আগ্নেয়াস্ত্র ও মাদক মামলায় দোষী প্রমাণিত হয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের ছেলে হান্টার বাইডেন। ৫৪ বছর বয়সী প্রেসিডেন্টপুত্রকে ২০১৮ সালে কোকেনে আসক্ত থাকাকালীন একটি হ্যান্ডগান ক্রয়ের সঙ্গে সম্পর্কিত তিনটি অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করেছেন মার্কিন আদালত।
অভিযোগ, ২০১৮ সালে একটি রিভলভার কেনার সময় হান্টার বাইডেন মিথ্যা বলেছিলেন যে, তিনি অবৈধভাবে মাদক ব্যবহার করছেন না। ছেলের বিরুদ্ধে মামলার সপ্তাহব্যাপী শুনানিতে বেশ কয়েকদিন উপস্থিত ছলেন মার্কিন ফার্স্ট লেডি জিল বাইডেন।
আরও পড়ুন>>
মাদক-অস্ত্র মামলায় অভিযুক্ত ছেলে, বাইডেন বললেন ‘আমি গর্বিত’ বাইডেনের ছেলের বিরুদ্ধে এবার করফাঁকির মামলা ৬০ শতাংশের বেশি ভোটার মনে করেন বাইডেনের আমল ব্যর্থএখন হান্টারের বিরুদ্ধে সাজা ঘোষণা বাকি। তিনি যে অপরাধ করেছেন, তাতে সর্বোচ্চ ২৫ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড হতে পারে।
যদিও তার বিরুদ্ধে অপরাধমূলক অভিযোগগুলো গুরুতর, তবু প্রথমবারের অপরাধী হিসেবে হান্টারের জেলের যাওয়ার আশঙ্কা কম।
কিছু বিশেষজ্ঞ বিশ্বাস করেন, হান্টার বাইডেনকে সম্ভবত কমিউনিটি সার্ভিসের শর্তে প্রোবেশনে রাখা হবে। যুক্তরাষ্ট্রের আইন অনুসারে, একই অপরাধ বারবার করলেই দীর্ঘ ও কঠোর সাজা হয়ে থাকে। কিন্তু হান্টারের বিরুদ্ধে এ ধরনের অভিযোগ এটাই প্রথম।
তাছাড়া একজন হাই-প্রোফাইল ব্যক্তি হওয়ায় অল্প কিছু বিধিনিষেধসহ একটি ন্যূনতম-নিরাপত্তা কারাগারে এক বছরের মতো দণ্ডভোগ করতে হতে পারে প্রেসিডেন্টপুত্রকে।
আরও পড়ুন>>
হান্টারের সাজা ঘোষণার দিনক্ষণ এখনো ঠিক হয়নি। তবে আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে সেটি ঘোষণা করা হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ছেলের সাজা মওকুফ করবেন প্রেসিডেন্ট বাইডেন?হান্টার বাইডেনের বিরুদ্ধে মামলার শুনানি অনুষ্ঠিত হয়েছে ডেলাওয়ারে। ছেলের প্রতি ‘ভালোবাসা ও সমর্থন’ জানাতে এরই মধ্যে সেখানে ছুটে গেছেন জো বাইডেন।
এক বিবৃতিতে তিনি বলেছেন, আমি প্রেসিডেন্ট, কিন্তু একজন বাবাও। প্রিয়জন মাদকাসক্তির বিরুদ্ধে লড়ছে এমন বহু পরিবার এই অনুভূতিটা বুঝতে পারবে এবং প্রিয়জনকে আসক্তি থেকে বেরিয়ে আসতে দেখার গর্ব অনুভব করতে পারবে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেছেন, তিনি ছেলের বিরুদ্ধে মামলার রায় মেনে নেবেন। কারণ, হান্টার বাইডেন রায়ের বিরুদ্ধে আপিলের পরিকল্পনা করছেন। সাজা ঘোষণার পর এর বিরুদ্ধে আপিল করার জন্য ৩০ দিন সময় পাবেন প্রেসিডেন্টপুত্র।
তবে ছেলের সাজা মওকুফ করার সম্ভাবনা নাকচ করে দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট বাইডেন।
কেএএ/