দেশজুড়ে

চলতি মাসের শেষে চালু হতে পারে কসবা সীমান্ত হাট

দীর্ঘ চার বছর চার মাস পর চালু হতে যাচ্ছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা সীমান্ত হাট। চলতি মাসের শেষে এটি পুনরায় চালু হতে পারে।

মঙ্গলবার (২ জুলাই) দুপুরে দুই দেশের সীমান্ত হাট ব্যবস্থাপনা কমিটির এক সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়। ব্যবস্থাপনা কমিটি সভার আগে হাটের সংস্কার কাজ পরিদর্শন করেন।

বাংলাদেশ অংশের সীমান্ত হাট ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) জেসমিন সুলতানা জানান, দুই দেশের সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনা করে প্রাথমিক দিনক্ষণ ঠিক করা হয়েছে। এর আগে আরও একটি বৈঠক হবে। তবে ইতিমধ্যেই হাটের সংস্কার কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে রয়েছে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) জেসমিন সুলতানা জাগো নিউজকে বলেন, ‘আজকে আমরা হাটের অবকাঠামো দেখেছি, হাট চালু করার মতো উপযুক্ত কিনা! যেহেতু সম্প্রতি সংস্কারকাজ হয়েছে। এটি চালু করার সম্ভাব্য তারিখ জুলাইয়ের শেষ অথবা আগস্টের প্রথম সপ্তাহে। আজকের পরিদর্শনের বিষয়ে মন্ত্রণালয়ে আমরা লিখবো। সেখান থেকে যে তারিখ দেওয়া হবে সেই তারিখে হাট চালু হবে।’

বৈঠকে ত্রিপুরার রাজ্যের সিপাহিজলা জেলার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সুব্রত মজুমদার ভারতের নেতৃত্ব দেন। তিনিও সার্বিক অবস্থা নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করে হাট চালু হলে আগের অবস্থা ফিরে পাওয়ার আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

এ সময় কসবা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ছাইদুর রহমান স্বপন, কসবা পৌর মেয়র এম.জি হাক্কানি প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে ২০১৫ সালের জুনে যাত্রা শুরু করে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার তারাপুর ও ভারতের সিপাহিজলা জেলার কমলাসাগর এলাকার সীমান্ত হাট। দু’দেশের ৫০টি করে মোট ১০০টি দোকান বসতো ওই হাটে। করোনার করণে ২০২০ সালের ১০ মার্চ থেকে হাটের কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করা হয়।

মূলত সীমান্ত এলাকার পাঁচ কিলোমিটার ব্যাসার্ধের মধ্যে বসবসকারীদের এ হাট থেকে পণ্য কেনার নিয়ম রয়েছে। তবে কসবা উপজেলাসহ আশপাশের বিভিন্ন এলাকার মানুষ এ হাট থেকে পণ্য কেনেন। বাংলাদেশি পণ্যের চেয়ে ভারতীয় পণ্যের চাহিদা বেশি ছিলো ওই হাটে। প্রতি রবিবার বসতো হাট।

আবুল হাসনাত মো. রাফি/এএইচ/এএসএম