনি নৌকার বিপক্ষে গিয়ে প্রকাশ্যে ঈগল প্রতীকের পক্ষে কাজ করছেন। তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন উপজেলা ছাত্রলীগের এই নেতা।
ঘটনাটি সোমবারের (২৫ ডিসেম্বর)। এদিন উপজেলার তোরাবগঞ্জ ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডে উঠান বৈঠকে ঈগল পাখির পক্ষে স্লোগান দেন নুরউদ্দিন চৌধুরী রুবেল। এরপর এটি তিনি নিজের ফেসবুক আইডিতে লাইভ করেন। এ নিয়ে সমালোচনা শুরু হলে ভিডিওটি ফেসবুক থেকে ডিলিট করে দেন তিনি।
ওই উঠান বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন স্বতন্ত্র প্রার্থী ও জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মো. আবদুল্লাহ, কমলনগর উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক মেজবাহ উদ্দিন আহম্মেদ বাপ্পি, রামগতি উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক মেজবাহ উদ্দিন হেলাল ও তোরাবগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ফয়সাল আহম্মেদ রতন প্রমুখ।
জানা গেছে, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে লক্ষ্মীপুর-৪ (রামগতি ও কমলনগর) আসনে নৌকার প্রতীকে মহাজোটের শরীক দল, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ ইনু) সহ-সভাপতি মোশারফ হোসেন মাঠে রয়েছেন। নৌকার বিরুদ্ধে গিয়ে অধিকাংশ আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতারা স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. আবদুল্লাহর পক্ষে কাজ করছেন প্রকাশ্যে। রামগতি ও কমলনগর উপজেলার অধিকাংশ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানরাও আবদুল্লাহর পক্ষে কাজ করছেন।
এদিকে স্লোগানের বিষয়ে উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি নুরউদ্দিন চৌধুরী রুবেল বলেন, আবদুল্লাহর পক্ষে আমি কাজ করছি না। বৈঠকটা আমার বাড়ির পাশে ছিল। চলতি পথে দেখা হওয়ায় হাত ধরে টেনে তারা আমাকে নিয়ে গেছে। এজন্য মাইকে সবাইকে ৭ জানুয়ারি কেন্দ্রে এসে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছি। ঈগল প্রতীকে ভোট চাওয়ার বিষয়টি সত্য নয়। সুপার এডিট করে ভিডিওটি ছড়িয়ে দিয়েছে একটি সুবিধাভোগী চক্র। আমি নৌকার পক্ষে ছিলাম, আছি।
জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত হোসেন ভূঁইয়া বলেন, ঘটনাটি নৌকার প্রার্থী আমাদের জানিয়েছেন। নৌকার বিপক্ষে তার কর্মকাণ্ড আমাদের নজরেও রয়েছে। বিষয়টি জানিয়েছি কেন্দ্রে। কেন্দ্র থেকে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত দেওয়া হয়নি। সিদ্ধান্ত এলেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
কাজল কায়েস/জেডএইচ